ম্যাটারন্যাল ফিটাল মেডিসিন সোসাইটির দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলন

সম্মেলনের শেষ দিনের একটি চিত্র
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ১২:৫৮ | আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ১২:৫৮
ম্যাটারন্যাল ফিটাল মেডিসিন সোসাইটি আয়োজিত দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলন শেষ হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের হল অব ফেমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে দুই দিনব্যাপী আয়োজনের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
ম্যাটারন্যাল ফিটাল মেডিসিন সোসাইটি অব বাংলাদেশ-এর সভাপতি প্রফেসর ফিরোজা বেগম সংবাদ সম্মেলনে এই আয়োজনের গুরুত্ব এবং দেশের ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভবতী মা ও শিশুরা ভবিষ্যতে কীভাবে আরও উন্নত চিকিৎসা সেবা পাবে এবং মা ও নবজাতক মৃত্যুহার কমে আসবে সে বিষয়ে বিস্তারিত বলেন।
এর আগে গত শুক্রবার সকালে এই আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু হয়। এই বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে প্লাটিনাম স্পন্সর হিসেবে সহযোগিতা করে ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।
দুই দিনব্যাপী আয়োজিত এই সম্মেলনে বিষয়ভিত্তিক মোট ১৩টি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে সারাদেশ থেকে এক হাজারেরও বেশি প্রসূতি চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞ অংশগ্রহণ করেন। এ ছাড়াও সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের ম্যাটারন্যাল ফিটাল মেডিসিন ও জেনেটিক বিষয়ে দক্ষ ২০ জনেরও বেশি স্পিকার যুক্ত হয়ে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
উদ্বোধনী দিনে ম্যাটারন্যাল ফিটাল মেডিসিন সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ডা. তাবাসসুম পারভীনের পরিচালনায় প্রধান অতিথি হয়ে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব সাইফুল হাসান বাদল। এ ছাড়া বিশেষ অতিথি হয়ে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক টিএ চৌধুরী, সম্মানিত অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. আমিরুল মোরশেদ এবং ওজিএসবির সভাপতি অধ্যাপক ফেরদৌসি বেগম। সভাপতিত্ব করেন ম্যাটারন্যাল ফিটাল মেডিসিন সোসাইটির সভাপতি প্রফেসর ফিরোজা বেগম।
দুই দিনব্যাপী এই বৈজ্ঞানিক সেমিনারে বলা হয়- ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভবতী মা ও গর্ভস্থ শিশুর জিনগত সমস্যা চিহ্নিতকরণে অর্থ্যাৎ সঠিক রোগ নির্ণয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ সজ্জিত জেনেটিক লাইব্রেরি বিশেষ প্রয়োজন।
আন্তর্জাতিক এই সম্মেলনে আরও উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ সরকার মাতৃ ও নবজাতকের স্বাস্থ্য নিশ্চিকরণে অঙ্গীকারাবদ্ধ। বর্তমানে বাংলাদেশে মাত্যৃ মৃত্যুর হার প্রতিলাখে ১৬৫ জন ( ২০২১ সালের তথ্যমতে) এবং নবজাতক মৃত্যুহার প্রতি হাজারে ১৭.০৫ জন (২০২০ সালের তথ্য মতে)। ৫৪% ক্ষেত্রেই মাতৃ মৃত্যুর জন্য দায়ী হলো প্রসব পরবর্তী রক্তক্ষরণ এবং এক্লামসিয়া (উচ্চ রক্তচাপজনিত খিচুনি)।
টেকসই উন্নয়নের ( এসডিজি) লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে উল্লিখিত হার যথাক্রমে প্রতি লাখে ৭০ জন এবং প্রতি হাজারে ১২ জনে নামিয়ে আনার টার্গেট নির্ধারণ করা হয়েছে। ম্যাটারন্যাল ফিটাল মেডিসিন সোসাইটির পক্ষ থেকে বলা হয়, এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারবে।