ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

করোনার নতুন উপধরন

আক্রান্ত দেশ থেকে যাত্রী এলে পরীক্ষা বাধ্যতামূলক হচ্ছে

আক্রান্ত দেশ থেকে যাত্রী এলে পরীক্ষা বাধ্যতামূলক হচ্ছে

প্রতীকী ছবি

তবিবুর রহমান

প্রকাশ: ২৭ ডিসেম্বর ২০২২ | ১৮:০০ | আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২২ | ০৬:১৯

চীন, ভারত, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ব্রাজিল, হংকং, থাইল্যান্ডসহ যেসব দেশে ওমিক্রনের উপধরন বিএফ.৭ শনাক্ত হয়েছে, সেসব দেশ থেকে বাংলাদেশে আসা যাত্রীদের ক্ষেত্রে করোনার আরটিপিসিআর পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হবে। দেশে প্রবেশের ৪৮ ঘণ্টা আগে করোনা টেস্ট করতে হবে ও নেগেটিভ সনদ দেখাতে হবে। এ সপ্তাহের মধ্যেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে জানিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, করোনার নতুন উপধরন বিএফ.৭ প্রতিরোধে করণীয় নির্ধারণে গতকাল রাতে বিমানবন্দরে সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও বেবিচকের বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক আহমেদুল কবীর ও হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে ধাপে ধাপে কর্মকৌশল নির্ধারণ করা হয়েছে।

জানা গেছে, চীন ও ভারতের মতো উদ্বেগজনক পরিস্থিতি এড়াতে সব বিমান, স্থল ও সমুদ্রবন্দরে স্ট্ক্রিনিং বাড়ানোর পাশাপাশি আরটিপিসিআর পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হতে পারে। তবে পরিস্থিতি আরও দু-এক দিন পর্যবেক্ষণ করা হবে। এজন্য সব বন্দরে দ্রুত জনবল বাড়ানোর নির্দেশনা দেওয়া হবে।

বিশেষ নজরদারিতে থাকবে চীন ও ভারত থেকে আসা যাত্রীরা। পাশাপাশি সব বন্দরে র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে পরীক্ষা করে আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত করে আইসোলেশনে নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, বিমানবন্দরসহ সব বন্দরে সতর্ক থাকতে হবে। চীন, ভারত, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, হংকং ও থাইল্যান্ড থেকে আসা যাত্রীদের 'নেগেটিভ' কভিড সনদ আছে কিনা নিশ্চিত করতে হবে। কারও মধ্যে কোনো উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করে আইসোলেশন বা কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য যা করণীয় তাই করতে হবে।

বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শাহরিয়ার সাজ্জাদ বলেন, করোনার নতুন ধরন দেশে প্রবেশ ঠেকাতে ধাপে ধাপে করণীয় নির্ধারণ করা হয়েছে। পরিস্থিতি বুঝে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী বিমানবন্দরে স্ট্ক্রিনিং জোরদার করা হয়েছে। চীন-ভারত থেকে আসা যাত্রীদের অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করা হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৩০৬ জনকে স্ট্ক্রিনিং করা হলেও কারও শরীরে করোনা শনাক্ত হয়নি।

স্বাস্থ্য সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, 'বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়েছে করোনার নতুন উপকরণ বিএফ.৭। এমতাবস্থায় বিদেশ থেকে আসা সন্দেহভাজন যাত্রীদের স্ট্ক্রিনিং জোরদার করা হয়েছে। যেসব দেশ থেকে সন্দেহজনক যাত্রী পাওয়া যাবে, তাঁদের নিজ খরচ ও ব্যবস্থাপনায় কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। এর জন্য শিগগিরই সংশ্নিষ্ট হোটেল নির্ধারণ করে দেওয়া হবে।

২০২১ সালের ডিসেম্বরে বেবিচক সর্বশেষ সার্কুলারে আরটিপিসিআর টেস্ট বাধ্যতামূলক ছিল। সার্কুলারে বাংলাদেশে প্রবেশ করার ক্ষেত্রে যাত্রীকে ৪৮ ঘণ্টা আগে করোনা টেস্ট ও নেগেটিভ সনদ নিতে বলা হয়। তবে চলতি বছর ৯ মার্চ বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতি স্বস্তিদায়ক হওয়ায় পূর্ণাঙ্গ ডোজ টিকা সনদ থাকলেই পিসিআর পরীক্ষা ছাড়াই বিমানবন্দর হয়ে বিদেশে যাওয়া যাবে। একই সঙ্গে দেশের বাইরে থেকে কেউ দেশে প্রবেশ করতে চাইলে পূর্ণাঙ্গ ডোজ নিতে হবে।

আরও পড়ুন

×