আদর্শকে স্টল বরাদ্দ না দেওয়া একুশের চেতনাবহির্ভূত: গণসংহতি আন্দোলন

বাংলা একাডেমি কর্তৃক আদর্শকে নিঃশর্তভাবে স্টল বরাদ্দ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত একুশের চেতনাবহির্ভূত বলে অভিহিত করেছে গণসংহতি আন্দোলন। সোমবার গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জননেতা জোনায়েদ সাকি এবং নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল এক যৌথ বিবৃতিতে এ দাবি করেন। এ সময় তারা এ বছরের অমর একুশে বইমেলায় আদর্শ প্রকাশনীকে নিঃশর্ত স্টল বরাদ্দ দেওয়ার আহ্বান জানান।

নেতৃবৃন্দ বলেন, সংস্কৃতির কোনো ভিন্নতা বিষয়ে, কারও মতপ্রকাশের প্রশ্নে কিংবা কোনো চিন্তার অবস্থানে আমরা একমত নাও হতে পারি- কিন্তু তার প্রকাশের বিরুদ্ধাচারণ এদেশে আমরা করতে পারি না। তা একুশের চেতনা পরিপন্থী। আদর্শ প্রকাশনীকে স্টল বরাদ্দ না দেয়ার সিদ্ধান্তটি খালি চোখে ভিন্নমত দমনেরই উদাহরণ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার আদর্শের বইকে দেশব্যাপী নিষিদ্ধ করেনি। অথচ তাদের সে তিনটি বইয়ের (‘বাঙালির মিডিয়োক্রিটির সন্ধানে’, ‘উন্নয়ন বিভ্রম’ ও ‘অপ্রতিরোধ্য উন্নয়নের অভাবনীয় কথামালা’) নামকে উল্লেখ করে বাংলা একাডেমি তাদের নিঃর্শর্ত স্টল বরাদ্দ থেকে বঞ্চিত করছে! তাহলে কি আদর্শের এই ‘বই প্রত্যাহার কেবল বইমেলায়ই মাত্র! সারাদেশের অন্য পাঠক তো অন্য সবজায়গায়ই বইগুলো পড়তে পারবে!- এটা কেমন করে হতে পারে; এটা তো অযৌক্তিক! প্রশ্ন ওঠানো দরকার- বাংলা একাডেমি কী তাহলে স্বাধীনভাবে কাজ করছে না?

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, বাংলা একাডেমির মতো জাতীয় প্রতিষ্ঠান একুশের চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করে আদর্শকে বইমেলা থেকে কার্যত বঞ্চিত করছে। এই আদর্শ প্রকাশনী যেখানে গত দশ-বারো বছর ধরে বইমেলায় যথাযথ নিয়ম মেনে অংশগ্রহণ করে আসছে এবং তারা তাদের প্রাতিষ্ঠানিকতা নিয়ে প্রকাশনা জগতে ভূমিকাও রেখে চলছে। সেই সাথে এই প্রতিষ্ঠান এই সময়কালে দেশের সংস্কৃতিবিরোধী কিংবা রাষ্ট্রবিরোধী কোনো বইও প্রকাশ করেনি।

নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে সকল সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে আদর্শকে বইমেলায় শর্তহীনভাবে স্টল বরাদ্দ দেওয়ার আহ্বান জানান।