ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

অবৈধ নার্সিং ইনস্টিটিউটের অনুমোদন বাতিলের দাবি

অবৈধ নার্সিং ইনস্টিটিউটের অনুমোদন বাতিলের দাবি

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন।

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ মে ২০২৩ | ১২:২৫ | আপডেট: ২১ মে ২০২৩ | ১২:২৫

নীতিমালা অনুসরণ না করে গড়ে ওঠা বেসরকারি নার্সিং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অনুমোদন দ্রুত বাতিলসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদ। একইসঙ্গে আগামী ৩০ মের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হলে ৩১ মে সারাদেশে একযোগে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংগঠনের পক্ষ থেকে করা এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের লিগ্যাল অ্য্যাডভাইজার হোসাইন আহমেদ শিপন। সংবাদ সম্মেলনের স্বগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি খাঁন মো. গোলাম মোরশেদ। 

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাধীনতা নার্সেস পরিষদের মহাসচিব অ্যাডভোকেট ইকবাল হোসেন সবুজ, বাংলাদেশ বেসিক গ্র্যাজুয়েট নার্সেস সোসাইটির সভাপতি নাসিমুল হক ইমরান, ঢাকা নার্সিং কলেজ স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের সভাপতি রাকিবুল হোসেন রাকিব।

লিগ্যাল অ্যাডভাইজার হোসাইন আহমেদ শিপন বলেন, বেসরকারি নার্সিং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ৮০ ভাগেরই নিজস্ব হাসপাতাল নেই এবং কোনো হাসপাতালে সঙ্গে আইনগত চুক্তিভিত্তিক পার্টনারশিপ নেই। এগুলোর অবকাঠামো (একাডেমিক ভবন, হোস্টেল), দক্ষ জনবল (শিক্ষক, অফিস স্টাফ), শিক্ষা উপকরণ, ক্লিনিক্যাল প্র্যাকটিসের হাসপাতালসহ নার্সিং শিক্ষার প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধার ন্যূনতম ব্যবস্থাও নেই। 

তিনি বলেন, ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী মূল্যায়ন পদ্ধতিতে গলদ ব্যাপক। বাংলাদেশ নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের কিছু কর্মকর্তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী পছন্দের ব্যক্তির নামে বেসরকারি নার্সিং কলেজের অনুমোদনের দিয়ে আসছে। ভুঁইফোঁড় প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধন দিয়ে লাখ লাখ টাকা আদায় করছে এখানকার একটি সিন্ডিকেট। এই কাউন্সিলের অধীনে সারাদেশে ৩৭২টি বেসরকারি নার্সিং কলেজ পরিচালিত হচ্ছে। এরমধ্যে অবৈধভাবে শতাধিক নার্সিং কলেজের নিবন্ধন নিয়েছেন সাইক নার্সিং কলেজের চেয়ারম্যান আবু হাসনাত মো. ইয়াহিয়া এবং ডিডব্লিউএফ নার্সিং কলেজের চেয়ারম্যান মো. জহিরুল ইসলাম। শুধু এই দুইজনের নামেই নিবন্ধন নেওয়া রয়েছে ৫৯টি প্রতিষ্ঠানের। এর মধ্যে আবু হাসনাতের ৪৪টি ও জহিরের ১৫টি। এ প্রতিষ্ঠানগুলোর নিবন্ধন বাতিল করা হোক।

অন্যান্য দাবিগুলো হলো, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক ডিপ্লোমা ইন পেশেন্ট কেয়ার টেকনোলজিস্টদের ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কোর্সের সমমানের প্রজ্ঞাপন অনতিবিলম্বে বাতিলপূর্বক এইচএসসি পাসের পর তিন বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কোর্সকে স্নাতক ডিগ্রিতে রূপান্তর করতে হবে। গ্র্যাজুয়েট নার্সদের জন্য নার্সিং পেশায় স্পেশাল ক্যাডার সার্ভিস (সেবা ক্যাডার) অনতিবিলম্বে চালু করা এবং প্রথম শ্রেণির শূন্যপদগুলোতে নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে। সরকারি চাকরিতে কর্মরত নার্সদের মূল বেতনের ৩০ শতাংশ ঝুঁকি ভাতা অনতিবিলম্বে নিশ্চিত করতে হবে। অন্যান্য টেকনিক্যাল পেশাজীবীদের মতো পূর্বে প্রদানকৃত চাকরির শুরুতে অতিরিক্ত ইনক্রিমেন্ট প্রদানের সুবিধা বহাল রাখতে হবে। এছাড়া নার্সিং শিক্ষার্থীদের ইন্টার্নশিপ ভাতা ২০বিশ হাজার টাকায় উন্নত করতে হবে। 

আরও পড়ুন

×