একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধ: যশোরে চার রাজাকারের রায় রোববার

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে যশোরের বাঘারপাড়ার মো. আমজাদ হোসেন মোল্লাসহ চারজনের বিরুদ্ধে করা মামলার রায় আগামী রোববার ঘোষণা করা হবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ বুধবার এ তারিখ ধার্য করেন।

এর আগে, এ মামলার চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত ১১ মে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়। 

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী, মো. সাহিদুর রহমান ও রেজিয়া সুলতানা চমন।

আসামি পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী গাজী এম এইচ তামিম ও আব্দুস সাত্তার পালোয়ান।

২০১৮ সালে ১৬ এপ্রিল রাজধানীর ধানমন্ডিতে তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মামলায় পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়।

আসামিরা হলেন- মো. আমজাদ হোসেন মোল্লা, মো. ওহাব মোল্লা, মো. মাহতাব বিশ্বাস, মো. ফসিয়ার রহমান মোল্লা ও মো. নওশের বিশ্বাস। আমজাদ হোসেন বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। বাকিরা ছিলেন পলাতক। এর মধ্যে নওশের বিশ্বাস মারা গেছেন। 

এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে আটক, নির্যাতন ও হত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে। ২০১৯ সালের ২৯ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। আমজাদ মোল্লা যশোর বাঘারপাড়া থানার রাজাকার কমান্ডার ছিলেন। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, তিনি ১৯৭১ সালে মুসলিম লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন আমজাদ।

২০১৬ সালের ৪ এপ্রিল এ মামলার তদন্ত শুরু হয়ে ২০১৮ সালের ১৬ এপ্রিল শেষ হয়।

মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাঘারপাড়া উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের ডা. নওফেল উদ্দিন বিশ্বাস এবং ময়েনউদ্দিন ও আয়েনউদ্দিন আয়নাকে অপরহণের পর হত্যার অভিযোগ করা হয়েছে। এ ছাড়া তারা মাগুরার শালিখা থানার সীমাখালীর চিত্রা নদীর খেয়াঘাটের মাঝি রজব আলী বিশ্বাসকে আটক করে হত্যা করে বলে মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে নির্যাতন, আটকসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে।