ঢাকা সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ

আপন জুয়েলার্সের গুলজারের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

আপন জুয়েলার্সের গুলজারের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ জুলাই ২০২৩ | ১৪:২২ | আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২৩ | ১৪:৫৩

আপন জুয়েলার্সের মালিক গুলজার আহমেদের বিরুদ্ধে ৩০ কোটি ৫৩ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার দুদক প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নেয়ামুল আহসান গাজী কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাটি করেন।

গুলজার আহমেদ ২০১৭ সালে রাজধানীর বনানীতে রেইনট্রি হোটেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি শাফাত আহমেদের বাবা। তার ভাই দিলদার আহমেদ ও আজাদ আহমেদ আপন জুয়েলার্সের মালিক। ওই ধর্ষণ ঘটনার পর দিলদার এবং আজাদের সম্পদের বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন উঠে। সেই প্রশ্নের জবাব খুঁজতে দুদক ২০১৭ সালের শেষ দিকে তিন ভাইয়ের বিরুদ্ধেই আলাদাভাবে অনুসন্ধান শুরু করে। এর মধ্যে গুলজারের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা হলো। বাকি দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শেষে তাদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে দুদক।

মামলায় গুলজারের বিরুদ্ধে নামে-বেনামে মোট ৩০ কোটি ৫৩ লাখ ৮৫ হাজার ৮৪৯ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এজাহারে বলা হয়, গুলজার দুদকে জমা দেওয়া সম্পদ বিবরণীতে ২২ কোটি ৫২ লাখ ৮৭ হাজার ৯০৫ টাকার স্থাবর ও ৫০ কোটি ৮৫ লাখ ৫২ হাজার ৮০৯ টাকার অস্থাবরসহ মোট ৭৩ কোটি ৩৮ লাখ ৪০ হাজার ৭১৪ টাকার সম্পদের তথ্য উল্লেখ করেন। অনুসন্ধানকালে আসামির নামে ৫২ কোটি ৪৭ লাখ ৩ হাজার ২৮৯  টাকা অস্থাবর সম্পদ পাওয়া যায়। অর্থাৎ আসামির জমা দেওয়া সম্পদ বিবরণীতে প্রদর্শিত অস্থাবর সম্পদের চেয়ে অতিরিক্ত ১ কোটি ৬১ লাখ ৫০ হাজার ৪৮০ টাকার সম্পদ পাওয়া যায়। অর্থাৎ তিনি এই পরিমাণ সম্পদের তথ্য গোপন করেছিলেন।

অনুসন্ধানকালে রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় গুলজার আহমেদের স্থাবর-অস্থাবরসহ মোট ৮৩ কোটি ২৬ লাখ ৪৬ হাজার ৪৫৭ টাকার সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুদক। রেকর্ডপত্র অনুযায়ী তার ১১ কোটি ৪৪ লাখ ৫৭ হাজার ৫৭ টাকার দায়-দেনার তথ্য পাওয়া যায়। অর্জিত মোট সম্পদ থেকে দায়-দেনার হিসাব বাদ দেওয়া হলে তার সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ৭১ কোটি ৮১ লাখ ৮৯ হাজার ৪০০ টাকা। অপরদিকে বৈধ উৎসের হিসাবে তার নামে মোট ৪১ কোটি ২৮ লাখ ৩ হাজার ৫৫১ টাকার সম্পদ পাওয়া গেছে। অর্থাৎ মোট অর্জিত সম্পদ থেকে বৈধ আয়ের সম্পদ বাদ দেওয়া হলে ৩০ কোটি ৫৩ লাখ ৮৫ হাজার ৮৪৯ টাকার বেশি সম্পদ পাওয়া যায়। 

আরও পড়ুন

×