ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

জামদানি উৎসবে ভাওয়াইয়া সুর

জামদানি উৎসবে ভাওয়াইয়া সুর

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ জুলাই ২০২৩ | ১৮:০০

গ্যালারিতে জামদানির নান্দনিক সাজ আর লবিতে উন্মুক্ত মঞ্চে ভাওয়াইয়ার সুরের মূর্ছনা। দেশীয় শিল্পের সঙ্গে অনন্য এক সন্ধ্যা। বর্ষা ঋতুর ভরা যৌবনে প্রকৃতিতে বৃষ্টির তেমন দেখা না মিললেও জামদানি উৎসবকে লোকগীতির সুর বৃষ্টিতে ভেজালেন ভাওয়াইয়া কিংবদন্তি শিল্পী মোস্তাফিজুর রহমানের উত্তরসূরি মন ও সাহস মোস্তাফিজ। উত্তরবঙ্গের গ্রামীণ জনপদের শিকড়ের সুরে সুরপিয়াসীদের বিমোহিত করলেন গানের দুই পাখি। দর্শক-শ্রোতারাও সুরের মোহে পিনপতন নীরবতায় উপভোগ করলেন বাংলার শিকড়ের সুরের ভাওয়াইয়া গান।

বৃহস্পতিবার শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালার ৭ নম্বর গ্যালারিতে এমনই দৃশ্য ছিল জামদানি উৎসবের দ্বিতীয় দিনের সাংস্কৃতিক আয়োজনে। গত বুধবার সন্ধ্যায় শুরু হয় পিকেএসএফের সহযোগিতায় সেবা নারী শিশু সংগঠন আয়োজিত ১১ দিনব্যাপী জামদানি উৎসব।

আসরের শুরুতেই চিরচেনা সুরের ‘ও-কি গাড়িয়াল ভাই’ পরিবেশন করেন মন মোস্তাফিজ। এই গানের বর্ণনায় গ্রামীণ জনপদের গাড়িয়ালের প্রতি তাঁর প্রেমিকার আবেদন তুলে ধরেন। এরপর সাহস মোস্তাফিজ গেয়ে শোনান ‘ও-কি ও বন্ধু কাজল ভোমরারে’। এরপর দ্বৈতকণ্ঠে দুই ভাইবোন পরিবেশন করেন ‘যে জন প্রেমের ভাব জানে না’। পরের পরিবেশনায় মন মোস্তাফিজ গেয়ে শোনান ‘ফুল তোলা শাড়ি’। সবশেষে ‘প্রেম জানেনা রসিক কালাচান’ গানটির দ্বৈত পরিবেশনায় শেষ হয় উৎসবের দ্বিতীয় দিনের সাংস্কৃতিক আয়োজন।

এর আগে জামদানি প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন পিকেএসএফের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, দেশীয় ঐতিহ্য জামদানি এখন আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সমাদৃত। এই শিল্পকে রক্ষার পাশাপাশি এর কারিগরদের জীবনমানের উন্নয়নে এগিয়ে আসতে হবে। 

পিকেএসএফের সাসটেইনেবল প্রজেক্টের আওতাধীন এই জামদানি উৎসব শেষ হবে আগামী ২৯ জুলাই।

আরও পড়ুন

×