ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

আদালতে বিএনপি-আওয়ামীপন্থী আইনজীবীদের পাল্টাপাল্টি অবস্থান

আদালতে বিএনপি-আওয়ামীপন্থী আইনজীবীদের পাল্টাপাল্টি অবস্থান

বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের বিক্ষোভ মিছিল

ইকলাচুর রহমান

প্রকাশ: ০২ আগস্ট ২০২৩ | ১১:১৬ | আপডেট: ০২ আগস্ট ২০২৩ | ১১:২৩

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুদকের করা মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আদালত প্রাঙ্গণে বিএনপি ও আওয়ামীপন্থী আইনজীবীদের পাল্টাপাল্টি অবস্থান দেখা গেছে। বুধবার দুপুরে ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে মামলার রায় ঘোষণার আগে এ ঘটনা ঘটে। 

এ সময় তাদের পাল্টাপাল্টি স্লোগান দিতেও দেখা গেছে। এতে আদালত প্রাঙ্গণে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। 

সকাল ১০টায় বৃষ্টির মধ্যে আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ মিছিল করেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। মামলা বাতিলের দাবিতে এই বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম, ঢাকা বার ইউনিট। এ সময় তাদের সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।

অন্যদিকে দুপুর ১২টার দিকে আদালতের সামনে অবস্থান নেন আওোমীপন্থী আইনজীবীরা। এ সময় তারা তারেক রহমানের ফাঁসি দাবিসহ বিএনপিবিরোধী নানা স্লোগান দেন।

আওয়ামীপন্থী আইনজীবীদের অবস্থান 

এই মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে জোরদার করা হয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সকাল থেকে সেখানে পুলিশ সদস্যদের সতর্ক অবস্থায় থাকতে দেখা গেছে। মোতায়েন করা হয় বাড়তি পুলিশ সদস্য।

২৭ জুলাই যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে বুধবার এই মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন আদালত। ওই দিন দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন।

প্রসঙ্গত, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় পলাতক তারেক রহমানের ৯ বছর ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের ৩ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ২ কোটি ৭৪ লাখ টাকার সম্পদ বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করা হয়। তারা দুজন পলাতক থাকায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

বুধবার বিকেলে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।

এর আগে, দুদকের এই মামলায় ৫৬ সাক্ষীর মধ্যে ৪২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। এ মামলায় গত ১৩ এপ্রিল পলাতক এ দম্পতির বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।  

২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়। ওই সময় তিনি গ্রেপ্তার হন। পরে ২০০৮ সালে জামিনে মুক্তি পেয়ে সপরিবারে লন্ডনে চলে যান। এরপর আর দেশে ফেরেননি। 

আরও পড়ুন

×