সুদহার কম বলে ফ্রান্সের স্যাটেলাইট নেওয়া হচ্ছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন- ফাইল ছবি
কূটনৈতিক প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৬:০০ | আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৬:০০
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, স্যাটেলাইট কেনার ক্ষেত্রে রাশিয়ার প্রস্তাবে সুদহার অনেক বেশি। বিপরীতে ফ্রান্স কমে দিচ্ছে। এ জন্য তাদের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর ঢাকা সফরে স্যাটেলাইট নিয়ে সম্মতিপত্র সই হয়েছে। অবশ্য স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গেও একটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে ঢাকা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি শুনেছি, স্যাটেলাইট নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের যে আলাপ হয়েছে, সেখানে সুদহার অনেক বেশি ছিল। এ জন্য ফ্রান্সকে বেছে নেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ফরাসি প্রেসিডেন্ট সুসম্পর্ক গড়তে ঢাকা সফর করেন এবং তিনি স্বীকার করেছেন, ইন্দো-প্যাসিফিকসহ এ অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হবে। ইন্দো-প্যাসিফিকে বাংলাদেশসহ এ এলাকার সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করতে আগ্রহী প্যারিস।’ তিনি আরও বলেন, ‘ফরাসি প্রেসিডেন্ট জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে বাংলাদেশকে এক বিলিয়ন ডলার সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেছেন¬, অর্থ নিয়ে চিন্তা করবেন না। যত লাগবে, দেওয়া যাবে।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, নয়াদিল্লির জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আলাপে জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গ ছিল না। তিনি জানান, দু’জনের মধ্যে খুবই ভালো আলাপ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমি বাবা-মা, ভাইদের হারিয়েছি; পরিবারের লোকদের হারিয়েছি। বাংলাদেশের জনগণই আমরা পরিবার। তাদের মুখে দু’বেলা ভাত ও জীবনমান উন্নয়নে আমি কাজ করছি। আমার ১৭ কোটির পরিবার, তাদের আমি সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করে দিতে চাই। আমাদের স্বপ্ন একটি সুন্দর বাংলাদেশ। আমার জীবনের একটিই কাম্য, আমার দেশবাসীর মঙ্গল।’
সরকারপ্রধানের এমন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে জো বাইডেন কি বলেছেন– জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘জো বাইডেন বলেছেন, আমি জানি।’
আরেক প্রশ্নের উত্তরে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমরা কখনো চাপে ছিলাম না। সরকার আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা নই বরং আপনারা (গণমাধ্যম) চাপে আছেন এবং আমাদেরও ফেলতে চাচ্ছেন।’