ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

বীমার টাকা জমা দিতে এসে লাশ হলেন গৃহবধূ

বীমার টাকা জমা দিতে এসে লাশ হলেন গৃহবধূ

রামগঞ্জ টাওয়ারে বেজমেন্ট থেকে গৃহবধূ মরিয়ম বেগমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ছবি: সমকাল

রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৫:৪০ | আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৫:৪১

রামগঞ্জে একটি মার্কেটের বেজমেন্ট থেকে মরিয়ম বেগম (৩০) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের স্বামীর দাবি, বীমা অফিসের কর্মকর্তারা তাঁর স্ত্রীকে চারতলা থেকে ফেলে হত্যা করেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে পৌর শহরের রামগঞ্জ টাওয়ারের নিচ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। মরিয়ম নোয়াগাঁও ইউনিয়নের বরিয়াইশ গ্রামের মালেক হাজিবাড়ির মনির হোসেনের স্ত্রী।

থানা সূত্রে জানা যায়, বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রামগঞ্জ টাওয়ারের ম্যানেজার মহিউদ্দিন বেজমেন্টে মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। রামগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশের একটি দল। পরে সুরতহাল শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে ৫ বছর বয়সী ছেলে মিনহাজকে নিয়ে বীমার টাকা জমা দিতে ওই টাওয়ারের ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানির অফিসে যান মরিয়ম। বীমার টাকাও জমা দেন তিনি।

মরিয়মের স্বামী মনির হোসেনের দাবি, ‌‘ন্যাশনাল লাইফের এজিএম লিটন সরকার জোর করে আমার স্ত্রীকে অফিসে আনিয়েছেন। আমরা লিটনকে বলেছিলাম বাড়িতে গিয়ে টাকা আনতে। কিন্তু যেভাবেই হোক মরিয়মকে অফিসে আসতে বলেন লিটন। তিনি আমার স্ত্রীকে মেরে ফেলেছেন। আমি তাঁর বিচার চাই।’

ওই কোম্পানির অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর এজিএম লিটন সরকারের মাধ্যমে ১৫ বছর মেয়াদি বীমা করেন মরিয়ম, যার বীমা অংক ১ লাখ ১০ হাজার টাকা। দুপুরে মরিয়ম অফিসে এসে তৃতীয় কিস্তির প্রিমিয়াম ৮ হাজার ৫১৯ টাকা জমা দিয়েছেন।

কোম্পানির রামগঞ্জ জোনাল অফিসের ম্যানেজার মনির হোসেন বলেন, ‘ছেলেটিকে অফিসে একা বসতে দেখে তার মায়ের কথা জানতে চাইলে কিছুই বলতে পারছিল না। পরে টাকা জমার রসিদ থেকে নম্বর নিয়ে বাবাকে ফোন দিলে তিনি এসে ছেলেটিকে নিয়ে যান। এর কিছুক্ষণ পর নিচে মরদেহ পাওয়ার খবর পাওয়া যায়।’

ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, তদন্ত চলছে। জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।

আরও পড়ুন

×