‘প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা বিচার বিভাগের ওপর আঘাত’

বিচার বিভাগের ওপর আঘাত হানার চেষ্টা হিসেবে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

রোববার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। ভবিষ্যতে কেউ যেন এ ধরনের ঘৃণ্য অপরাধ করার সাহস না পায়।

বিএনপি-জামায়াতের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে শনিবার রাজধানীর কাকরাইল এলাকায় প্রধান বিচারপতির সরকারি বাসভবনে হামলার ঘটনা ঘটে।

বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে পুলিশ সদস্যের মৃত্যুর ঘটনায় নিহতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, নিহত পুলিশ সদস্যের ওপর শনিবার যে বর্বর আক্রমণ করা হয়েছে, তা দেখে মনে হচ্ছিল ইসরায়েলিদের বর্বর আক্রমণ এবং একাত্তরে যে বর্বর আক্রমণ করা হয়েছিল, তা-ই যেন দেখছি।

সুপ্রিমকোর্ট বারের প্রতিবাদ সভা

প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার প্রতিবাদে রোববার দুপুরে প্রতিবাদ সভা করেছে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি। সভায় উপস্থিত বক্তারা প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার নিন্দা জানিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। 

‘প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা বিচার বিভাগের ওপর আঘাত’ শীর্ষক প্রতিবাদ সভায় অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আন্দোলনের নামে মানুষ পিটিয়ে হত্যা এবং প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা মানবতাবিরোধী অপরাধের সামিল।

তিনি বলেন, বিএনপির মূল ক্ষোভ হচ্ছে সুপ্রিমকোর্টের ওপর। তার কারণ তাদের দলের আদি পুরুষ জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছিলেন, সেই ক্ষমতা দখলকে অবৈধ ঘোষণা করেছিলেন সুপ্রিমকোর্ট। তাই সুপ্রিকোর্টের ওপর ক্ষোভ থেকে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা চালিয়েছে তারা।

সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সহসম্পাদক নুর-এ-আলম উজ্জ্বলের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভায় আরও বক্তব্য দেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ, ব্যারিস্টার মেহেদী হাসান চৌধুরী, সুপ্রিমকোর্ট বারের সভাপতি মোমতাজ উদ্দিন ফকির, সহ-সভাপতি জেসমিন সুলতানা, সম্পাদক আবদুন নুর দুলাল, রবিউল আলম বুদু, সাঈদ আহমেদ রাজাসহ আইনজীবী সমিতির সাবেক ও বর্তমান নেতা এবং আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবীরা।

আইনজীবী সমিতির ব্যানারে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভা শেষে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের পক্ষ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।