ঢাবির কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে প্রবেশে লাগবে আইডি কার্ড, কী বলছেন গ্রন্থাগারিক

ফাইল ছবি
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৩ মে ২০২৪ | ২১:২৪
১০ মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ‘এখন লাইব্রেরিতে সবাই বিসিএস পড়ার জন্য যায়। আমরা লাইব্রেরিতে কার্ড পাঞ্চ পদ্ধতি চালু করব। যেসব শিক্ষার্থীর ছাত্রত্বের মেয়াদ শেষ তারা কেবল বিসিএস পড়তে যায় লাইব্রেরিতে। এর ফলে তাদের প্রবেশ অসম্ভব হয়ে যাবে, সেখানে কার্ড পাঞ্চ করে যেতে হবে।’
এরই মধ্যে আজ সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মার্ট কার্ড ব্যবহারের নির্দেশনা দিয়ে বিজ্ঞপ্তি টাঙিয়েছে গ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষ।
এতে বলা হয়েছে, ছাত্র-ছাত্রীদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারের অ্যাক্সেস কন্ট্রোল গেটে স্মার্ট আইডি কার্ড পাঞ্চ করে প্রবেশ ও প্রস্থান করতে হবে।
জানতে চাইলে গ্রন্থাগারিক অধ্যাপক নাসিরুদ্দীন মুন্সী জানান, স্মার্ট কার্ড পাঞ্চ করেই প্রবেশ করতে হবে এমন কথা নেই। এমনিতেই যে কেউ প্রবেশ করতে পারছে। তিনি সমকালকে বলেন, ‘২০১৬ সালে এক প্রকল্পের অধীন আমরা কার্ড পাঞ্চ করে প্রবেশের মেশিন লাগিয়েছিলাম। এতদিন হয়ে গেল, এগুলো সচল আছে কিনা, শিক্ষার্থীরা কার্ড পাঞ্চ করে প্রবেশ করতে পারছে কিনা আমরা সেটা যাচাই করছিলাম। আর কিছু না।’
সামনে শুধু স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে প্রবেশ করানোর কোনো ভাবনা আছে কিনা এমন প্রশ্নে গ্রন্থাগারিক অধ্যাপক নাসিরুদ্দীন মুন্সী বলেন, ‘এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিগত সিদ্ধান্ত। আমাদের এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। আমাদের মেশিনগুলো ভালো আছে কিনা এটা দেখার জন্যই মূলত আমরা বিজ্ঞপ্তিটি দিয়েছি। যদি সচল না থাকে তাহলে আমাদের আবার সরবরাহকারী কোম্পানির সঙ্গে কথা বলতে হবে। শিক্ষার্থীরা প্রবেশ করতে পারছে এমনিতেই।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যমান আবাসন-পাঠকক্ষের সংকটে শিক্ষার্থীদের পড়ার অন্যতম উপায় কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি। সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকা লাইব্রেরির শীতাতপনিয়ন্ত্রিত কক্ষ পড়াশোনার আদর্শ জায়গা বটে। সমালোচনা রয়েছে, শিক্ষার্থীরা অ্যাকাডেমিক পড়াশোনা-গবেষণা ইত্যাদি বাদ দিয়ে এখানে বিসিএস নির্ভর চাকরির পড়াশোনাই বেশি করেন। তাদের বেশিরভাগই পড়াশোনা শেষ করে চাকরির খোঁজে রয়েছেন। ফলে বর্তমান শিক্ষার্থীরা গ্রন্থাগারে জায়গা পান না।