পোশাকশিল্পে দায়িত্বশীল ব্যবসার জন্য একসঙ্গে কাজ করতে হবে
আইএলও, সমকাল ও বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা

আইএলও-আইএফসির বেটার ওয়ার্ক বাংলাদেশ, সমকাল এবং দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের যৌথ আয়োজনে তৈরি পোশাকশিল্পে দায়িত্বশীল ব্যবসার বিষয়ে গোলটেবিল বৈঠকে আমন্ত্রিত অতিথিরা। শনিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সমকাল কার্যালয়ে সমকাল
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৪ | ০০:৪৭
রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক একটি আন্তর্জাতিক পণ্য। এ খাতে সরবরাহ চেইনে বিদেশি ব্র্যান্ড-ক্রেতা, ভোক্তা, উন্নয়ন সহযোগী এবং দেশে কারখানার মালিক-শ্রমিক, সরকারসহ বিভিন্ন পক্ষের সম্পৃক্ততা রয়েছে। শিল্পের জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে দায়িত্বশীল ব্যবসার জন্য সব পক্ষের যার যা করণীয়, তা সঠিকভাবে করতে হবে। জবাবদিহির জায়গায় সব পক্ষকে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে। এতে প্রকারান্তরে সবাই লাভবান হবেন।
‘পোশাকশিল্পে দায়িত্বশীল ব্যবসা পরিচালনা : অর্জন এবং আগামীর করণীয়’ শিরোনামে গোলটেবিল আলোচনায় গতকাল শনিবার এসব কথা বলেছেন অংশীজন। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সমকাল কার্যালয়ের সেমিনার হলে আইএলও-আইএফসির বেটার ওয়ার্ক বাংলাদেশ, সমকাল ও ইংরেজি দৈনিক দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড যৌথভাবে বৈঠকটি আয়োজন করে। আইএলওর বেটার ওয়ার্ক প্রোগ্রাম বাংলাদেশের (বিডব্লিউবি) টিম লিডার সৈয়দ ফজলে নিয়াজ এবং সমকালের সহযোগী সম্পাদক জাকির হোসেন বৈঠক সঞ্চালনা করেন।
বৈঠকে প্রধান অতিথি ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এইচ এম ইব্রাহিম। তিনি বলেন, যেসব কারখানার মালিক শ্রমিকদের বেতন নিয়ে টালবাহানা করবেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার। ইতোমধ্যে এ রকম দু’জন মালিকের বিদেশে যাওয়ার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে মূলত শ্রম অধিকার প্রশ্নে সরকারের পক্ষ থেকে কঠোর
বার্তা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ব্যবসা পরিচালনা আরও মসৃণ করতে প্রয়োজনীয় সব নিবন্ধনের মেয়াদ পাঁচ বছরের জন্য করা হবে। সংসদীয় কমিটির আগামী বৈঠকেই বিষয়টি এজেন্ডাভুক্ত করা হবে।
এইচ এম ইব্রাহিম জানান, শ্রমবিষয়ক বিভিন্ন আন্তর্জাতিক রীতিনীতির অনেকটিই পরিপালন করা হয়েছে। কয়েকটির বিষয়ে সময় চাওয়া হয়েছে। আইএলওর বোর্ড সদস্য নির্বাচিত হচ্ছে বাংলাদেশ। এ পর্যন্ত ১৪৫টি দেশ বাংলাদেশকে সমর্থন জানিয়েছে। ৩ জুন জেনেভায় অনুষ্ঠেয় আইএলওর বৈঠকে এ বিষয়ে চূড়ান্ত ঘোষণা আসবে।
সরকার ১ কোটি ২৫ লাখ মানুষকে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় বিভিন্ন সুবিধা দিচ্ছে। এ কর্মসূচির আওতায় পোশাক শ্রমিকদের জন্য রেশন হিসেবে নিত্যপণ্য দেওয়া সম্ভব কিনা– বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেমের এ রকম এক প্রশ্নের জবাবে এইচ এম ইব্রাহিম বলেন, তিনি সংশ্লিষ্ট পর্যায়ে এ প্রস্তাব উত্থাপন করবেন।
বৈঠকে স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশে আইএলওর কান্ট্রি ডিরেক্টর টুওমো পুটিআইনেন বলেন, বাংলাদেশ পোশাক খাতে দীর্ঘ সংস্কার কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এ কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা প্রয়োজন। বেসরকারি খাতকে এ বিষয়ে বিনিয়োগ চালিয়ে যেতে হবে। পোশাক খাতে দায়িত্বশীল ব্যবসা পরিচালনার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে সব পক্ষের দায়িত্ব রয়েছে। দায়িত্বশীল ব্যবস্থাপনায় ব্র্যান্ড-ক্রেতাদের সঙ্গে আলোচনা প্রয়োজন। শ্রমিকদের যেমন কথা বলতে দিতে হবে, তেমনি তাদেরও দায়িত্বশীলতা রয়েছে। একটি কাঙ্ক্ষিত পরিবেশ তৈরিতে সুশাসন গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক তথ্য-উপাত্ত দরকার। এ ক্ষেত্রে আইএলওর বেটার ওয়ার্ক কর্মসূচি ভালো ভূমিকা রাখতে পারে।
বৈঠকে বিষয়ের ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। তিনি বলেন, দায়িত্বশীল ব্যবসা পরিচালনা নীতি বিশ্বব্যাপী একটা আইনি কাঠামোর অধীনে প্রবেশ করেছে। মালিক-শ্রমিকসহ সব পক্ষই দায়িত্বশীলতা ও জবাবদিহির আওতায় আসছে। ব্র্যান্ড-ক্রেতারা কোথা থেকে পণ্য সংগ্রহ করছেন, সেখানকার জবাবদিহির কথাও আইএলওর ডিক্লারেশনে বলা হয়েছে। এগুলো কারখানা পর্যায়ে পরিপালনের উদ্যোগ নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে আইএলওর যেসব কনভেনশনে বাংলাদেশ অনুস্বাক্ষর করেছে, সেগুলো বাস্তবায়ন করলেই এ-সংক্রান্ত সব আন্তর্জাতিক আইন পরিপালন হয়ে যাবে। পোশাক খাতে এ-সংক্রান্ত সংস্কারে যে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত তৈরি হয়েছে, তা অন্যান্য খাতেও অনুসরণ করতে হবে।
আইএলওর বেটার ওয়ার্ক প্রোগ্রামের সুবিধা নিয়ে গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ৫০টি ব্র্যান্ড ও ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করা ৪৭২টি কারখানায় এ কর্মসূচি চলছে। গত ১০ বছরে ১৩ লাখ শ্রমিক এ কর্মসূচির আওতায় এসেছে। দেখা গেছে, বেটার ওয়ার্ক কর্মসূচি রয়েছে এমন কারখানার শ্রমিকরা ৫ শতাংশ বেশি বেতন পান। তাদের সময়মতো বেতন হয়। তাদের সঞ্চয় তুলনামূলক বেশি। এ কর্মসূচি কিংবা অন্য নামে একই কাজ অন্যান্য কারখানায়, এমনকি পোশাক খাতের বাইরে অন্যান্য কারখানায়ও অনুসরণ করা যায়। এ জন্য একটি জাতীয় কর্মপরিকল্পনা করার পরামর্শ দেন তিনি।
আলোচনায় বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি বলেন, দেশে-বিদেশে সবাই শ্রমিকের মজুরি নিয়ে কথা বলেন। কিন্তু আইএলও, শ্রমিক সংগঠন কিংবা ক্রেতাদের কেউ পণ্যের ন্যায্যমূল্য দেওয়ার বিষয়ে কথা বলেন না। এটি খুবই দুঃখজনক। কারখানা মালিকরা ক্রেতাদের দ্বারা নিগৃহীত, ব্যাংক দ্বারা নিগৃহীত। ব্যাংকগুলো ঋণ দিতে চায় না। এ রকম বিভিন্ন কারণে দেশে বর্তমানে ৮০ শতাংশ কারখানা ও কারখানা মালিক ‘আইসিউতে’ আছে। কারণ, কম মূল্য পাওয়া ও অর্থ সংকটে অনেকেই শ্রমিকের বেতন দিতে পারেন না; ব্যাংকের ঋণ শোধ করতে পারেন না। এতদিন ব্যাংকে ছয় মাস পরপর ঋণ শ্রেণীকরণ করা হতো। কিন্তু এখন বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, তিন মাস পরপর করতে। পোশাক খাতের কারখানাগুলো গলাটিপে হত্যা করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক প্রস্তুতি নিচ্ছে।
নানা সংকটে বছরে প্রায় দেড়শ কারখানা নাই হয়ে গেছে– এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, সামনে আরও বেশি হারে কারখানা বন্ধ হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। আইএলও মজুরি বিষয়ে কথা বলে। কিন্তু ক্রেতারা পণ্যের যথাযথ দর দিচ্ছেন কিনা, তা তারা নজরদারি করে না।
সমাপনী বক্তব্যে আইএলওর বেটার ওয়ার্ক প্রোগ্রামের বাংলাদেশ কান্ট্রি প্রোগ্রাম ম্যানেজার আনিস মোহামেদ নুগ্রোহো বলেন, তারা পোশাক খাতের উদ্যোক্তাদের দুই সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ এবং শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে কাজ করছেন। অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে আরও কীভাবে কাজ করা যায়, সেই চেষ্টা করছেন তারা।
আইএলওর বেটার ওয়ার্ক প্রোগ্রামের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার লিটিসিয়া ওয়াইবেল বলেন, পোশাকশিল্পে দায়িত্বশীল ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে ব্র্যান্ড-ক্রেতা, সরকার, কারখানার শ্রমিক-মালিক সব পক্ষের পারস্পরিক আস্থা প্রয়োজন; সমন্বয় ও সহযোগিতা প্রয়োজন। তিনি বলেন, আইএলওর বেটার ওয়ার্ক কর্মসূচি অংশীদারিত্বভিত্তিক। শ্রমিক অধিকার ও তাদের নিরাপত্তার প্রশ্নে কর্মসূচির ধারাবাহিকতা প্রয়োজন।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেন, আইএলওর বেটার ওয়ার্ক প্রোগ্রামের ফলে কারখানার ব্যবস্থাপনা মান উন্নত হয়েছে, যার সুবিধা পায় কারখানাগুলো। এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, দেশের বর্তমান অর্থনীতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হলে টেকসই অর্থনীতির দিকে এগোতে হবে। তৈরি পোশাক রপ্তানিতে এখন বাংলাদেশ দ্বিতীয়। এ শিল্পকে কেন্দ্র করে অনেক নতুন শিল্প গড়ে উঠছে। এখন দরকার এসব শিল্পে কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করা।
আলোচনায় বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, পোশাকশিল্পে ব্যবসা পরিচালনায় দায়িত্বশীলতার বিষয়টি কোনো পক্ষের একার নয়। ব্র্যান্ড-ক্রেতা, সরকার, মালিক ও শ্রমিক– সব পক্ষের ভূমিকা দরকার। ক্রেতারা ন্যায্য দর না দিলে মালিকরা শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি দিতে পারবে না। শ্রমিকরা ন্যায্য মজুরি না পেলে কাজ করতে পারে না। সরকার অবকাঠামো সহায়তা না দিলে মালিকরা বিনিয়োগ করতে পারবে না।
পণ্যের দর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সম্প্রতি দর আরও কমেছে। অথচ উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে। আর্থিক ক্ষতি মেনে নিয়েই টিকে থাকার চেষ্টা করছেন উদ্যোক্তারা। কারণ, দেশে এক্সিট পলিসি না থাকায় অনেক উদ্যোক্তা বাধ্য হয়ে এখন কারখানা চালু রাখছেন। রপ্তানি প্রণোদনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ মুহূর্তে প্রণোদনা প্রত্যাহার হলে শিল্প সংকটে পড়বে। প্রণোদনা প্রত্যাহার করলে শিল্পের জন্য সহায়ক একটা নীতিমালা সরকারকে দিতে হবে। সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে গ্রহণযোগ্য একটি নীতিমালা নেওয়া হলে শিল্প অস্তিত্ব নিয়ে টিকে থাকতে পারবে।
বেশির ভাগ কারখানায় ইটিপি ও বয়লার ব্যবস্থাপনা থাকলেও দক্ষতার জায়গায় ঘাটতি রয়েছে বলে মনে করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের যুগ্ম মহাপরিদর্শক মো. মতিউর রহমান। তিনি বলেন, শ্রমিকদের চাকরি নাই মানে তারা নিরাপত্তাহীন। এ ক্ষেত্রে বেটার ওয়ার্ক নজর দিতে পারে। তবে শ্রমঘন এলাকায় বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির সরবরাহ আছে কিনা, জীবনযাত্রা ও শিক্ষা ব্যবস্থা ব্যয়বহুল কিনা– এসব বিষয়ে খতিয়ে দেখতে হবে। এসব ক্ষেত্রে বেটার ওয়ার্ক কাজ করতে পারে।
ন্যাশনাল কোঅর্ডিনেশন কমিটি ফর ওয়ার্কার্স এডুকেশনের (এনসিসিডব্লিউই) সদস্য সচিব চৌধুরী আশিকুল আলম বলেন, উৎপাদনশীলতা বাড়াতে অন্যায্য চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে শ্রমিকদের ওপর। তাদের অধিকার খর্ব হচ্ছে কিনা, তা দেখতে হবে। কারণ শ্রমিক অসন্তোষে যে সমস্যা বা পরিণতি হবে, তা বিশেষ করে রাষ্ট্র ও এ খাতের সংশ্লিষ্টদের ভোগ করতে হবে। তবে এটিও দেখতে হবে, কারখানা চালাতে গিয়ে অগোচরে খারাপ কিছু ঘটছে কিনা। তবে এসব সত্ত্বেও এটাও ঠিক, কারখানাগুলোকে প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে থাকতে হবে।
বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশনের (বিএলএফ) সভাপতি শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর বলেন, বর্তমান বাজার বিবেচনায় শ্রমিকদের মজুরি অনেক কম। ফলে কারখানা মালিক ও ক্রেতারা ভালো থাকলেও ভালো নেই শ্রমিকরা। মূল্যস্ফীতি ও বর্তমান বাজারমূল্য বিবেচনায় নিয়ে শ্রমিকদের যৌক্তিক মজুরি নির্ধারণ করা উচিত। অসুস্থ হলে অর্থের অভাবে সুচিকিৎসা পান না শ্রমিকরা। এসব বিষয়ে সব পক্ষকে দৃষ্টি দিতে হবে।
বাংলাদেশ টেক্সটাইল অ্যান্ড গার্মেন্ট ওয়ার্কার্স লীগের সভাপতি জেড এম কামরুল আনাম বলেন, আইন অনুযায়ী শিল্পকারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার আছে। তবে শিল্প বাঁচলে মালিকরা বাঁচবে, দেশও বাঁচবে। ১০ বছর আগে পোশাকের রপ্তানি মূল্য কত ছিল আর এখন কত, তা বিবেচনা করা দরকার। তিনি বলেন, পোশাক খাতের কারখানায় শ্রমনীতি কিছুটা হলেও মানা হয়। তবে অন্যান্য খাতে শ্রমনীতির প্রয়োগ কতটুকু হচ্ছে, তা দেখা জরুরি হয়ে পড়েছে।
এফবিসিসিআইর পরিচালক ও অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র খাতের ব্যবসায়ীদের সংগঠন ইসাবের সভাপতি নিয়াজ আলী চিশতী বলেন, পোশাক রপ্তানিতে আগের মতো মুনাফা করার সুযোগ হয়তো কমে আসবে। তবে এখন মনোযোগ দিতে হবে উৎপাদন ব্যয় কমানের দিকে। যেমন– কারখানায় অতিরিক্ত বেতনে বিদেশি কর্মী নিয়োগ না দিয়ে দেশে দক্ষ কর্মী তৈরি করা। তাতে একজন বিদেশি কর্মীর বেতন দিয়ে কয়েকজন দেশি কর্মী নিয়োগ দেওয়া যাবে। এতে কারখানায় ব্যয় কমে আসবে।
স্বাগত বক্তব্যে সমকালের পরিকল্পনা সম্পাদক ফারুক ওয়াসিফ বলেন, দীর্ঘ সাড়ে চার দশকের পথপরিক্রমায় অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে পোশাক খাত আর্থসামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখছে। বিশেষ করে নারীর ক্ষমতায়ন এবং কর্মসংস্থানে পোশাক খাতের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের বিশেষ প্রতিনিধি জসিম উদ্দিন বলেন, পোশাকশিল্পে দায়িত্বশীল ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে মাঠ পর্যায়ে ব্র্যান্ড, ক্রেতা, সরকার, মালিক-শ্রমিক সব পক্ষেরই কিছু দুর্বলতা দুঃখজনকভাবে এখনও লক্ষণীয়। সব পক্ষের দায়িত্বশীল ভূমিকা ছাড়া এ ক্ষেত্রে খুব বেশি এগোনো যাবে না।
- বিষয় :
- আইএলও