আন্তঃসীমান্ত নদীতে ভারতের প্রতীকী বাঁধ ভাঙল শিক্ষার্থীরা

ছবি-সমকাল
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩০ আগস্ট ২০২৪ | ২০:৫৫ | আপডেট: ৩০ আগস্ট ২০২৪ | ২২:৫১
বাংলাদেশ ভারতের মধ্যকার আন্তর্জাতিক নদীতে ভারতের অবৈধ ও একতরফা বাঁধ নির্মাণের প্রতিবাদে প্রতীকী বাঁধ ভাঙা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে।
শুক্রবার বিকেলে ইনকিলাব মঞ্চের একটি কর্মসূচিতে প্রতীকী বাঁধ ভেঙে প্রতিবাদ জানানো হয়। এ সময় আগামী শুক্রবার ঢাকা থেকে ত্রিপুরার ডুম্বুর বাঁধ অভিমুখে ছাত্র জনতার লংমার্চ ঘোষণা করা হয়।
‘গণধিক্কার ও ভাঙার গান’ শীর্ষক অনুষ্ঠানটিতে শিক্ষার্থীরা প্রতিরোধমূলক সংগীত ভাঙার গান, কবিতা আবৃত্তি করেন। পরে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুলের ‘কারার ঐ লৌহ কবাট’ সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে প্রতীকী বাঁধ ভাঙা হয়। এ সময় বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আহমদ আতাউল্লাহ সালমান ও মোহাম্মদ শাহীন, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, একাদশ শতাব্দীতে বাংলাদেশে নদীর সংখ্যা ছিল প্রায় দেড় হাজার। এখন বর্ষাকালে পানি থাকলেও শীতকালে প্রায় পুরোটাই যেন ধানক্ষেত। যেখানে বাংলার চিরাচরিত রূপ ছিল নদীময়। নদীর পানি প্রবাহের ওপরেই যে দেশের জন্ম, নদী বিপন্ন হলে সে দেশের অস্তিত্বও কতটা হুমকির সম্মুখীন হতে পারে তা বলা বাহুল্য। বাংলাদেশের নদীগুলো যেভাবে খুন হচ্ছে তার উল্লেখযোগ্য কারণ হলো ভারতের অন্যায় একতরফা আগ্রাসী তৎপরতা।
ভারত আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত আইন অমান্য করেছে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, শক্তির জোরে একের পর এক বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ৫৪টি নদীর প্রায় সব প্রবাহ পথে বাঁধ দিয়ে বাধার সৃষ্টি করে এর বিশাল পানিপ্রবাহ কৃত্রিম খালের সাহায্যে উঁচু অঞ্চলে প্রবাহিত করে কৃষিক্ষেত্রসহ ইচ্ছেমতো সকল ক্ষেত্রে পানি ব্যবহার করছে। ভারতের এসব আগ্রাসী তৎপরতা রুখে দাঁড়ানোর এখনই সময়।
তারা আরও বলেন, উজানে ভারত গঙ্গার ওপর ফারাক্কা বাঁধ ও অন্যান্য নদীতে বাঁধের কারণে প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা সুন্দরবনের মতন অমূল্য সম্পদ আজ ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে। বনটি বেঁচে থাকার জন্য যে পরিমাণ স্বাদু পানির প্রয়োজন, তা পাচ্ছে না।
সমাবেশে উপস্থিত বক্তারা বলেন, কৃষির অবস্থা সবচেয়ে ভয়াবহ। পানির স্তর অনেক নেমে যাওয়ায় দক্ষিণাঞ্চলের জি-কে সেচ প্রকল্প মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেচযন্ত্রগুলোর অনেকগুলোই বন্ধ হয়ে আছে অথবা সেগুলোর ওপর তার ক্ষমতার চাইতে বেশি চাপ পড়ছে। শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশের ৩২০ কিলোমিটারের বেশি নৌ পথ নৌ যান চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। ফলশ্রুতিতে, কয়েক হাজার লোক বেকার হয়ে পড়ে।
- বিষয় :
- ভারত
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
- রাজু ভাস্কর্য