ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

ঢামেকে বহির্বিভাগ বন্ধ 

জরুরি বিভাগে রোগীর চাপ, স্বজনদের ক্ষোভ 

জরুরি বিভাগে রোগীর চাপ, স্বজনদের ক্ষোভ 

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে বেড়েছে রোগীর চাপ

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১৩:৩২ | আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১৩:৫৮

চিকিৎসকদের শর্ত অনুযায়ী ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে জরুরি সেবা চালু হয়েছে। তবে বহির্বিভাগ ও রুটিন সেবা চালু হয়নি। এতে জরুরি বিভাগে বেড়েছে রোগীর চাপ।

সোমবার সকালে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, বহির্বিভাগের টিকিট কাউন্টারে তালা ঝুলছে। কাউন্টারের সামনে অপেক্ষায় রয়েছেন ১০ থেকে ১২ জন রোগী ও স্বজন। তারা ঢাকা ও আশপাশের এলাকা থেকে বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা নিয়ে এসেছেন। তাদের অনেকেই চিকিৎসকদের এই কর্মবিরতি ও আন্দেলনের খবর জানতেন না।

বহির্বিভাগ থেকে সেবা না পেয়ে রোগী ও তাদের স্বজনদের অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কেউ কেউ হাসপাতাল ছেড়ে চলে যান। তেমনই একজন হাজারীবাগের বাসিন্দা জব্বার আলী। তিনি মেয়ে শাহিদাকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছেন। তার মেয়ের চর্মরোগের জটিলতা আছে।

জব্বার বলেন, গত দুইদিন ধরে ঢামেকে আসছি ডা. দেখাতে। কিন্তু দুই দিনই কোনো চিকিৎসককে পাইনি। এখানকার একজন নার্স জানালেন, চিকিৎসকরা আন্দোলন করছেন বলে বহির্বিভাগে সেবা বন্ধ। অন্য কোনো দিন আসতে হবে।

হাজারীবাগের বাসিন্দা রোকেয়া বেগমের চর্মরোগজনিত জটিলতা আছে। ঢামেকে এসে চিকিৎসক দেখাতে না পেরে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। রোকেয়া বলেন, চিকিৎসকের আন্দোলনের খবর জানতাম না। জানলে টাকা খরচ করে হাসপাতালে আসতাম না। এখন কি করব। হাসপাতালে যখন এসেছি, ডা. দেখিয়েই যাব। এরপর তিনি জরুরি বিভাগের দিকে চলে যান।

বহির্বিভাগের সেবা বন্ধ থাকায় রোকেয়া বেগমের মতো অনেকেই জরুরি বিভাগে এসে ডা. দেখাচ্ছেন। রোগীর চাপে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা।

হাসপাতালে রুটিনসেবা বন্ধ থাকায় জরুরি বিভাগ থেকেও রোগী ফিরে যেতে দেখা যায়। তেমনই একজন হ্যাপি আক্তার। তিনি নারায়ণগঞ্জ থেকে এসেছেন। ঢামেকে তার পিত্তথলির অস্ত্রোপচার হয়েছিল এক সপ্তাহ আগে। সেই অস্ত্রোপচারের সেলাই কাটতে আজ ঢামেকে এসেছেন। কিন্তু, একবার বহির্বিভাগ, আরেকবার জরুরি বিভাগ থেকে তাকে ফেরত যেতে হয়।

তিনি বলেন, ‌‘আমি তিনবার বহির্বিভাগে, দুইবার জরুরি বিভাগে গিয়ে সেবা পাইনি। জরুরি বিভাগ থেকে বলা হলো, পরে আসেন। সেলাই কাটার বিষয়টি পরে করলেও চলবে বলেন চিকিৎসকরা।’

বেলা সোয়া ১২টার দিকে ঢামেকের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আাসাদুজ্জামান হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের জরুরি বিভাগের সেবা চালু হয়েছে রোববার রাত থেকেই। চিকিৎসকদের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করা হয়েছে। ভর্তি রোগীদের, আইসিইউ ও সিসিইউ পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে। আজকের মধ্যে বাকি সেবা চালুর হওয়ার আশা করছি।

ঢামেকের ক্যাজুয়ালিটি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আরিফ হোসেন বলেন, বহির্বিভাগের রোগীর সেবা জরুরি বিভাগে দেওয়া সম্ভব নয়। অন্যান্য দিনের মতো আজ জরুরি বিভাগে রোগীরা আসছেন। আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছি।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সূত্রে জানা গেছে, ২৬০০ আসনের হাসপাতালে দৈনিক পাঁচ হাজার রোগী সেবা নিতে আসেন।

আরও পড়ুন

×