বিবিএসের জরিপ
শেরপুরে স্কুলে যায় না ৩৬ শতাংশ আদিবাসী

ফাইল ছবি
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২২:২২
শেরপুরের আদিবাসীদের ৩৬ শতাংশ কোনো দিন স্কুলে যায়নি। কর্মসংস্থান, শিক্ষা কিংবা প্রশিক্ষণে নেই তাদের এক-চতুর্থাংশ। সাক্ষরতার হার ৬৪ শতাংশ, যা জাতীয় হারের চেয়ে অনেক কম। সাক্ষরতার জাতীয় হার ৭৭ দশমিক ৯ শতাংশ।
‘শেরপুর জেলায় বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী জরিপ ২০২৪’ প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে। গতকাল সোমবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) তাদের জরিপের প্রাথমিক ফলাফল প্রকাশ করে।
রাজধানীর আগারগাঁও পরিসংখ্যান ভবনে এ-সংক্রান্ত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা সচিব মাহবুব হোসেন। বিবিএসের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে বক্তৃতা করেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মফিদুর রহমান, শেরপুরের জেলা প্রশাসনের পক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হাফিজা জেসমিন প্রমুখ। প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন প্রকল্পের পরিচালক ও বিবিএসের উপপরিচালক ফারহানা সুলতানা।
জরিপে বলা হয়, শেরপুরের জনসংখ্যা ১৫ লাখ ১ হাজার ৮৫৩ জন। এর মধ্যে আদিবাসী ২০ হাজার ৮৪০। গারো, কোচ, বর্মণ, হাজং, ডালু, হুদি, মসুর, মার্মা, ম্রো, চাক, মাহালীসহ অন্তত ১৬টি আদিবাসী গোষ্ঠী রয়েছে। এসব ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে পুরুষপ্রধান পরিবার ৭৩ দশমিক ২৭ এবং নারীপ্রধান পরিবার ২৬ দশমিক ৭৩ শতাংশ।
এতে বলা হয়, আদিবাসীদের মধ্যে প্রাথমিক স্কুলগামী মাত্র ২০ দশমিক ৮৪ শতাংশ। শিক্ষায় হাজংরা সবচেয়ে এগিয়ে, হার ৭৩ দশমিক ৪১ শতাংশ। এর পর গারো ৬৬ দশমিক ১৩ শতাংশ। মাত্র ৩ দশমিক ২৪ শতাংশ উচ্চ শিক্ষা (স্নাতক ও স্নাতকোত্তর) পর্যায়ে অধ্যয়ন করছে।
শেরপুরের আদিবাসীদের ৯৮ শতাংশ জাতীয় গ্রিডের আওতায় বিদ্যুৎ সংযোগ সুবিধা পায়। অন্যরা সোলার বা অন্য উৎস ব্যবহার করে। নিরাপদ সুপেয় পানির সুবিধা পায় ৯৭ দশমিক ৩৩ এবং উন্নত শৌচাগার ব্যবহার করে ৮৭ দশমিক ১৫ শতাংশ।
পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা সচিব বলেন, ‘জরিপ থেকে জেলার আদিবাসীদের অবস্থা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া গেল। এটিকে পাইলট প্রকল্প ধরে, সব জেলায় এমন জরিপ করা যেতে পারে।’ বিবিএসের মহাপরিচালক জানান, তিন পার্বত্য জেলায় তাদের এমন জরিপের পরিকল্পনা রয়েছে।
- বিষয় :
- আদিবাসী শিশু
- শিক্ষা