যুবদল নেতাকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান, এক ঘণ্টা পর বাড়ির পাশে মিলল লাশ

আমজাদ হোসেন
নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬ জুলাই ২০২৫ | ১৭:১১
ঢাকার নবাবগঞ্জে বাড়ির পাশের ক্ষেত থেকে উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেনের (৫২) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ রোববার সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করেন স্বজন ও এলাকাবাসী। এর এক ঘণ্টা আগে তাকে গ্রেপ্তার করতে তার বাড়িতে এসেছিল পুলিশ।
নিহত যুবদল নেতা আমজাদ হোসেন উপজেলার বান্দুরা ইউনিয়নের মৃধাকান্দা গ্রামের মৃত আবদুল খালেকের ছেলে। একটি মামলায় আদালত তাকে এক বছরের কারাদণ্ড দেন। সেই মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। তাছাড়াও তার নামে ঢাকা জেলার বিভিন্ন থানায় রাজনৈতিক ও জমি-জমাসহ ২৭টি মামলা ছিল বলে জানিয়েছেন তার স্বজনরা।
নিহতের স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ ভোর ৪টার দিকে আমজাদকে গ্রেপ্তার করতে তার বাড়িতে আসে নবাবগঞ্জ থানা-পুলিশ। তাকে না পেয়ে পুলিশ ফিরে যায়। এ সময় আমজাদের স্ত্রী ঘরের দরজা দিয়ে পুলিশের গাড়ি চলে গেছে জানালে আমজাদ বের হন। স্ত্রীর ধারণা, তিনি মসজিদে নামাজ পড়তে গেছেন। ভোর সাড়ে ৫টার দিকে মসজিদের মুসল্লিরা মৃধাকান্দার রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পথে ক্ষেতের পাশে আমজাদের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। এ সময় তারা আমজাদের পরিবারকে খবর দেন। পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা আমজাদকে উদ্ধার করে নবাবগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে হাসপাতাল থেকে লাশ বাড়ি নিয়ে যান স্বজনরা।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে যুবদল নেতা আমজাদকে হত্যা করা হয়েছে বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় দলীয় নেতা-কর্মী ও স্বজনরা ছুটে আসে আমজাদের বাড়িতে। সংবাদ পেয়ে নবাবগঞ্জ থানার পুলিশ আমজাদের বাসায় গিয়ে ঘটনার বিস্তারিত জানার চেষ্টা করে।
আমজাদের স্ত্রী মাহফুজা বেগম বলেন, ‘আমি জানি না, আমার স্বামী কীভাবে মারা গেলেন।’
আমজাদের ভাই জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ভাই রাজনীতি করে। তার অনেক প্রতিপক্ষ আছে। পুলিশ তাকে ধরতে এলেও সে কেন ক্ষেতে গিয়ে পড়ে মারা গেল? এটা আমরা বুঝতে পারছি না।’
আমজাদের বড় মেয়ে আশা আক্তার বলেন, ‘বাবার মুখে ও চোখের কোণে জখমের চিহ্ন রয়েছে। তবে বাবাকে কেউ হত্যা করেছে কিনা তা এখনো বলতে পারব না।’
এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম বলেন, আমজাদ হোসেনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হতে ময়নাতদন্ত করা জরুরি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
- বিষয় :
- ঢাকা
- যুবদল নেতা
- মরদেহ উদ্ধার