ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার সিন্ডিকেটমুক্ত করতে বায়রার ৮ দাবি 

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার সিন্ডিকেটমুক্ত করতে বায়রার ৮ দাবি 

বায়রার সংবাদ সম্মেলন

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৪ | ১৭:৪৩ | আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২৪ | ১৭:৪৬

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার সিন্ডিকেটমুক্ত করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজের (বায়রা) সদস্যরা। বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই আহ্বান জানানো হয়। এ লক্ষ্যে তারা আট দফা দাবি উত্থাপন করেন। 

বায়রার দাবিগুলো হলো- সিন্ডিকেটের মূলহোতা রুহুল আমিন স্বপনসহ সিন্ডিকেটের পরিকল্পনাকারী, বাস্তবায়নকারী, নিয়ন্ত্রণকারী বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী-এমপি ও নেতাদের বিচারের আওতায় আনা, বিগত সরকারের পদাঙ্ক অনুসরণ করে সিন্ডিকেটকে প্রশ্রয় না দেওয়া, দুই দেশের সমঝোতা স্মারকে সন্নিবেশিত বাংলাদেশের রিক্রুটিং এজেন্সি মালয়েশিয়া সরকার সিলেকশন করার সুযোগ বাতিল, সিন্ডিকেটের অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে নির্দিষ্ট সময়ে যেতে না পারা কর্মীদের কম খরচে পুনরায় মালয়েশিয়া পাঠানো, নেপালসহ অন্যান্য ১৩টি দেশ থেকে মালয়েশিয়া যে প্রক্রিয়ায় কর্মী গ্রহণ করে ঠিক বাংলাদেশ থেকেও একই পক্রিয়ার শ্রমিক পাঠানো, বিতর্কিত ও দুর্নীতিগ্রস্ত এফডব্লিবউসিএমএস অনলাইন পদ্ধতি বাদ দিয়ে বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অনলাইন পদ্ধতি এবং মালয়েশিয়া সরকারের প্রস্তাবিত ইপ্যাক্স পদ্ধতি বা ম্যানুয়েল পদ্ধতি ব্যবহার, এফডব্লিবউসিএমএসের মাধ্যমে মেডিকেল পদ্ধতি বাদ দিয়ে বাংলাদেশ সরকারের প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত যেকোনো মেডিকেল সেন্টারের মাধ্যমে মেডিকেল চেকআপ এবং ম্যানুয়েল পদ্ধতিতে চালু হওয়া দূতাবাসের সত্যায়ন অব্যহত রাখাসহ সিন্ডিকেটকে সহায়তাকারী বিগত সরকারের আমলে নিয়োগ করা মন্ত্রণালয় ও দূতাবাসের কর্মকর্তাদের অপসারণ করা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বায়রার যুগ্ম মহাসচিব ফখরুল ইসলাম। তিনি বলেন, বিগত সরকারের আমলে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠাতে সিন্ডিকেট সৃষ্টি করা হয় যার মূলহোতা ছিলেন বায়রার সাবেক সভাপতি রুহুল আমীন ও কাজী মফিজুর রহমান। এই হোতাদের সহযোগিতা করতেন তখনকার মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের নেতারা। তারা বায়রাকে একটি দলীয় সংগঠন হিসেবে ব্যবহার করতেন। সিন্ডিকেটে রহুল আমীনের সঙ্গে ছিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, সাবেক এমপি নিজাম হাজারী, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও আওয়ামী লীগ নেতা মহিউদ্দিন আহমেদ।

ফখরুল ইসলামের অভিযোগ, সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সেই সময় ৫০ হাজার শ্রমিক প্রতারণা হয়েছে। তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা নেওয়া হয়েছে। ফলে এই সেক্টরের উদ্যোক্তারা চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বায়রার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রিয়াজ উল ইসলামের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সংগঠনের খন্দকার আবু আশফাক। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বায়রার সাবেক যুগ্ম মহাসচিব নুরুল আমিন, কার্যনির্বাহী সদস্য হক জহিরুল জুও ও কামাল উদ্দিন দিলু, সদস্য মাহবুব করীম জাফর, আজাদুর রহমান প্রমুখ।
 

আরও পড়ুন

×