মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার

মালয়েশিয়া কর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী।

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বাংলাদেশিদের জন্য খুলতে যাচ্ছে– খবরে আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে জনশক্তি ব্যবসায়ী ‘সিন্ডিকেটের’ পক্ষে-বিপক্ষের লোকজন। গতকাল সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা

প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেছেন, মালয়েশিয়ায় লোক নেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন দেশটির মানবসম্পদমন্ত্রী স্টিভেন সিম চি কেওয়ং। বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি লোক নেওয়া হবে।

অভিবাসী কর্মীদের স্বার্থকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে মালয়েশিয়াসহ সংশ্লিষ্ট সব শ্রমবাজার শিগগিরই খুলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজ (বায়রা)। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইস্কাটনে প্রবাসী কল্যাণ ভবনের সামনে এ আহ্বান জানিয়ে মানববন্ধন করেছে সংগঠনটি। 

মালয়েশিয়া পাঠানোর দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে রাখা আন্দোলনকারীরা প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অভিমুখে রওনা হয়েছেন। সেখানে তারা অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন। 

বাংলাদেশের সাধারণ নারী কর্মীদের আপাতত মালয়েশিয়া না যাওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার দেশটির রাজধানী কুয়ালালামপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন এক বিজ্ঞপ্তিতে এ অনুরোধ জানিয়েছে।

মালয়েশিয়ার সেলাঙ্গর রাজ্যে ২১৪ বাংলাদেশিসহ ৬০২ অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। শনিবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টায় সেলাঙ্গর রাজ্যে একটি সমন্বিত অভিযান চালানো হয়।

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার সিন্ডিকেটমুক্ত করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজের (বায়রা) সদস্যরা। বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এই আহ্বান জানান। এ লক্ষ্যে তারা আট দফা দাবি উত্থাপন করেন। 

যে বয়সে হাতে বই-খাতা নিয়ে স্কুলে যাওয়ার কথা, ঠিক সেই বয়সে অভাবের সংসারে অর্থের জোগান দিতে কাবেল মিয়া ধরেন ভ্যানের হ্যান্ডেল।

যাদের দোষে হাজারও কর্মী মালয়েশিয়া যেতে পারেনি, তাদের শাস্তি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েও পিছিয়ে এসেছে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়।