ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

রামপুরা খালে পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু ডিএনসিসির

রামপুরা খালে পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু ডিএনসিসির

রামপুরা খালে পরিষ্কার অভিযান কার্যক্রম পরিদর্শন করছেন ডিএনসিসির কর্মকর্তরা। ছবি: সংগৃহীত

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২৪ | ১১:০৯ | আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২৪ | ১১:২৯

জাতীয় যুব দিবস-২০২৪ উপলক্ষ্যে রাজধানীর রামপুরা খাল পরিষ্কার অভিযান শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। এসময় খালে ময়লা না ফেলার আহ্বান জানিয়েছেন ডিএনসিসি প্রশাসক মো. মাহমুদুল হাসান।

শুক্রবার (১ নভেম্বর) সকাল ৮টায় রামপুরা খালে পরিষ্কার অভিযান শুরু করে ডিএনসিসি। এ  কার্যক্রমে ডিএনসিসির ২৫০ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী অংশ নেয়। একটি অত্যাধুনিক ফ্লোটিং এস্কেভেটর ব্যবহার করে খালের তলদেশ থেকে ময়লা পরিষ্কার করা হয়। 

উল্লেখ্য, জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষ্যে সারাদেশে খাল পরিষ্কার কার্যক্রমের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ১ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই কার্যক্রম আগামী ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে। 

ডিএনসিসির প্রশাসক মো. মাহমুদুল হাসান এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম পরিষ্কার কার্যক্রম সরেজমিনে তদারকি করেন। এসময় তারা ফ্লোটিং এস্কেভেটরে চড়ে এর কার্যক্রম দেখেন। 

পরিদর্শন শেষে মাহমুদুল হাসান এলাকাবাসী ও পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। প্রশাসক বলেন, 'বর্জ্য পরিষ্কার ডিএনসিসির একটি নিয়মিত কাজের অংশ। প্রতিদিন আমাদের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা রাস্তা, ফুটপাত ও গৃহস্থালির বর্জ্য এবং খালের বর্জ্য অপসারণ করে। জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষ্যে সারা দেশে জাতীয়ভাবে ১৫ দিন ব্যাপী খাল পরিষ্কার কার্যক্রমের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে আমারও ডিএনসিসি থেকে এই বিশেষ কর্মসূচি শুরু করেছি। রামপুরা খালে পরিষ্কার কার্যক্রম শুরু হল এবং পর্যায়ক্রমে ডিএনসিসির অন্যান্য খালেও এই কার্যক্রম চলবে।'

তিনি আরও বলেন, 'ঢাকা শহরকে বাসযোগ্য ও নিরাপদ শহরে পরিণত করতে নানা ধরনের বর্জ্য সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় আনতে হবে। প্লাস্টিকের, পলিথিনের ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। গবেষণায় দেখা গেছে বিভিন্ন ধরনের মাইক্রো প্লাস্টিক খাদ্যদ্রব্যের মাধ্যমে আমাদের দেহে প্রবেশ করে জটিল রোগের সৃষ্টি করছে। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে হবে।’

এসময় খালের জমি কেউ যেন অবৈধভাবে দখল করতে না পারে এ ব্যাপারে সোসাইটির নেতাদেরকে সোচ্চার থাকার আহ্বানও জানিয়েছেন মাহমুদুল হাসান। তিনি বলেন, সবাইকে এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে। যত্রতত্র ময়লা ফেলা বন্ধ করতে হবে। খালে পয়োবর্জ্যের সংযোগ দেয়া যাবে না, ময়লা ফেলা যাবে না।'

পরিষ্কার কার্যক্রম পরিদর্শনে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগে. জেনা. মো মঈন উদ্দিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস চৌধুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং আফতাবনগর হাউজিং সোসাইটির নেতারা।

আরও পড়ুন

×