কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন ‘অকাজের কাজি’

কোলাজ
জাহিদুর রহমান
প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২৪ | ০৪:২৯ | আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২৪ | ১২:০৭
সই দিতে পারেন না, এমএলএসএস (পিয়ন) হয়ে মাস গেলে বেতন গোনেন অর্ধলাখ টাকা। গাড়িচালকও কম না– মাইনে ৫৩ হাজার। অফিস সহকারী পান ৬৮ হাজার টাকা। ক্লিনারের বেতন ৪৫ হাজার টাকা। এ গেল ছোট গোছের কর্মচারী। সর্বোচ্চ পদের নির্বাহী পরিচালক বেতন নেন চার লাখ, পরিচালকরা পাচ্ছেন প্রায় তিন লাখ আর সিনিয়র স্পেশালিস্টরা নেন আড়াই লাখ টাকা। কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বেতন দেওয়ার ক্ষেত্রে এমনই উদার কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন (কেজিএফ)! প্রতিষ্ঠানটি চালাতে বছরে প্রায় ৫০ কোটি টাকার খরচা। বেতনের পেছনে টাকা ওড়ালেও যে জন্য এই ফাউন্ডেশন, সেই কাজে ঠনঠন।
কৃষি গবেষণা ও উন্নয়নকাজে আর্থিক-কারিগরি সহায়তা দেওয়ার ঝান্ডা উড়িয়ে ২০০৭ সালে কেজিএফের আবির্ভাব। রাজধানীর ফার্মগেটের এই প্রতিষ্ঠান আদতে জয়েন্ট স্টক নিবন্ধিত কোম্পানি। তবে যাত্রার পর থেকেই কেজিএফ হয়ে যায় অবসরে যাওয়া কৃষি কর্মকর্তাদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে! কিছু গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে টাকা বরাদ্দ দেওয়া আর কয়েকটি প্রকাশনা বের করেই দায় শেষ। কাঁড়ি কাঁড়ি টাকায় যে গবেষণা হয়, তা কতটা কার্যকর– সেটির তদারকিরও যেন সময় নেই। গেল ১৮ বছরে কৃষি খাতে প্রতিষ্ঠানটির তেমন অবদান না থাকলেও ঠিকই খোলা ছিল অনিয়মের দরজা। নিয়োগ দুর্নীতি, আত্মীয়করণ, দলীয়করণ, ক্ষমতার অপব্যবহার করে আওয়ামীপন্থি একটি চক্র অনুদান লুটপাট করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
ফাউন্ডেশনের জনবল নীতিমালা অনুযায়ী, কিছু ছোট পদ ছাড়া প্রায় সব পদেই ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল রিসার্চ সিস্টেমভুক্ত প্রতিষ্ঠান থেকে অবসরে যাওয়া ব্যক্তিরা কেজিএফে চাকরির সুযোগ পান।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোটি কোটি টাকা খরচা করেও কেজিএফ কৃষির উন্নয়নে তেমন কিছুই করতে পারেনি। কিছু ব্যক্তির লোভের কারণে প্রতিষ্ঠানটি প্রাণ হারাচ্ছে। এ জন্য দরকার জনবল ঢেলে সাজানো। যোগ্য নেতৃত্ব পেলে কেজিএফ কৃষিতে অভাবনীয় অবদান রাখতে পারবে বলে মনে করেন গবেষকরা। তারা আশা করছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে খুঁড়িয়ে চলা প্রতিষ্ঠানটি ঘুরে দাঁড়াবে; গবেষণায় আলো ছড়াবে।
এদিকে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সব জায়গায় সংস্কারের ছোঁয়া লাগলেও কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন চলছে পুরোনো নিয়মে। একসময়ের দুর্নীতিতে অভিযুক্ত ব্যক্তিরাই গেড়ে বসে আছেন প্রতিষ্ঠানটিতে। গত ৪ আগস্ট মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে ছাত্র-জনতাকে ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়ে সমাবেশে অংশ নেওয়া কর্মকর্তারাও জার্সি পাল্টে ‘বিএনপি-জামায়াত’ বনে গেছেন। শেখ হাসিনার শাসনামলে আওয়ামী লীগের দলীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃত্ব দখল করলেও খোলস পাল্টে এখন তারাই নতুন করে অনিয়মে জড়াচ্ছেন।
চলছে যেভাবে
প্রতিষ্ঠার পাঁচ বছর পর্যন্ত কেজিএফে অর্থায়ন করে বিশ্বব্যাংক। এর পর থেকে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা এন্ডাওমেন্ট ট্রাস্টের (বিকেজিইটি) অর্থায়নে চলছে ফাউন্ডেশনটি। প্রকল্প প্রস্তাবনা অনুমোদন হওয়ার পর ১৫ লাখ থেকে ২ কোটি টাকা পর্যন্ত অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়। এখন পর্যন্ত অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২৩৪ প্রকল্পে। এর মধ্যে দক্ষিণাঞ্চলে লবণাক্ত জমিকে চাষের আওতায় আনা, জলবায়ুবিষয়ক গুটিকয়েক কার্যক্রম, গম চাষের উন্নয়ন ও খরাসহিষ্ণু জাত উন্নয়ন ছাড়া অন্য প্রকল্পগুলোর ইতিবাচক তেমন ভূমিকা নেই।
২০২২ সালে কেজিএফের বোর্ড ও জেনারেল বডির চেয়ারম্যান ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) সাবেক চেয়ারম্যান ড. শেখ বখতিয়ার। তখন তিনি ‘১০০ কৃষি প্রযুক্তি অ্যাটলাস’ নামে একটি বই প্রকাশে কেজিএফ থেকে ৮৫ লাখ টাকা খরচ করেন। এই টাকার অধিকাংশই তছরুপ হয়েছে বলে অভিযোগ আছে। পরে আরও চারটি পুস্তিকা কেজিএফের টাকায় প্রকাশ করেন বখতিয়ার। প্রতিটিতে খরচ হয় ১২ থেকে ১৩ লাখ টাকা। এর বাইরে বিভিন্ন প্রকল্পের নামে কেজিএফ থেকে নেন ১০ কোটি টাকা। বখতিয়ার তাঁর আপন ভাগনি সারজানা রহমানকে চুক্তিভিত্তিক অ্যাসিস্ট্যান্ট স্পেশালিস্ট হিসেবে চাকরিও দেন। এ বিষয়ে জানতে ড. শেখ বখতিয়ারকে ফোন করা হলেও তাঁর নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। জানা গেছে, আওয়ামী লীগের পতনের পর দুর্নীতিতে অভিযুক্ত সুবিধাভোগী এই কর্মকর্তা আত্মগোপনে আছেন।
এ ছাড়া কেজিএফের ওয়েবসাইট তৈরিতে খরচ হয় পাঁচ লাখ টাকা। ওয়েবসাইটটি নিয়মিত তদারকির পেছনেও খরচ হচ্ছে লাখ টাকা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ওয়েবসাইটটি যাচাই করে দেখে জানান, কেজিএফ যে ওয়েবসাইট বানিয়েছে, তাতে সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা খরচ হওয়ার কথা। ওয়েবসাইট ঘেঁটে দেখা গেছে, দুই বছর আগের তথ্য এখনও ঝুলছে। এভাবে প্রতিটি খাতেই বহুমাত্রিক গবেষণার জন্য কোটি কোটি টাকা অর্থ সহায়তা দিলেও কৃষকের জন্য কতটা ফলপ্রসূ প্রযুক্তি উদ্ভাবন হয়েছে, তা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন।
২০২১ সালের ১৪ মার্চ অনুষ্ঠিত অগ্রগতি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাবিষয়ক মতবিনিময় সভার কার্যবিবরণী ওয়েবসাইটে পাওয়া গেছে। সে সভায়ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক কেজিএফের কার্যক্রম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, একসময় কিছু কাজ হয়েছে। কিন্তু দুই বছর ধরে প্রতিষ্ঠানটি পঙ্গু। নির্বাহী পরিচালক পদে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়ার কারণে হযবরল অবস্থা। কর্মকর্তারা ব্যস্ত দলাদলি ও কাদা ছোড়াছুড়িতে।
নিয়োগে গলদ
কৃষিবিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়কে গবেষণা, প্রযুক্তি মাঠ পর্যায়ে সম্প্রসারণে অর্থ সহায়তা দেয় কেজিএফ। ফাউন্ডেশনটি পরিচালিত হয় ১৫ সদস্যের সাধারণ পরিষদের মাধ্যমে। এর মধ্যে থেকে নির্বাচিত সাতজনকে নিয়ে গঠন হয় পরিচালনা পরিষদ। বিকেজিইটি ২০১২ সাল থেকে কেজিএফের অর্থের জোগান দিচ্ছে। কেজিএফের প্রথম নির্বাহী পরিচালক ড. নুরুল আলমের হাত ধরেই শুরু হয় অনিয়ম। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে তিনি তখন বিএআরসির তৎকালীন নির্বাহী চেয়ারম্যান ওয়ায়েস কবীরের আত্মীয়স্বজনকে প্রশাসন ও অর্থ সংশ্লিস্ট পদে নিয়োগ দেন। এমনকি অফিস সহকারী ও গাড়িচালক নিয়োগেও বজায় ছিল অনিয়মের ধারা। বিএআরসি চেয়ারম্যান ওয়ায়েস কবীরের শ্যালিকা মাহমুদা বেগমকে বসানো হয় অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্স সুপারভাইজার পদে। অথচ বি.কম পরীক্ষায় তিনি পেয়েছিলেন তৃতীয় শ্রেণি। আর ওয়ায়েস কবীরের ভায়রা ও মাহমুদা বেগমের স্বামী মেহেদী হাসানকে ২০০৯ সালে বসানো হয় কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে। ২০১১ সালে জালিয়াতির মাধ্যমে মেহেদীকে প্রশাসনিক কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) হিসেবে পদায়ন করা হয়। পরে ২০১৫ সালে তাঁকে ম্যানেজার (অ্যাডমিন অ্যান্ড এসএস) হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ওয়ায়েস কবীর ভায়রাকে চাকরি দিয়েই ক্ষান্ত হননি, বেতনও ঠিক করেছেন ইচ্ছামতো। ২০১১ সাল থেকেই মেহেদীকে এক লাখ টাকা বেতন দেওয়া হতো। মেহেদী নন-টেকনিক্যাল হলেও টেকনিক্যাল সব কার্যক্রমে যুক্ত আছেন। সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগের ভোল পাল্টে মেহেদী পুরো ফাউন্ডেশনে ছড়ি ঘোরাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া এইচএসসি ও বিএ পরীক্ষার দুটিতেই তৃতীয় শ্রেণি পাওয়া ফাতেমা পারভীনকে ২০০৯ সালে নিয়োগ দেওয়া হয় সেক্রেটারি টু ইডি হিসেবে। এ ছাড়া ওয়ায়েস কবীর চুক্তিভিত্তিক হিসেবে জুনিয়র স্পেশালিস্ট (আইসিটি) পদে আবুল হাসানাত খান এবং পঙ্কজ কুমারকে অ্যাসিস্ট্যান্ট স্পেশালিস্ট হিসেবে নিয়োগ দেন। তাদের চুক্তির মেয়াদ তিন মাস হলেও বারবার মেয়াদ বাড়িয়ে এখনও তারা বহাল আছেন।
সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের সুপারিশে মিথ্যা তথ্য দিয়ে কমিউনিকেশন স্পেশালিস্ট হিসেবে ২০১৭ সালে নিয়োগ পান বেগম নাসরিন আক্তার। এখন তিনি সিনিয়র স্পেশালিস্ট (ডকুমেন্টেশন, পাবলিকেশন ও যোগাযোগ) হিসেবে কর্মরত। নাসরিন আক্তার নিউপোর্ট ইউনিভার্সিটি সিইডি, রিগায় পিএইচডির ফলাফলের অপেক্ষায় ছিলেন বলে জীবনবৃত্তান্তে উল্লেখ করেন। দ্রুত সনদ জমা দেবেন অঙ্গীকার করে সাত বছরেও তা দিতে পারেননি। এ ছাড়া ড. রাজ্জাকের আত্মীয় মুহাম্মদ আব্দুর রহমান সিদ্দীক চুক্তিভিত্তিক অ্যাকাউন্ট্যান্ট পদে নিয়োগ পেয়ে এখনও বহাল আছেন।
ড. মো. আককাছ আলী পরিচালক (শস্য ও প্রাকৃতিক সম্পদ) হিসেবে ২০২১ সালের নভেম্বরে নিয়োগ পান। তিনি জনবল নীতিমালা ২০২০-এর অধীনে নিয়োগ পেলেও নিয়ম অনুযায়ী তাঁর আবেদন করার যোগ্যতাই ছিল না। ২০২১ সালের নভেম্বরে পরিচালক (প্রাণিসম্পদ ও মৎস্যসম্পদ) হিসেবে সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. রাজ্জাকের সুপারিশে বিনা প্রতিযোগিতায় নিয়োগ পান ড. নাথুরাম সরকার। বর্তমানে তিনি নির্বাহী পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) হিসেবে কর্মরত। ড. মো. নাজিরুল ইসলাম সিনিয়র স্পেশালিস্ট (উদ্যানতত্ত্ব) পদে ২০২২ সালের জুলাইয়ে ও ড. মো. খলিলুর রহমান ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে সিনিয়র স্পেশালিস্ট (মৎস্যসম্পদ ও জলজসম্পদ) পদে নিয়োগ পান। ড. মো. মনোয়ার করিম খান বঙ্গবন্ধু কৃষি পরিষদের সনদ দেখিয়ে ২০২১ সালের নভেম্বরে সিনিয়র স্পেশালিস্ট পদে (জলবায়ু ও প্রাকৃতিক সম্পদ) চাকরি নেন। ব্যবস্থাপক (অর্থ ও হিসাব) আশিকুর রহমান, সহকারী ব্যবস্থাপক (অর্থ ও হিসাব) মো. বাবুল হোসেন, সহকারী ব্যবস্থাপক (সাধারণ সেবা) মো. রফিকুল ইসলাম আকন্দ, সহকারী ব্যবস্থাপক (ক্রয় ও সংগ্রহ) মোহাম্মাদ আবুল খায়ের, হিসাব সহকারী জারিন তাসমীম, অফিস সহকারী বিদ্যুৎ কুমার চক্রবর্তী এবং সাতজন চালক ও ১০ জন এমএলএসএস-কাম ক্লিনার নিয়োগেও আছে অনিয়মের অভিযোগ। নিয়োগে যেমন নিয়মের বালাই ছিল না, তেমনি যখন খুশি তখন বেতন বাড়ানোর ব্যাপারেও প্রতিষ্ঠানটি ছিল ‘হাতখোলা’।
নির্বাহী পরিচালকের চেয়ারে এত মধু!
জন্মলগ্ন থেকেই নির্বাহী পরিচালক পদ নিয়ে ধুঁকছে কেজিএফ। এই চেয়ারে একবার বসলে ছাড়ার নাম নেন না কেউ। করেন ফন্দিফিকির। গেল ১৭ বছরে তিনজন নিয়মিত নির্বাহী পরিচালক নিয়োগ পান। এর মধ্যে ড. নুরুল আলমের পর ২০১৭ থেকে ২০২০ পর্যন্ত ড. ওয়ায়েস কবীর দায়িত্বে ছিলেন। এই তিন বছরেই সবচেয়ে বেশি অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ২০২০ সালের শেষ দিকে ড. জীবনকৃষ্ণ বিশ্বাস নির্বাহী পরিচালক হন। ২০২২ সালের জুনে তিনি অবসরে গেলেও দুই মাস পর আবার তাঁকে এক বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নির্বাহী পরিচালকের চেয়ারে বসানো হয়। ড. জীবনের বিদায়ের পর ওই পদে বসার খায়েশ ছিল সাবেক কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তারের স্বামী বিএআরসির সাবেক চেয়ারম্যান ড. শেখ বখতিয়ারের। সচিবের ক্ষমতা দেখিয়ে কেজিএফের নির্বাহী পরিচালক পদে নতুন কাউকে নিয়োগ না দিয়ে ২০২৩ সালের ১ নভেম্বর ড. নাথুরাম সরকারকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়। ক্ষমতার পট পরিবর্তনে বখতিয়ারের সেই স্বপ্ন পূরণ না হলেও আওয়ামীপন্থি নাথুরামই আছেন বহাল। ড. নাথুরাম সরকারের বিরুদ্ধে ২০২১ সালে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক থাকা অবস্থায় লিফট কেনাকাটায় অনিয়মসহ নানা দুর্নীতির তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়।
কারা কী বলছেন
কেজিএফের নির্বাহী পরিচালক ড. নাথুরাম সরকার বলেন, জয়েন্ট স্টক আইন ও প্রক্রিয়া মেনে পরিচালিত হচ্ছে কেজিএফ। আমরা কৃষিবিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে প্রস্তাবনা আহ্বান করি, সে অনুযায়ী টাকা বরাদ্দ দিয়ে থাকি। অনেক গবেষণামূলক প্রকল্পে নানা জটিলতার কারণে সরকার অর্থ দেয় না। ফলে সরকারের বাইরে গবেষণা কাজে কেজিএফ সহায়তা করে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে তাদের বিষয়ে বোর্ড সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা এন্ডাওমেন্ট ট্রাস্টের (বিকেজিইটি) চেয়ারম্যান ও কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান বলেন, কেজিএফ যেন কৃষির অন্যান্য দপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে পারে, তা নিয়ে আমরা বসব। ফাউন্ডেশনের পেছনে যে টাকা খরচ হচ্ছে এর কার্যকারিতা কতটুকু তাও খতিয়ে দেখা হবে। প্রতিষ্ঠানটিকে গতিশীল করতে যা যা করা দরকার তা আমরা করব।
- বিষয় :
- কৃষি গবেষণা কেন্দ্র
- দুর্নীতি