প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
রয়টার্সের প্রতিবেদনে মনগড়া, সাংবাদিকতা নীতিমালার পরিপন্থী

বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে আদালত থেকে কারাগারে নেওয়ার সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আইনজীবীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান তাঁর অনুসারীরা। মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রামের আদালত চত্বরে। ফাইল ছবি
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৭ নভেম্বর ২০২৪ | ১৫:৩৮ | আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০২৪ | ১৭:৪৫
চট্টগ্রামে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও চট্টগ্রামের হাটহাজারীর পুণ্ডরীক ধামের সাবেক অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর গ্রেপ্তার ও জামিন শুনানিকে কেন্দ্র করে আদালত প্রাঙ্গণ এবং আশপাশের উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে রয়টার্স পুলিশের সঙ্গে কথা না বলেই মনগড়া বক্তব্য দিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। আজ বুধবার সিএমপির এক বিবৃতির বরাত দিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ তথ্য জানায়।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, চট্টগ্রাম মহানগরীর কোতোয়ালি থানায় করা মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তার ও জামিন শুনানিকে কেন্দ্র করে আদালত প্রাঙ্গণ ও তার আশপাশের উদ্ভূত পরিস্থিতির ওপর বিদেশি সংবাদমাধ্যম রয়টার্সে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের নজরে এসেছে। রিপোর্টটি পরবর্তীতে ভয়েস অব আমেরিকাসহ আরও অনেক গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটিতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের দক্ষিণ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার লিয়াকত আলী খানকে উদ্ধৃত করা হয়েছে। রয়টার্স বা কোনো সাংবাদিক এই বিষয়ে লিয়াকত আলী খানের সঙ্গে কথা বলেননি। ঘটনার সময়ে তিনি আদালত প্রাঙ্গণসহ আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার কাজে দায়িত্বরত ছিলেন। লিয়াকত নামে চট্টগ্রামে চারজন কনস্টেবল আছে। তারাও কাউকে কোনো বক্তব্য দেননি।
এতে আরও বলা হয়, কারও বক্তব্য গ্রহণ না করেই নিজেদের মনগড়া বক্তব্যকে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তার বক্তব্য বলে চালিয়ে দেওয়া সাংবাদিকতার নীতিমালার পরিপন্থী। ভবিষ্যতে রয়টার্সসহ সকল গণমাধ্যম এই ধরনের সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে বলে বিশ্বাস করি।