আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তারা
আওয়ামী দুঃশাসনে দেশে মানবাধিকার ছিল না

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে ন্যায়বিচারের দাবিতে গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, শাপলা চত্বরের ঘটনা, পিলখানা হত্যাকাণ্ড এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ভুক্তভোগীদের পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা মঙ্গলবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করেন - সমকাল
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ০১:৪১ | আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ০৬:৫৯
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, আওয়ামী দুঃশাসনে দেশে মানবাধিকার ছিল না। গত ১৫ বছর দেশে নির্বিচারে গুম, গুপ্ত হত্যা ও বিচারবহির্ভূত হত্যা যেন আইনে পরিণত হয়েছিল। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীতে আলোচনা সভা ছাড়াও মানববন্ধন, শোভাযাত্রাসহ নানা কর্মসূচি পালিত হয়। বাক স্বাধীনতাসহ গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান বক্তারা।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে ঢাকাসহ বিভিন্ন বিভাগ, জেলা ও উপজেলায় নানা কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারি-বেসরকারিভাবে দিবসটি পালন করে একাধিক রাজনৈতিক, সামাজিক ও মানবাধিকার সংগঠন।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর মানবাধিকারবিষয়ক জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা হুমা খান বলেন, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সবচেয়ে বড় বাধা রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ডা. সারোয়ার আলী বলেন, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্বের কারণেই জুলাই-আগস্টের সৃষ্টি হয়েছে। ট্রাস্টি সারা যাকের বলেন, আমাদের সংবিধানে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার সব অনুষঙ্গ আছে। কিন্তু কোনো সরকারই মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করেনি।
জুলাই গণহত্যা, পিলখানা হত্যাকাণ্ড, গুম, খুন, ক্রসফায়ার ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, পুলিশ হেফাজতে নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ড, শাপলা চত্বরে গণহত্যার প্রতিবাদে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী জুলুমের ভুক্তভোগী ও তাদের স্বজনরা গণজমায়েত করেছে। গতকাল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গুম হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গঠন করা সংগঠন ‘মায়ের ডাক’ এই গণজমায়েতের আয়োজন করে।
সিভিল রাইটস সোসাইটির আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন চেয়ারম্যান জাকির হোসেন। নির্বাহী পরিচালক শেখ তাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অংশ নেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. রেজাউল করিম, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য, কবি সাংবাদিক আবদুল হাই শিকদার, বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন প্রমুখ।
ইয়ুথ ফর হিউম্যান রাইটস ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের ‘মানবাধিকার লঙ্ঘন: বর্তমান সংকট ও সমাধানের পথে আমাদের ভূমিকা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান লায়ন মোহাম্মদ এরশাদ হোসেন রানা বলেন, জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের চেতনাকে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে মানবাধিকারের কোনো বিকল্প নেই।
বেসরকারি সংস্থা ভয়েস ‘নারীর অধিকার ও মানবাধিকার: প্রযুক্তির সাহায্যে নারীর প্রতি সহিংসতা মোকাবিলা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।