ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

সেমিনারে বক্তারা

পানি ব্যবস্থাপনায় দুর্ভোগে গ্রাহক, দুর্নীতি প্রতিরোধের পরামর্শ

পানি ব্যবস্থাপনায় দুর্ভোগে গ্রাহক, দুর্নীতি প্রতিরোধের পরামর্শ

এনজিও ফোরাম ফর পাবলিক হেলথ আয়োজিত জাতীয় সেমিনার

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৫ | ২২:২৭

দেশে পানি ব্যবস্থাপনায় গ্রাহকদের অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বিশেষ করে ওয়াসার সংযোগ পেতে হয়রানি, পানির মান নিয়ে অসন্তোষ, বিল নিয়ে জটিলতা এবং সেবার সময় নির্দিষ্ট না থাকায় গ্রাহকেরা অসন্তুষ্ট। এ পরিস্থিতিতে গ্রাহক সেবার প্রচারণা বৃদ্ধি ও সেবা সহজ করার উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। 

ঢাকার কাকরাইলে ডিপিএইচই ভবনে এনজিও ফোরাম ফর পাবলিক হেলথ আয়োজিত জাতীয় সেমিনারে এসব এ কথা বলেন বিশ্লেষকরা। নিরাপদ পানি প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ ও এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে পানি এবং স্যানিটেশন খাতে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, অংশগ্রহণ এবং দুর্নীতি প্রতিরোধে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়। 

সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে এনজিও ফোরামের নির্বাহী পরিচালক এস এম এ রশীদ বলেন, এরই মধ্যে ৩টি ওয়াসার (চট্টগ্রাম, খুলনা রাজশাহী) সঙ্গে কাজ শেষ হয়েছে। রংপুর সিটি কর্পোরেশনের সাথে কাজ চলছে। আমাদের লক্ষ্য জনবান্ধব সেবা প্রদানে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও অভিযোগ প্রতিকারের ব্যবস্থা করা।

সেমিনারে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও ঢাকা ওয়াসার মহাব্যবস্থাপক ফজলুর রহমান বলেন, এটা বাস্তবায়নে আমাদের সবার মানসিকতারও পরিবর্তন করতে হবে। অর্থ বরাদ্দ বাড়াতে হবে। পাশাপাশি পানি সরবরাহে এখনও সেবাগ্রহীতা ও সেবা প্রদানকারীর মধ্যে যে দূরত্ব রয়েছে তা নিরসন করতে হবে।

জার্মানভিত্তিক সংস্থা ওয়াটার ইন্টিগ্রিটি নেটওয়ার্ক-উইনের প্রোগ্রাম লিড ড. ম্যারি গ্যালভিন বলেন, পানি সরবরাহ প্রকল্পে যেসব তহবিল দেওয়া হয় তার ২৬ শতাংশ অপচয় হয় দুর্নীতি, অস্বচ্ছতা ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা খাতে। দুর্নীতির কারণে পুরো প্রকল্প ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধে বুয়েটের অধ্যাপক ড. তানভীর আহমেদ বলেন, এসডিজি ৬ বাস্তবায়নে এখনও তহবিল ঘাটতি রয়েছে। বর্তমানে যে তহবিল রয়েছে তার এক-চতুর্থাংশ অপচয় হচ্ছে দুর্নীতির কারণে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব সাইফুল ইসলাম মজুমদার বলেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর মধ্যে যে মেকানিজম রয়েছে তা একই ফ্রেমওয়ার্কের অধীনে আনতে হবে।

সেমিনারে সামাজিক নিরীক্ষায় উঠে আসা বেশ কিছু সমস্যার কথা তুলে ধরা হয়। এতে দেখা যায়, ওয়াসার সংযোগ পেতে হয়রানি, পানির মান নিয়ে অসন্তোষ, ময়লা পানি-খাবারের অযোগ্য, খাবার পানিতে ব্লিচিং পাউডারের গন্ধ থাকে, বিল নিয়ে জটিলতা এবং সেবার সময় নির্দিষ্ট না থাকার মতো বিষয়গুলো গ্রাহকের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করছে। এসব সমাধানে কয়েকটি সুপারিশ করা হয়েছে। যেমন- পানির শাখায় ইন্টিগ্রিটির চর্চা বাড়ানো, গ্রাহক সেবার প্রচারণা ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম বৃদ্ধি, সেবা সহজলভ্য ও জনমুখী করা এবং সেবাগ্রহীতার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ নিশ্চিত করা। 

আরও পড়ুন

×