সম্পাদক পরিষদের আলোচনা
মুক্ত গণমাধ্যম ছাড়া গণতন্ত্র সম্ভব নয়
বিএনপি ক্ষমতায় থাকুক বা না থাকুক, সংবাদপত্রের স্বাধীনতার পক্ষে থাকবে : মির্জা ফখরুল

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে সম্পাদক পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ রাজনৈতিক নেতা ও সম্পাদকরা সমকাল
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫ মে ২০২৫ | ০১:১৩ | আপডেট: ০৫ মে ২০২৫ | ১৪:০২
এবার ১৬ ধাপ এগোলেও বিশ্ব গণমাধ্যম সূচকের এখনও তলানিতে বাংলাদেশ। মুক্ত গণমাধ্যম পেতে জনগণের প্রত্যাশা থেকে এখনও অনেক দূরে বাংলাদেশ। কিন্তু মুক্ত গণমাধ্যম ছাড়া গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায় না।
মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে সম্পাদক পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথা বলেন। তারা বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকার বিদায় নিলেও দেশে এখন সাংবাদিকদের নামে খুনের মামলা দিয়ে, কাউকে কাউকে কারাগারে পুরে ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এটা মুক্ত গণমাধ্যমের জন্য হুমকি। কেউ প্রকৃতপক্ষে কোনো অপরাধ করে থাকলে তাকে সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করে বিচার করা হোক। তাতে কারও আপত্তি থাকবে না।
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে গতকাল রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সম্পাদক পরিষদ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। এতে অংশ নেওয়া বিএনপি, নাগরিক ঐক্য, গণসংহতি আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শীর্ষ নেতারা ভবিষ্যতেও মুক্ত গণমাধ্যমের পক্ষে থাকার অঙ্গীকার করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম।
সংবাদপত্রের স্বাধীনতার পক্ষে ছিলাম, আছি এবং ভবিষ্যতে থাকব: মির্জা ফখরুল
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকুক বা না থাকুক, সংবাদপত্রের স্বাধীনতার পক্ষে থাকবে। তিনি বলেন, ‘আমরা নির্দ্বিধায়, দৃঢ়চিত্তে স্পষ্ট করে বলতে পারি– আমরা বরাবরই সংবাদপত্রের স্বাধীনতার পক্ষে ছিলাম, আছি এবং ভবিষ্যতে থাকব। আমরা সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় শুধু বিশ্বাস করি, তা নয়; আমরা যদি কখনও সরকারিভাবে সুযোগ পাই, সেখানেও আমরা এটা বাস্তবায়ন করব। সরকারে যেতে না পারলেও আমরা মুক্ত সাংবাদিকতার জন্য লড়াই চালিয়ে যাব।’
গণমাধ্যমের ওপর অতীতে নিপীড়ন, নির্যাতন এবং বিভিন্ন কালা-কানুনের বিরুদ্ধে দলের শক্ত অবস্থানের কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই ব্যাপারে আমরা লড়াই করে চলেছি, এখনও করছি। খুবই স্পষ্ট ভাষায়, দৃঢ়ভাবে বলতে চাই– আমরা কখনোই অন্যায়ভাবে অন্যের মতকে চাপিয়ে দেওয়ার ব্যাপার সমর্থন করব না।’
সংবাদপত্রের স্বাধীনতার বিষয়টি ২০১৬ সালে ঘোষিত ‘ভিশন-২০৩০’ ২০২৩ সালে প্রণীত ৩১ দফার রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে সংস্কার কর্মসূচিতে রয়েছে বলে উল্লেখ করেন বিএনপি মহাসচিব।
বিএনপিই সংবাদপত্রের স্বাধীনতা দিয়েছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, চারটি সংবাদপত্র ছাড়া সব সংবাদপত্র বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। জিয়াউর রহমান যখন ক্ষমতায় আসলেন, তিনি নিষিদ্ধ সংবাদপত্রগুলো চালু করেছেন; স্বাধীনতা দিয়েছেন। তবে আমরা বলি না যে, আমরা একেবারেই ধোয়া তুলসীপাতা। কিন্তু এই কথা নিঃসন্দেহে বলতে পারি, আমরা সংবাদপত্রের স্বাধীনতার জন্য অনেক বেশি কাজ করেছি। আমাদের সময়ে সংবাদপত্র ও সংবাদকর্মীর ওপর যে নির্যাতন-নিপীড়ন হয়েছে, সেটা তুলনামূলক নিঃসন্দেহে অনেক কম হয়েছে।
বিএনপিই দেশে সংস্কার শুরু করেছে– দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে এক রকম প্রচারণা চালানো হয় যে, আমরা নাকি সংস্কারের বিরুদ্ধে। প্রায়ই বলা হয়, আমরা সংস্কার না; নির্বাচন চাই। অথচ সংস্কার বিষয়টা শুরু হয়েছে আমাদের দ্বারা। আমরাই একদলীয় শাসন ব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় শাসন ব্যবস্থায় গেছি। এটা বাস্তবতা। অযথাই আমাদেরকে প্রশ্নবিদ্ধ করে অন্য পথ দেখানোর চেষ্টার পেছনে কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকলেও থাকতে পারে।’ একাত্তর সালের মুক্তিযুদ্ধ দেশের ভিত্তি বলে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল।
অবাধ তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে: মান্না
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, গত সরকারের আমলে দায়ের করা ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের মামলাগুলো এখনও চলছে। কেন, কীভাবে চলছে? কেন মামলাগুলো আট মাসেও প্রত্যাহার করা গেল না? কেন বিপুল সংখ্যক সাংবাদিকের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করা হলো? কেন কয়েকজন সাংবাদিকের চাকরি গেল– এসব প্রশ্নের উত্তর কিন্তু জনগণ জানতে চায়।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, অবাধ তথ্যপ্রবাহ যে কোনো মূল্যে নিশ্চিত করতে হবে। তা করা না গেলে ফ্যাসিবাদের জন্ম হবে।
গণমাধ্যমের ওপর সরকারি হস্তক্ষেপ কমেছে: নাহিদ
সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘যে মুক্ত গণমাধ্যমের প্রতিশ্রুতি আমরা সবাই দিচ্ছি, সেটি আরও কীভাবে কার্যকর করা যায়, সে বিষয়ে নিজেদের মধ্যে খোলামেলা আলোচনা করে রূপরেখা তৈরি করতে পারলে ভালো হবে। গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়ন পর্যায়ে আসা উচিত।’
গণমাধ্যমের ওপর সরকারি হস্তক্ষেপ আগের তুলনায় অনেকটাই কমে গেছে বলে মন্তব্য করে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট সরকার গত ১৬ বছর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওপর যে দলীয়করণ নীতি চালিয়েছে, গণমাধ্যমও তার বাইরে ছিল না। সুতরাং গণমাধ্যমকে এই ফ্যাসিজমের ভেতর থেকে বের করে আনতে আমাদের সুনির্দিষ্ট রূপরেখা প্রয়োজন। কারণ, বিগত সময়ে মিডিয়া ও ফ্যাসিজমের যে সম্পর্ক ছিল, সেই আধিপত্য থেকে যদি মিডিয়া বের না হয়, তাহলে জুলাই-পরবর্তী যে মুক্ত গণমাধ্যমের চিন্তা আমরা করছি, তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না।’
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘অন্তবর্তী সরকারের সময় গণমাধ্যমে বিভিন্ন মিস ইনফরমেশন প্রকাশিত হতে দেখেছি। এ বিষয়ে গণমাধ্যমগুলোর আরও পেশাদারিত্ব দেখানো প্রয়োজন। কারণ, দল বা রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে এর ভিকটিম আমরা হয়েছি। আমাদের কথা নানা সময়ে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। আমরা আশা করব, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে গণমাধ্যমের যে সম্পর্ক রয়েছে, তা আরও ইতিবাচক হবে।’
এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, গণমাধ্যমের মালিকানার বিষয়টি আরও স্পষ্ট হওয়া উচিত। কারণ অনেক করপোরেট মালিকানা বা একটি গোষ্ঠী গণমাধ্যমকে ব্যবহার করে। তাতে গণমানুষের কথা উঠে না এসে তা বিশেষ উদ্দেশ্যে রূপ নেয়। তাই করপোরেট মালিকানায় একজনের কতগুলো গণমাধ্যম থাকতে পারবে, তা নিয়ে সুস্পষ্ট নীতিমালা প্রয়োজন।
গোষ্ঠীর মালিকানায় নিজেদের সেবা করা হচ্ছে: জোনায়েদ সাকি
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য আমরা লড়াই চালিয়ে যাব। তবে স্বাধীনতার সীমা নির্ধারণ করা উচিত। প্রত্যেকের জবাবদিহি দরকার। গণমাধ্যম কিছু গোষ্ঠীর মালিকানার মাধ্যমে নিজেদের সেবা করার জন্য ব্যবহৃত হতে পারে না। গণমাধ্যমের মালিকানার ক্ষেত্রে নীতিমালা দরকার, যেন একচেটিয়া মালিকানা না গড়ে ওঠে।’
জোনায়েদ সাকি বলেন, রাষ্ট্র এমন কোনো আইন করতে পারবে না– যা গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে খর্ব করে। সাংবাদিকদের এথিক্যাল জার্নালিজম চর্চার জন্য নীতিমালা থাকা উচিত। মব আক্রমণ চলছে। ভয়ের চোটে চাকরি চলে যাচ্ছে। রাষ্ট্র যদি মব আন্দোলন বন্ধ করতে না পারে, তাহলে রাষ্ট্রের অস্তিত্বই থাকে না।
গণমাধ্যমকে বাধাগ্রস্ত করার প্রধান শক্তি রাজনৈতিক দলগুলো: নূরুল কবীর
সম্পাদক পরিষদের সহসভাপতি দৈনিক নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীর বলেন, ‘বাংলাদেশে আজ যখন মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালন করছেন, এক বছর আগেও সম্পাদক পরিষদ এই দিবসটি পালন করেছিল। কিন্তু এই দুই দিবসের মধ্য অনেক পার্থক্য সূচিত হয়েছে। এখন সেটা আমরা কতটা ইতিবাচক পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে পারি, তা কেবল গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর নির্ভর করে না, নির্ভর করে প্রধানত যারা রাষ্ট্র পরিচালনা করেন, যারা আইন প্রণয়ন ও পরিবর্তন করেন, তাদের ওপরও।’
সারাবিশ্বে যখন ঘটা করে মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালন করতে হয়, তখন বুঝতে হবে, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব হচ্ছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতার যে সূচক, বাংলাদেশ এখনও সেই সূচকে অনেক নিচে অবস্থান করছে। গণমাধ্যমকে বাধাগ্রস্ত করার প্রধান শক্তি রাজনৈতিক দলগুলো।
নূরুল কবীর বলেন, ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হলেও বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যে অসম চুক্তি রয়েছে, তা এখনও পর্যালোচনা করার কোনো উদ্যোগ দেখি না। বরং আমরা দেখছি, যারা আন্দোলন করেছে তাদের কেউ কেউ ১৬ ডিসেম্বর মানেন না। নারী সংস্কার কমিশন মানেন না। একদিকে আমরা যেমন আশাবাদী হয়ে উঠছি, অন্যদিকে আশঙ্কাও দেখছি।’ তিনি বলেন, যে কোনো সংস্কারের বটম লাইন হবে– স্বাধীনতা। ’৭১-কে ধরেই সব ধরনের সংস্কার হতে হবে।
গণমাধ্যম মুক্ত নয়: মতিউর রহমান চৌধুরী
আলোচনায় মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘যে দেশে প্রশ্ন করার জন্য সাংবাদিকদের চাকরি যায়, সে দেশে গণমাধ্যম মুক্ত নয়। আমি বিস্মিত হই। জানি না, আমি কাকে দায়ী করব? আমি কি সরকারকে দায়ী করব? আমি কি মালিককে দায়ী করব? সাংবাদিক ইউনিয়ন কী করছে? বা আমাদের সম্পাদক পরিষদ। আমি মনে করি, আমরাও ব্যর্থ হয়েছি।’
গণমাধ্যম ছাড়া গণতন্ত্র হবে?– এমন প্রশ্ন তুলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন মতিউর রহমান চৌধুরী।
সাংবাদিকদের পাশে দাঁড়ান: মাহফুজ আনাম
সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম বলেন, ‘বিগত সরকার জনধিকৃত হওয়ার অন্যতম কারণ ছিল সংবাদপত্রের স্বাধীনতা না থাকা। আমরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ অনেক আইনের শিকার হয়েছিলাম।’
মাহফুজ আনাম বলেন, ‘২৬৬ জন সাংবাদিক আজ খুনের মামলার আসামি। ১৩ জন সাংবাদিক কারাগারে। ৮ মাসেও জামিন পাচ্ছেন না। ফ্যাসিস্ট সরকার বিদায় নিলেও দেশে এখন সাংবাদিকদের নামে খুনের মামলা দিয়ে, কাউকে কাউকে জেলে পুরে ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এটা মুক্ত গণমাধ্যমের জন্য হুমকি। বলছি না কেউ কোনো দোষ করেনি। কেউ প্রকৃতপক্ষে কোনো অপরাধ করে থাকলে সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করে বিচার করা হোক। তাতে কারও আপত্তি থাকবে না।’
মামলার প্রতারণার কথা বলতে গিয়ে মাহফুজ আনাম বলেন, এখন মামলার যে প্রবণতা তাতে ১০০ জন, ৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা; তার মধ্যে একজন সাংবাদিকের নাম ঢুকিয়ে দেওয়া হয়।
সম্পাদক পরিষদের সভাপতি বলেন, ‘আইন উপদেষ্টা বলেন, আমাদের কিছু করার নেই। জনগণের অধিকার আছে মামলা করার। মেনে নিলাম মামলা করার অধিকার আছে। কিন্তু কোনো আইনের যদি অপপ্রয়োগ হয়, সেখানে কি সরকারের কিছু করার নেই!’
মাহফুজ আনাম প্রস্তাব করেন, সরকার দৈবচয়ন ভিত্তিতে ১০-১৫টি মামলা পর্যালোচনা বা তদন্ত করে দেখুক। যদি প্রমাণ পায় সাংবাদিকের নামে দেওয়া মামলা মিথ্যা, তাহলে কেন পদক্ষেপ নেবে না? তিনি সরকারকে সাংবাদিকদের পাশে দাঁড়ানোর পরামর্শ দেন।
সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আইন, স্বরাষ্ট্র ও অন্যান্য যারা আছেন তারা উদ্যোগী হয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। এসব ঘটনা শুধু আমাদের মনঃক্ষুণ্ন করছে না, বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে।’
সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি কালের কণ্ঠের সম্পাদক হাসান হাফিজ।
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, দৈনিক ইনকিলাবের সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন, ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ, সমকালের সম্পাদক শাহেদ মুহাম্মদ আলী প্রমুখ।
- বিষয় :
- সম্পাদক পরিষদের বৈঠক