ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

আইসিটি শ্বেতপত্র প্রণয়নে অনিয়ম দুর্নীতির তথ্য আহ্বান

আইসিটি শ্বেতপত্র প্রণয়নে অনিয়ম দুর্নীতির তথ্য আহ্বান

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫ | ০১:২৯ | আপডেট: ০৪ জুন ২০২৫ | ১৩:৫৫

দেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) খাতের অনিয়ম-দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রণয়নের জন্য তথ্য আহ্বান করা হয়েছে। মঙ্গলবার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

এতে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদনক্রমে গত ১৭ এপ্রিল আইসিটি বিভাগের জন্য অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. এম নিয়াজ আসাদুল্লাহর নেতৃত্বে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটি ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আইসিটি খাতে অনিয়ম এবং অপব্যবস্থাপনার তদন্ত ও গবেষণা করে আইসিটি শ্বেতপত্র প্রণয়নের কাজ শুরু করেছে। কারও কাছে আইসিটি খাত সংশ্লিষ্ট দুর্নীতি বা অনিয়ম সম্পর্কে তথ্য থাকলে নিচের চ্যানেলগুলো ব্যবহার করে তথ্য, মতামত ও প্রস্তাবনা দিতে বলা হয়েছে।

তথ্য [email protected] ই-মেইল ঠিকানায় পাঠানো যাবে। অথবা রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে ৭০৭ নম্বর কক্ষে টাক্সফোর্স প্রধান বরাবর সরাসরি জমা দেওয়া যাবে। এছাড়া ফেসবুক: www.facebook.com/ictwhitepaperbd2025 ও লিংকডইন: www.linkedin.com/company/ictwhitepaperbd2025 এর মাধ্যমেও যোগাযোগ করা যাবে।
 

শ্বেতপত্র টাস্কফোর্স বিশেষত আইসিটি সংক্রান্ত প্রকল্পগুলোর গুণমান, প্রয়োজনীয়তা ও প্রভাব সম্পর্কে আপনার মতামত ও পরামর্শ আহ্বান করছে। পাশাপাশি আইসিটি সফটওয়্যার প্রকল্প, হাইটেক পার্ক ও ইনকিউবেশন সেন্টার প্রকল্প, আইসিটি প্রশিক্ষণ/শিক্ষা উদ্যোগ, কানেক্টিভিটি প্রকল্প এবং ডেটা সেন্টার সংক্রান্ত যেকোনো অনিয়ম ও দুর্নীতির ঘটনার বিষয়ে জানাতে পারেন।
প্রকল্প অনুমোদন ও বাস্তবায়নের সময় আইন লঙ্ঘনের প্রমাণ (যেমন: দরপত্র প্রক্রিয়ায় কারসাজি; প্রকল্পের স্থান নির্ধারণে রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব) এবং প্রকল্পের নকশা, বাস্তবায়ন ও প্রভাব মূল্যায়নের জন্য পরামর্শক নিয়োগে অনিয়মের তথ্যও স্বাগত।

অন্য যে বিষয়গুলোতে পরামর্শ আহ্বান করা হচ্ছে, সেগুলো হলো:
১. আইসিটি প্রকল্পে সরকারি ব্যয়ের বরাদ্দে অগ্রাধিকার নির্ধারণ;
২. বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি (বিপিপিএ), দুদক, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক  এবং পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আইএমইডির ভূমিকা, দায়িত্ব ও কার্যকারিতা;
৩. এটু-আই (a2i) এর ভূমিকা ও কার্যক্রম;
৪. বিদেশি বিক্রেতা/উন্নয়ন সহযোগীদের ভূমিকা এবং আইসিটি প্রকল্প/ব্যবসার মাধ্যমে অর্থপাচার;
৫. সরকারি কাজ পেতে বেসরকারি আইটি/আইটিইএস কোম্পানিগুলোর চ্যালেঞ্জ;
৬. আইসিটি খাতের (উন্নয়ন, রপ্তানি, কর্মসংস্থান ইত্যাদি) বিষয়ে সরকারি পরিসংখ্যানের নির্ভুলতা ও নির্ভরযোগ্যতা;
৭. আইসিটি বিভাগ কর্তৃক গৃহীত প্রকল্পগুলোর মূল্যায়ন;
8. আইসিটি বিভাগের সঙ্গে সম্পর্কিত বিদ্যমান আইন/অধ্যাদেশ/বিধিমালার (যেমন: বিসিসি আইন ১৯৯০, বিএইচটিপিএ আইন ২০১০, বিপিপিএ আইন ২০২৩ ইত্যাদি) ওপর মন্তব্য।
 

পাওয়া তথ্য কমিটি যথাযথ গোপনীয়তা ও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন

×