ঢাকা বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫

শুনানিতে নূরুল হুদার আইনজীবী

‘রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা ব্যক্তির করার ঘটনা বিরল’

‘রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা ব্যক্তির করার ঘটনা বিরল’

কে এম নূরুল হুদা

 সমকাল প্রতিবেদক 

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৫ | ০১:০২ | আপডেট: ২৮ জুন ২০২৫ | ০৯:৫০

প্রভাব খাটিয়ে প্রহসনের নির্বাচন, রাষ্ট্রদ্রোহ ও প্রতারণার অভিযোগে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার বিরুদ্ধে করা মামলাকে ত্রুটিপূর্ণ দাবি করছেন তাঁর আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম। গতকাল শুক্রবার তিনি আদালতকে বলেছেন, মামলাটি আইনগতভাবে চলার সুযোগ নেই। রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করবে সরকার। তবে মামলাটি করেছেন একজন ব্যক্তি। এমন ঘটনা বিরল।

প্রথম দফায় চার দিনের রিমান্ড শেষে গতকাল নূরুল হুদাকে আদালতে নেওয়া হয়। ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার উপপরিদর্শক শামসুজ্জোহা সরকার। রিমান্ড শুনানি চলাকালে মামলার আইনগত দিক নিয়ে প্রশ্ন তোলেন নূরুল হুদার আইনজীবী। শুনানি শেষে গতকাল আবার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জু করেন আদালত।

এর আগে তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পর গত বৃহস্পতিবার নূরুল হুদাসহ সাবেক তিন সিইসির বিরুদ্ধে করা মামলায় রাষ্ট্রদ্রোহ, প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের ধারা যোগ করা হয়। নতুন তিনটি ধারা যুক্ত করার আবেদন মঞ্জুর করেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক শামসুজ্জোহা সরকার সমকালকে বলেন,  ‘মামলার রুজু হওয়ার পর রাষ্ট্রদ্রোহের ধারা যুক্ত করতে চাইলে আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে করা যায়। আদালতের আদেশ পাওয়ার পর রাষ্ট্রদ্রোহের ধারা ১২৪ (ক) যুক্ত হয়েছে। এ ছাড়া এর সঙ্গে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের ধারাও আছে।’

বেলা ৩টা ৪০ মিনিটের দিকে নূরুল হুদাকে এজলাসে তোলা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, ‘নূরুল হুদা সিইসি ছিলেন। সবাই তাঁর অধীনে ছিলেন। রাত ৩টার মধ্যে ২০০ প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করেন। রাতের ভোট করার বিষয়ে প্রিসাইডিং অফিসারকে নির্দেশ দেওয়া হয়। কাদের সহযোগিতায় রাতের ভোট সম্পন্ন হয়েছে, সেটা জানা প্রয়োজন।

এ সময় বিচারক জানতে চান, তখন ইসি সচিব কে ছিলেন? পিপি জানান, হেলালুদ্দীন আহমদ। ওই নির্বাচনে নূরুল হুদার পরিবারের কেউ ছিলেন? বিচারকের এমন প্রশ্নে পিপি জানান, পটুয়াখালী-৩ আসনে ভাগনে শাহাজাদাকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে নমিনেশন দিতে সহায়তা করেন।

নূরুল হুদার পক্ষে শুনানিতে আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ২৩ জুনের রিমান্ড আবেদন এবং আজকের রিমান্ড আবেদনের মধ্যে মৌলিক তেমন পার্থক্য নেই। কথা বলতেও ভয় লাগে।

আরও পড়ুন

×