শাবিতে ভর্তি হতে এসে জালিয়াতির অভিযোগে আটক ৫

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়-ফাইল ছবি
শাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০১৯ | ০০:৪০ | আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৯ | ০০:৪৬
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে এসে পরীক্ষায় জালিয়াতি করে পাস করার অভিযোগে আটক করা হয়েছে পাঁচ জনকে। এবং জালিয়াতিতে সহযোগিতা করার অভিযোগে আরো একজনকে আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ‘বি১’ ইউনিটে ভর্তি হতে এলে তাদের আটক করা হয়। আটকের পর বিকেল পাঁচটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদে এই পাঁচ শিক্ষার্থীদের মধ্যে তিনজন শিক্ষার্থী ক্যালকুলেটর দিয়ে জালিয়াতির কথা স্বীকার করেছেন। অন্য দুই শিক্ষার্থী স্বীকার না করলেও তাদের বিরুদ্ধে জালিয়াতির তথ্য ও প্রমাণ পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এরা হলেন- বগুড়া জেলার কলেজ বটতলার জাহিদ হাসান তামিম, রহিমাবাদ গ্রামের আবিদ মোর্শেদ, বৃন্দাবন পাড়ার আরিফ খান রাফি, মাঝিড়ার শাকিদুল ইসলাম এবং রংপুর জেলার পার্করোডের রিয়াদুল জান্নাত রিয়াদ। জালিয়াতিতে সহযোগিতা করার অভিযোগে যাকে আটক করা হয়েছে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টি টেকনোলজি (এফইটি) বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র সামিউল ইসলাম কৌশিক। সামিউলের বাড়ি রংপুরে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ভর্তি পরীক্ষায় উত্তর-পত্রে প্রশ্ন সেট পূরণ করতে প্রথমে তারা মেয়েদের কপালের টিপ ব্যবহার করেছিল। পরবর্তীতে ক্যালকুলেটরে ৭৫ নম্বর সেটের প্রশ্নের উত্তর আসতে থাকলে তারা সবাই বৃত্ত ভরাটের টিপ তুলে উত্তরপত্তের বৃত্ত ভরাট করেন। কিন্তু দুই জায়গায় হাতে লিখতে হয়। সেখানে তারা সবাই ঘষা-মাজা করেন। প্রতি পাঁচ মিনিট পর পর ক্যালকুলেটরে অটোমেটিক ৫টা প্রশ্নের উত্তর আসতো। যে প্রশ্নের উত্তর ক্যালকুলেটরে আসেনি সেই প্রশ্নের উত্তর তাদের কেউ দেননি। এজন্য তারা সবাই একই নম্বর পেয়েছেন।
প্রসঙ্গ, ২৬ অক্টোবর ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির দায়ে বগুড়া থেকে আসা আহসান আলী, ইব্রাহিম খলিল জীবন, মাহমুদুল হাসান, সাদ মো.শাহেল এবং ময়মনসিংহের মোহাইমিনুল ইসলাম খানকে ক্যালকুলেটর ডিভাইসসহ আটক করা হয়েছিল। তাদেরও উত্তর পত্রের সেট কোড ছিল ৭৫ নম্বর।
শাবি প্রক্টর অধ্যাপক জহীর উদ্দীন আহমদ বলেন, ‘এই চক্র বগুড়া কেন্দ্রিক। তারা পাঁচ-সাত লক্ষ টাকা চুক্তির মাধ্যমে এখানে ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি করছেন। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদেরকে পুলিশে দিয়েছে।’
এ বিষয়ে জালালাবাদ থানার ওসি অখীল উদ্দিন বলেন, ‘সরকারি পরীক্ষায় অসৎ পথ অবলম্বন করায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এখন থানায় আটক আছে, আজকে আমরা কোর্টে চালান করে দিবো।’