নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে 'মুক্তিযুদ্ধে গণমাধ্যমের ভূমিকা' শীর্ষক আলোচনা

অনলাইন আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বক্তারা
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৭ ডিসেম্বর ২০২০ | ০৯:৪২
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাককানইবি) 'মুক্তিযুদ্ধে গণমাধ্যমের ভূমিকা' শীর্ষক অনলাইন আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সাংবাদিক সমিতির সভাপতি বদরুল আলম বিপুলের সভাপতিত্বে, রাশেদুজ্জামান রনির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কালের কণ্ঠের সহকারী সম্পাদক, কবি, লেখক ও ছড়াকার আলী হাবীব; মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লেখক, গবেষক, সংগঠক ও রিভারাইন পিপলের মহাসচিব জনাব শেখ রোকন; বিশেষ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লেখক, কলামিস্ট ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির আয়োজিত এ অনলাইন অনুষ্ঠানে বক্তারা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন যেখানে গণমাধ্যম, গণমাধ্যমকর্মী সকলের সম্পৃক্ততা রয়েছ।
বিশেষ আলোচক মো. শফিকুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে সাংবাদিকরা সাহসী ভূমিকা পালন করেছিলেন। বিভিন্ন দেশি ও বিদেশি সংবাদমাধ্যম পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর গণহত্যা ও নির্যাতন-নিপীড়নের তথ্য বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরেছিল।
অনুষ্ঠানের মুখ্য আলোচক, লেখক ও গবেষক শেখ রোকন বলেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে সাংবাদিকরাও সাহসী মুক্তিযোদ্ধার ভূমিকা রেখেছিলেন। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বিভিন্ন সময়ে মিডিয়াগুলো সংবাদ প্রচারের মাধ্যমে জাতিকে দিক নির্দেশনা দিয়েছে। এর ফলে তারাও পাকিস্তানি বাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। অনেক সাংবাদিককে হত্যা ও গুম করা হয়েছিল। সাংবাদিকরা মুক্তিযুদ্ধে যেমন সাংবাদিকতার কাজ করেছেন, তেমনি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবেও ভূমিকা পালন করেছেন।
প্রধান অতিথি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল পাকিস্তান স্বাধীন হওয়ার পরদিন সকালেই। যখন বাঙালি দেখতে পেলো তার স্বপ্নের জায়গাটি সে পায়নি, তখন নিজের অস্তিত্বের প্রয়োজনেই বাঙালি সংঘবদ্ধ হতে শুরু করে। বাংলাদেশের স্বাধিকার আন্দোলনের যে লড়াইটি হচ্ছে ৪৮ সালের, ৫২ সালের, ৬০ এর দশক পুরোটাজুড়ে, যেটি হচ্ছে সে পুরোটা সময় গণমাধ্যম রাজনীতির সাথে সমান্তরালভাবে সামনের দিকে এগিয়েছে। গণমাধ্যমের কাছে মানুষ যেটা চায় তা হলো সেটা যেন গণমানুষের কথা বলে। বাংলাদেশ সরকার প্রথম দিন থেকে বুঝেছিল যে আমাদের একটি সংবাদপত্র ছাড়া চলবে না। সে সময় সাপ্তাহিক মুখপত্র প্রকাশ করা হয়েছিল 'জয় বাংলা' শিরোনামে। এছাড়াও তিনি মুক্তিযুদ্ধে বিভিন্ন বিদেশি সাংবাদিক সায়মন ড্রিং, মাইকেল লরেঞ্জ, এ্যান্থোনি মাসকারানহাস, বিবিসির মার্ক ট্যালি প্রমুখের অবদান তুলে ধরেন। সবশেষে সাংবাদিকতাকে তিনি কায়িক পরিশ্রমের ব্যাপার বলে বক্তব্য শেষ করেন।