ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

রাবির প্রক্টর দপ্তরের সেই ১৭ নির্দেশনা প্রত্যাহার

রাবির প্রক্টর দপ্তরের সেই ১৭ নির্দেশনা প্রত্যাহার

রাবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০২১ | ০৯:৩০ | আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২১ | ০৯:৩০

সান্ধ্য আইন মানা, ক্লাব বা সংগঠনে শিক্ষার্থীরা সম্পৃক্ত না হওয়াসহ ১৭টি নির্দেশনা দিয়ে জারি করা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর দপ্তরের সমালোচিত সেই বিজ্ঞপ্তিটি প্রত্যাহার করা হয়েছে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর লিয়াকত আলীর সই করা অপর বিজ্ঞপ্তিতে নির্দেশনা সংবলিত বিজ্ঞপ্তিটি প্রত্যাহার করা হয়।

নতুন বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের নবাগত শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যমান নিয়ম-শৃঙ্খলা সম্পর্কিত বিধি-নিষেধ অবহিত করা, র্যা গিংয়ের মতো অন্যান্য অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা রোধ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে বিধি-নিষেধগুলো প্রচার করা হয়েছিল। বর্তমান প্রেক্ষাপটে প্রচারিত কিছু বিধি-নিষেধের প্রাসঙ্গিকতা সম্পর্কে বিভিন্ন মতামত প্রশাসনের নজরে এসেছে। কিছু বিধি-নিষেধ বিদ্যমান থাকলেও বাস্তবতার কারণে তার কার্যকারিতা ও প্রয়োগ নেই। ফলে বাস্তব অবস্থা বিবেচনা করে এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিস্তারিত পর্যালোচনার জন্য প্রচারিত বিধি-নিষেধ সম্পর্কিত পত্রটি প্রত্যাহার করা হলো।

১৯ ডিসেম্বর ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর লিয়াকত আলী বলেছিলেন, একটি বিজ্ঞপ্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি হলে হলে টানানো হয়। এ নিয়ে শুরু হয় তীব্র সমালোচনা। যদিও প্রক্টর দপ্তর জানায়, নির্দেশনাগুলো বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ-১৯৭৩ এ রয়েছে।

প্রক্টর দপ্তরের জারি করা নোটিশের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি নির্দেশনা ছিল— শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ, হল সংসদ এবং বিভাগীয় সমিতি ছাড়া কোনো ক্লাব বা সমিতি বা ছাত্রসংগঠন গঠন করতে পারবে না। প্রক্টরের অনুমতি ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো মিটিং, পার্টি বা আপ্যায়ন অথবা বাদ্যযন্ত্র বাজানো যাবে না। বিশ্ববিদ্যালয় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং সাইকেল ও যানবাহন সঠিকভাবে পার্কিং না করলে প্রক্টর যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রত্যেক শিক্ষক এবং অফিসারের প্রক্টোরিয়াল ক্ষমতা থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য যা যথাপোযুক্ত সে ব্যবস্থা নিতে পারবেন। হলের আবাসিক ছাত্রদের নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত রাত ৯টা ও বছরের অন্য সময়ে রাত ১০টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত তার রুমে অবস্থান করতে হবে। শিক্ষার্থীদের বাইরে থাকার প্রয়োজন হলে আবাসিক শিক্ষকের অনুমতি নিতে হবে। হলের শিক্ষার্থীরা হল প্রাধ্যক্ষের কাছ থেকে ছুটি না নিয়ে হলে অনুপস্থিত থাকতে পারবে না। শুধুমাত্র অসুস্থতা ব্যতীত শিক্ষার্থীদের হলের রুমে খাবার নেওয়া যাবে না। রাতের খাবারের পর ছাত্রদের রোল কল করতে হবে; প্রাধ্যক্ষ যে কোনো সময়ে এটি করতে পারবেন, রোল কলের সময় ছাত্র-ছাত্রীদের নিজ নিজ কক্ষে অবশ্যই থাকতে হবে। কোনো শিক্ষার্থী রোল কলের সময় অনুপস্থিত থাকলে আবাসিক শিক্ষক তার কাছে ব্যাখ্যা চাইবেন, শিক্ষার্থীর ব্যাখ্যায় আবাসিক শিক্ষক সন্তুষ্ট না হলে তিনি দণ্ড দিয়ে প্রাধ্যক্ষকে রিপোর্ট করবেন। অনুমতি ছাড়া কোনো মিটিং হলের ভেতরে করা যাবে না।

এ ছাড়াও প্রক্টরের ওই নোটিশের নির্দেশনায় হলের আবাসিক ছাত্রীদের বিষয়ে বলা হয়, আবাসিক ছাত্রীরা সান্ধ্য আইন মেনে চলবে, শীতকালীন নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাত সাড়ে ৬টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত এবং গ্রীষ্মকালীন মার্চ থেকে অক্টোবরে রাত সাড়ে ৭টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত নিজ নিজ হলে অবস্থান করবে।

আরও পড়ুন

×