তিস্তার পানি বণ্টনে এখনও রয়েছে সহযোগিতার ক্ষেত্র

ফাইল ছবি
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২২ | ১০:৫৫ | আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২২ | ১০:৫৫
তিস্তা নদীর পানি বণ্টনের বিষয়ে সহযোগিতার ক্ষেত্র এখনও রয়েছে। এটি কেবল একপক্ষের লাভের বিষয় হতে পারে না। একশনএইড বাংলাদেশ আয়োজিত 'তিস্তা নদী অববাহিকা: সংকট উত্তরণ ও সম্ভাবনা' শীর্ষক তিন দিনের ভার্চুয়াল সপ্তম আন্তর্জাতিক পানি সম্মেলনের শেষ দিনে শনিবার বক্তারা এসব কথা বলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, মানুষ ও প্রকৃতিভিত্তিক দৃষ্টিভঙ্গি মাথায় রেখে সমাধানের পথ বের করতে হবে। নদীর পানি শাসনের ক্ষেত্রে প্রকৗশলগত দৃষ্টিকোণ থেকে বেরিয়ে আসার সময় এসেছে।
একশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির বলেন, মানুষ নদীর সঙ্গে বসবাস করে; কিন্তু সাধারণত নদীসংক্রান্ত আলোচনায় তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয় না। পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পানি জাদুঘর প্রতিষ্ঠার ধারণাটি স্থানীয় সম্প্রদায়ের লোকদের অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে এসেছে।
দ্য গ্লোবাল নেটওয়ার্ক অব ওয়াটার মিউজিয়ামের নির্বাহী পরিচালক ড. এরিবার্তো ইউলিস বলেন, তিস্তা নদী অন্যান্য নদীর মতোই পরিবর্তনের প্রতীক। পানিসংক্রান্ত যে কোনো ধরনের বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য সহযোগিতা ও ভালো অনুশীলন প্রয়োজন।
বাংলাদেশের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসরিয়াল ফেলো শহীদুল হক বলেন, আন্তর্জাতিক স্টেকহোল্ডার, জনগণ এবং রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে আরও মিথস্ট্ক্রিয়া হওয়া দরকার।
অ্যাসোসিয়েশন অব ভলান্টারি অ্যাকশন ফর সোসাইটির (আভাস) নির্বাহী পরিচালক এবং একশনএইড ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ সোসাইটির সাধারণ পরিষদের সদস্য রহিমা সুলতানা কাজল বলেন, নদীর প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করার ফলে নদীকেন্দ্রিক সভ্যতা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। তথাকথিত উন্নয়ন করতে গিয়ে নদীর পানির সুষম বণ্টন হচ্ছে না। ফলে ব্যবহারযোগ্য পানির অভাব দেখা দিয়েছে। নদীর পানি ব্যবহার নিয়ে যেসব আইন রয়েছে, সেই আইনগুলোর যথাযথ প্রয়োগ হচ্ছে না।
কাউনিয়া কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান শাশ্বত ভট্টাচার্য বলেন, নদী মরে গেলে নদীকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠা জনজীবনও মরে যায়। সেই জনজীবন যদি নদীকেন্দ্রিক জীবিকা ও শ্রম থেকে বিচ্ছুত হয় ও স্বাভাবিক কার্যক্রমের মধ্যে না থাকে, তাহলে হাজার বছরের লালিত সংস্কৃতিও নষ্ট হয়ে যায়।
সম্মেলনের শেষ দিনে আরও বক্তব্য দেন নেপাল আইএসইটির উপদেষ্টা অজয় দীক্ষিত, লিভিং ওয়াটারস মিউজিয়ামের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট ফর সায়েন্স এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের অ্যাডজান্ট প্রফেসর ডা. সারা আহমেদ এবং এওএসইডিওর নির্বাহী পরিচালক শামীম আরফিন।
- বিষয় :
- তিস্তা নদী
- পানি বণ্টন
- একশনএইড বাংলাদেশ