ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

লক্ষীপুরে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ গ্রহণের অভিযোগ

নির্মূল কমিটির রামগতি সাধারণ সম্পাদককে মারধর

নির্মূল কমিটির রামগতি সাধারণ সম্পাদককে মারধর

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হাসান মোরশেদ- সমকাল

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০২০ | ০৬:২১

মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে ভুয়া সনদ গ্রহণের অভিযোগ করার পর ঢাকায় জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলে (জামুকা) শুনানিতে এসে মারধরের শিকার হয়েছেন অভিযোগকারী একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির লক্ষীপুরের রামগতি উপজেলা সাধারণ সম্পাদক নাহিদ ফরিদা মুনমুন। তাকে রক্ষা করতে গিয়ে আহত হয়েছেন নির্মূল কমিটির আরও দুই সদস্য মুক্তিযোদ্ধা নিজাম উদ্দিন ও হাসান মোরশেদ। এদের মধ্যে হাসান মোরশেদ বর্তমানে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার পল্টন থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়েও লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

নাহিদ ফরিদা মুনমুন সমকালকে বলেন, রামগতি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদের বাবা একাত্তরের শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। ওয়াহেদ কখনও মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না বা মুক্তিযুদ্ধে অংশও নেননি। অথচ তিনি ২০০৫ সালে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গেজেটভুক্ত হয়েছেন এবং নিয়মিত ভাতাও পাচ্ছেন। বিষয়টি নজরে আসার পর গত বছরের অক্টোবরে জামুকায় তথ্যপ্রমাণসহ তার (ওয়াহেদ) বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়।

তিনি অভিযোগ করেন, ওয়াহেদের উপস্থিতিতে ওই অভিযোগের বিষয়ে জামুকা কার্যালয়ে দুদিন শুনানি নিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী। সবশেষ গত ২১ জানুয়ারি শুনানি থেকে বের হওয়ার পর জামুকা ভবনের নিচতলায় ওয়াহেদ ও তার দলবল তাদের ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় পল্টন মডেল থানায় জিডি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রামগতি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ সমকালকে বলেন, জামুকা কার্যালয়ের নিচতলায় মারধরের ঘটনা ঘটেছে। সঙ্গে থাকা স্থানীয় নেতাকর্মীরা উত্তেজিত ছিল। তবে তিনি তাদের নিবৃত্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেন বলে দাবি করেন।

তিনি মুক্তিযোদ্ধা নন বলে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে ওয়াহেদ বলেন, 'অভিযোগ যে কেউ দিতে পারে। মন্ত্রী মহোদয় নিজেই শুনানি নিয়েছেন। আমি তথ্যপ্রমাণসহ কাগজপত্র জমা দিয়েছি। এ বিষয়ে জামুকাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে।'

আরও পড়ুন

×