ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে বাবার মৃত্যু, পুত্রবধূ ও বেয়াইন গ্রেপ্তার

ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে বাবার মৃত্যু, পুত্রবধূ ও বেয়াইন গ্রেপ্তার

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০২২ | ১৩:০৬ | আপডেট: ১৪ আগস্ট ২০২২ | ১৩:০৬

রাজধানীর পল্লবীতে ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে পিটুনিতে মারা গেছেন নজির চৌধুরী (৫৫) নামে এক ব্যক্তি। গত শনিবার রাতের এ ঘটনায় নিহতের পুত্রবধূ সেলিনা আক্তার ও সেলিনার মা শিউলীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

জানা গেছে, নজির চৌধুরীর বাসা পল্লবী থানা এলাকার বাউনিয়া বাঁধে। তিন বছর আগে তার ছেলে মাহবুব চৌধুরীর সঙ্গে সায়েন্সল্যাব এলাকার মালঞ্চা রোডের বাসিন্দা মো. সেলিমের মেয়ে সেলিনা আক্তারের বিয়ে হয়। তাদের ঘরে এক ছেলে সন্তান আছে। মাহবুব স্ত্রীকে নিয়ে বাউনিয়া বাঁধে মা-বাবার সঙ্গে বসবাস করেন। কিন্তু তার স্ত্রী সেলিনা শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে যৌথ সংসারে থাকতে চান না। অন্য বাসায় ভাড়া যাওয়ার জন্য স্বামীকে চাপ দিতেন। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কলহ চলছিল।

পুলিশ জানায়, সংসারে আলাদা না হওয়ায় অভিমান করে গত ৮ আগস্ট সেলিনা বাবার বাড়ি চলে যান। ১২ আগস্ট সেলিনা ও মাহবুবের মধ্যে ঝগড়া হয়। এ খবর শুনে নজির চৌধুরী ফোনে শিউলীকে বলেন, সেলিনাকে নিয়ে বাউনিয়া বাঁধে তাঁর বাসায় আসতে। শনিবার রাতে শিউলী, তাঁর স্বামী সেলিম, মেয়ে সেলিনা ও সেলিমের ভাই রাজ্জাককে নিয়ে বাউনিয়া বাঁধে নজিরের বাসায় যান। দুই পরিবারের আলোচনার মধ্যেও সেলিনা স্বামীকে নিয়ে আলাদা সংসার করার জন্য চাপ দেন।

এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে স্বামী মাহবুবের গলা টিপে ধরেন সেলিনা। তখন নজির চৌধুরী নিজের ছেলেকে ছাড়িয়ে নিতে গেলে মাহবুবের শ্বশুরসহ অন্যরা তাঁকে কিলঘুষি ও চড়থাপ্পড় মারেন। এতে অসুস্থ হয়ে পড়েন নজির। এরপর দ্রুত মিরপুরের একটি হাসপাতালে নেওয়া হলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে সেলিনা, শিউলী, সেলিম ও রাজ্জাকের বিরুদ্ধে পল্লবী থানায় মামলা করেন।

পল্লবী থানার ওসি পারভেজ ইসলাম বলেন, সেলিনা ও শিউলীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর দুই আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। গতকাল শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে নজিরের মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়।

আরও পড়ুন

×