ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

অনলাইন বৈঠকে বক্তারা

গণমাধ্যমকে বিভ্রান্ত করছে তামাক কোম্পানি

গণমাধ্যমকে বিভ্রান্ত করছে তামাক কোম্পানি

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ০৮:২০ | আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ০৮:২০

তামাক কোম্পানির অযাচিত হস্তক্ষেপের ফলে আইন, বিধিমালা প্রণয়ন ও বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলেও প্রত্যাশিত ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম। বিগত দিনগুলোতে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়ন, আইন সংশোধন, বিধিমালা প্রণয়ন, আইন বাস্তবায়ন ক্ষেত্রে গণমাধ্যমগুলোর ভূমিকা প্রসংশার দাবিদার। কিন্তু সম্প্রতি তামাক কোম্পানিগুলো গণমাধ্যমে বিভ্রান্তকর প্রচারণা চালাচ্ছে।

সোমবার অনলাইনে অনুষ্ঠিত 'তামাক নিয়ন্ত্রণে গণমাধ্যমের ভাবনা' শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্ট আয়োজিত এ সভায় বক্তব্য দেন হলি টাইমস্‌ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক শ্যামল কান্তি নাগ, দৈনিক শেয়ার বিজের সিনিয়র রিপোর্টার মো. মাসুম বিল্লাহ, দৈনিক সমকালের স্টাফ রিপোর্টার সাজিদা ইসলাম পারুল প্রমুখ। আয়োজক সংগঠনের সহকারী প্রকল্প কর্মকর্তা নাজমুন নাহারের সঞ্চালনায় সভায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্প কর্মকর্তা মিঠুন বৈদ্য।

বক্তারা বলেন, সরকার এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্দেশ্য তামাকজনিত রোগ ও মৃত্যু কমিয়ে জনস্বাস্থ্য উন্নয়ন অপরদিকে কোম্পানীর উদ্দেশ্য স্বাস্থ্যহানীকর পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে ব্যবসা সম্প্রসারণ এবং মুনাফা অর্জন। তামাক কোম্পানিগুলো তাদের ব্যবসায় মুনাফা বৃদ্ধির জন্য দীর্ঘমেয়াদী বাজার সৃষ্টি করতে চায়। ব্যবসা সম্প্রসারণ এবং মুনাফা অর্জনের লক্ষ্যে তামাক কোম্পানীগুলো আইন সংশোধন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্থ করছে এবং নীতি নির্ধারক ও গণমাধ্যমগুলোর কাছে অসত্য তথ্য প্রচার করছে।

র্তমান প্রেক্ষাপটে খুচরা সিগারেট বিক্রয় বন্ধ এবং লাইসেন্সিং ব্যবস্থার প্রচলন করা হলে তরুণদের অনেকাংশে ধূমপান থেকে বিরত রাখা সম্ভব হবে। তামাক কোম্পানিগুলোকে মনিটরিং এর আওতায় নিয়ে আসা যাবে। সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তামাক কোম্পানির সিএসআর কার্যক্রম, ধূমপানের জন্য নির্ধারিত এলাকার বিধান এবং মারাত্মক ক্ষতিকর ভেপিং বা ইলেকট্রনিক সিগারেট নিষিদ্ধের প্রস্তাব করা হয়েছে যা অত্যন্ত যৌক্তিক। প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যয় অনুসারে ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আইন সংশোধন অত্যন্ত জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বক্তারা আরও বলেন, বিগত সময়ে হাতে গোনা কয়েকটি তামাক কোম্পানি তামাক নিয়ন্ত্রণে সহায়ক নীতি প্রণয়নে প্রতিবন্ধকতা তৈরী করেছে, এখনো করছে। সুতরাং কোম্পানিগুলোর হস্তক্ষেপ প্রতিহত করে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করা, তামাক কোম্পানি থেকে সরকারের শেয়ার প্রত্যাহার, হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা এবং সকল ধরণের রাষ্ট্রীয় পুরস্কারের তালিকা থেকে তামাক কোম্পানির নাম বাদ দেওয়া জরুরি।

আরও পড়ুন

×