টিপ পরা নিয়ে নারীকে হেনস্থা
মিথ্যা অভিযোগে চাকরিচ্যুত করার দাবি সেই পুলিশের

প্রতীকী ছবি
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ১০:০৭ | আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ১০:১৭
টিপ পরা নিয়ে নারীকে হেনস্থার ঘটনায় চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্য নাজমুল তারেক দাবি করেছেন, মিথ্যা অভিযোগে তাকে সাজা দেওয়া হয়েছে। সেদিন তিনি টিপ পরা নিয়ে কোনো কটূক্তি করেননি। বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তিনি।
লিখিত বক্তব্যে নাজমুল তারেক বলেন, ঘটনার দিন নিয়োগ পরীক্ষা থাকায় রাস্তায় প্রচণ্ড যানজট ছিল। এ কারণে আমি উল্টোপথে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলাম। পথে অসাবধানতাবশত আমার মোটরসাইকেলের লুকিং গ্লাসের সঙ্গে এক নারীর (শিক্ষক লতা সমাদ্দার) ধাক্কা লাগে। তখন তিনি আমাকে খুব বাজে গালি দেন। এ নিয়ে তিনি চিৎকার শুরু করলে আমি দুঃখ প্রকাশ করে সামনে এগোতে যাই। তখন তিনি আমার ইউনিফর্মের একাংশ ধরে টান দিলে আমি মোটরসাইকেলসহ পড়ে যাই। সেখান থেকে চলে আসার চার দিন পর গণমাধ্যমের খবরে জানতে পারি, তিনি আমার বিরুদ্ধে জিডি করেছেন। তাতে তিনি উল্লেখ করেন, কপালে টিপ পড়ায় হেনস্থার শিকার হয়েছেন। যদিও পরে পুলিশের তদন্তে টিপ পরায় কটূক্তির প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, প্রমাণ না থাকার পরও আমার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়। এর ধারাবাহিকতায় ১১ আগস্ট আমাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। তদন্ত কর্মকর্তা আমার বিরুদ্ধে মনগড়া প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। আমার দাবি, তিনি সংশ্লিষ্ট ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করুক, যাতে আমার অপরাধের প্রমাণ হয়। আর আমার অপরাধ প্রমাণে ব্যর্থ হলে তাকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
গত ২ এপ্রিল রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় টিপ পরা নিয়ে হয়রানির শিকার হয়েছেন দাবি করে শেরেবাংলা নগর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন তেজগাঁও কলেজের থিয়েটার অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক লতা সমাদ্দার। এর ভিত্তিতে ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে কনস্টেবল নাজমুলকে শনাক্ত করে পুলিশ। তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশের প্রোটেকশন বিভাগে কর্মরত ছিলেন।