রামপুরায় বাসা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার

প্রতীকী ছবি
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ১০:১৭ | আপডেট: ০৭ জুন ২০২৩ | ০৮:৫৯
রাজধানীর রামপুরার এক বাসা থেকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সৈয়দ আরিফ আহমেদ দরূদের (২২) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার বিকেলে স্বজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়।
তদন্ত সংশ্নিষ্টদের ধারণা, হতাশা থেকে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন দরূদ। তিনি ইস্ট-ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ছাত্র ছিলেন।
রামপুরা থানার এসআই মোহাম্মদ মমিনুর রহমান সমকালকে বলেন, পূর্ব রামপুরা পুরাতন পুলিশ ফাঁড়ি এলাকার ২১৯/২ নম্বর বাড়ির চতুর্থ তলায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন দরূদ। তার বাবা সাংবাদিক আহমদ আক্তার দুই বছর আগে মারা গেছেন। তার মা রেবেকা আক্তার ও বোন সৈয়দা ফেরদৌস মহল ইদমণি গত বৃহস্পতিবার এক আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে যান। শনিবার দুপুরে তারা ফিরে এসে বাসার দরজা বন্ধ পান। তখন অনেকবার ডেকেও দরূদের কোনো সাড়া মেলেনি। একপর্যায়ে তারা অন্যদের সহায়তা নিয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকেন। তখন ঘরের ভেতর সিলিং ফ্যানের হুকের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তার ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া যায়। পরে বিকেলে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়। তিনি অনার্স শেষ বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
পুলিশ জানায়, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে হতাশ ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন দরূদ। এক তরুণীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাকে বিয়েও করেছিলেন। এ নিয়ে মায়ের সঙ্গে দফায় দফায় বাকবিতণ্ডা ও মনোমালিন্য হয়েছে। তিনি প্রায়ই আত্মীয়দের কাছে বলতেন, 'আমি মরে গেলেই সব সমস্যার সমাধান হয়।' আবার তার মা ও বোনের কিছুটা মানসিক সমস্যা রয়েছে বলেও জানা গেছে। এ নিয়েও তার মধ্যে অস্বস্তি ছিল। সব মিলিয়ে পুলিশের ধারণা, শনিবার ভোর থেকে সকাল ১১টার মধ্যে কোনো এক সময় তিনি আত্মহত্যা করেন। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।