ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

ঢাবি অ্যালামনাইয়ের ৭৪ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

ঢাবি অ্যালামনাইয়ের ৭৪ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২২ | ০৮:২৫ | আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২২ | ০৮:২৫

নৃত্য, আলোচনা সভা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ৭৪ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করেছে ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন (ডুআ)। শনিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে সমস্বরে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সূচনা করা হয়।

ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। ইভান শাহরিয়ার সোপানের নেতৃত্বে উদ্বোধনী নৃত্য পরিবেশন করে নৃত্যভূমি। এরপর আলোচনা সভায় অংশ নেন বিশিষ্টজনেরা। সন্ধ্যায় পরিবেশিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। শুভেচ্ছা বক্তব্য জ্ঞাপন করেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, সাবেক ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ ড. বেনজীর আহমেদ, ডুআ’র সাবেক সভাপতি মঞ্জুরে এলাহী, সাবেক মহাসচিব ড. ফরাস উদ্দিন ও রঞ্জন কর্মকার, গণমাধ্যমব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ, অ্যাসোসিয়েশনের সহ সভাপতি সেলিমা খাতুন। স্বাগত বক্তব্য দেন মহাসচিব মোল্লা মোহাম্মদ আবু কাউসার। 

উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, অগ্রজদের দেখানো পথে নতুন কমিটি নতুন করে কিছু পরিকল্পনা নিয়েছে। অ্যালামনাইয়ের ৭৪ তম বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ও উদ্ভাবনে বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে সেই ভাবনা যেন বাস্তবরূপ ধারণ করে সেই প্রত্যাশা থাকবে।

মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় না হলে বাংলা ভাষার স্বীকৃতি থেকে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম কিছুই সম্ভব হতো না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গর্বিত ছাত্র ছিলেন। জীবনের সর্বশেষ্ঠ সময় এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কাটিয়েছি। আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জাতির বিবেক হিসেবে ছিল। পথ দেখাতো। সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পদস্খলন আমাদের সাবেকদের ব্যথিত করে। বর্তমান শিক্ষার্থীদের উচিত এই বিশ্ববিদ্যালয়কে সমুন্নুত রাখা।  

ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের প্রাণের জায়গা। বাংলাদেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, সামাজিক অগ্রগতি পেশাগত উৎকর্ষ-এমন কোন জায়গা নেই যেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অবদান নেই। বাংলাদেশের সকল সংগ্রামে এই বিশ্ববিদ্যালয় অবদান রেখেছে।

সভাপতির বক্তব্যে আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তার অহংকারের জায়গা থেকে সরে যাচ্ছে। র‍্যাংকিং নেমে যাচ্ছে। আমরা সেটি নিয়ে কাজ করছি। ইতোমধ্যে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়কে আমরা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, ট্রাফিকিং এবং সবুজায়ন-তিনটি অংশে ভাগ করেছি। বর্তমান শিক্ষার্থীদের পার্টটাইম চাকরির মাধ্যমে এ কাজগুলো আমরা এগিয়ে নিচ্ছি। এর ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মোন্নয়ন ঘটবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কর্ম এগিয়ে নিতে ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়ার সম্পর্কের জন্য কাজ চলমান আছে। এ ছাড়া অ্যালামনাইদের জন্য মেডিকেল ছাড়, অ্যালাইমনাইদের ডিজিটাল প্লাটফর্মে সংযুক্ত করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদা, সাংসদ আরমা দত্ত, অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক সম্পাদক এ কে এম আফজালুর রহমান বাবু, সাংগঠবিক সম্পাদক শেখ সালাউদ্দিন আহমেদ, প্রচার ও যোগাযোগ সম্পাদক কাজী মোয়াজ্জেম হোসেন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অভিনেতা ফেরদৌস আহমেদ প্রমুখ।

আরও পড়ুন

×