শাহবাগে বিএনপির গয়েশ্বর-মিন্টুর কুশপুত্তলিকা দাহ, গ্রেপ্তার দাবি

ছবি: সমকাল
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারি ২০২৩ | ১৩:৫১ | আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২৩ | ১৩:৫৬
‘মুক্তিযুদ্ধকে বাই চান্স বলে কটূক্তি ও অবমাননার দায়ে’ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুর কুশপুত্তলিকা দাহ করে দ্রুত তাদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। আজ সোমবার বিকেলে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে তারা এ দাবি জানায়। সমাবেশ শেষে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও আব্দুল আউয়াল মিন্টুর কুশপুত্তলিকা দাহ করে তারা।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে সংগঠনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা জহির উদ্দিন জালাল বলেন, ‘এরা স্বাধীনতা বিরোধীদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার জন্যই মুক্তিযুদ্ধের ভুল ইতিহাস উপস্থাপন করেছে যা সংবিধানের ৫ম, ৬ষ্ঠ, ৭ম তফসিল ও অনুচ্ছেদ ৪(ক) লঙ্ঘন হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি ও সংবিধান সম্পর্কে কটূক্তি করার অপরাধে গয়েশ্বর চন্দ্র ও আবদুল আউয়াল মিন্টুকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি। এদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র কোন কঠোর ব্যবস্থা না নিলে বীর মুক্তিযোদ্ধারা এদেরকে যেখানে পাবে সেখানেই গণধোলাই দিয়ে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেবে।’
মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন মজুমদার বলেন, ‘রাজাকারের দোসর গয়েশ্বর ও মিন্টুর এ ধরণের ন্যাক্কারজনক বক্তব্যের জন্য দুইভাবেই শাস্তি হতে পারে। এক সংবিধান লঙ্ঘনের অপরাধে। অন্যদিকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির জন্য তাকে আইসিটি আইনেও গ্রেপ্তার করা যেতে পারে। অথচ সরকার বা প্রশাসন এখনও কোন আইনগত পদক্ষেপ নেই। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ কখনোই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী এই ষড়যন্ত্র বরদাশত করবে না। বাংলাদেশে স্বাধীনতা বিরোধী কোনো অপশক্তির জায়গা হবে না। আমরা অবিলম্বে এদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।’
সভাপ্রধানের বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ‘গয়েশ্বর ও মিন্টুর বক্তব্য লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত সংবিধান পরিপন্থী ও ইতিহাসের সুস্পষ্ট বিকৃতি। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এরা জাতির নিকট নিঃশর্ত ক্ষমা না চাইলে এদের বিষদাঁত উপড়ে ফেলবে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।’
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আল মামুনের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য দেন মুক্তিযোদ্ধা কাজী আব্দুল মুকিম সন্টু, জয়নুল আবেদীন রোজ, সহ-সভাপতি ফিরোজ মাহমুদ সুজন প্রমুখ।