ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

গুলশানে গুলি: স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

গুলশানে গুলি: স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

আবদুল ওয়াহিদ মিন্টু

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারি ২০২৩ | ১৫:০১ | আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২৩ | ১৫:০৯

রাজধানীর গুলশান এলাকায় রোববার প্রকাশ্যে গুলির ঘটনায় স্বেছাসেবক লীগ নেতা আবদুল ওয়াহেদ মিন্টুসহ ৫ জনকে আসামি করে হত্যাচেষ্টার মামলা হয়েছে।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- শরিফুল, হুমায়ুন, আরিফ হোসেন ও তার ভগ্নিপতি মনির আহমেদ। মিন্টু ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি।

রোববার বিকেলে গুলশান-১ নম্বর গোলচত্বরের কাছে গুলশান শপিং সেন্টারের নিচে গুলির ঘটনাটি ঘটে। গুলিতে আহত হন গাড়িচালক আমিনুল ইসলাম ও ভ্যানচালক আবদুর রহিম মিয়া। ঘটনার পরপরই পিস্তলসহ ওয়াহেদকে আটক করে পুলিশ। জব্দ করা হয় তার অস্ত্র। একই সঙ্গে মনির ও আরিফকেও গ্রেপ্তার করা হয়। পলাতক রয়েছেন শরিফুল ও হুমায়ুন।

মামলার বাদী গাড়িচালক আমিনুল ইসলাম এজাহারে বলেন, গাড়ির মালিক মো. মহিউদ্দিন গুলশানের গ্লোরিয়া জিন্স কফি শপে যান। কফি শপের পার্কিংয়ে গাড়ি রেখে গেটের বাইরে অপেক্ষা করছিলেন আমিনুল। হঠাৎ এক ব্যক্তি গুলি করতে থাকে। তার মধ্যে একটি গুলি তার বাম পায়ে লাগে। রক্তাক্ত অবস্থায় চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসেন। এরপর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে অস্ত্রধারী ওয়াহেদ ছাড়াও আরো দু'জনকে আটক করে।

এদিকে গ্রেপ্তার ওয়াহেদসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সোমবার ঢাকার মহানগর হাকিম সৈয়দ মোস্তফা রেজা নূর আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আদালতে পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই আলমগীর হোসেন জানান, তাদের জামিন শুনানির জন্য আদালত মঙ্গলবার দিন রেখেছেন।

গুলশান থানার ওসি বি এম ফরমান আলী সমকালকে বলেন, গুলির ঘটনায় আরও দু'জনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। যে অস্ত্র দিয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ গুলি করেছেন সেটি বৈধ অস্ত্র। কেন কী প্রেক্ষাপটে গুলি করা হয়েছিল তা তদন্ত হচ্ছে।

পুলিশের আরেক কর্মকর্তা জানান, ওয়াহেদ এর আগেও কোনো অপরাধে জড়িয়েছে কি-না তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে তার নামে আরও কোনো মামলার থাকার তথ্য পুলিশ এখনো পায়নি।

পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আরিফ হোসেন নামে এক যুবক রোববার গুলশান-১ নম্বরে ডিএনসিসি মার্কেটের পেছনের আলফা স্টোরে গিয়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ৭৫ হাজার টাকা পাঠান। তবে সংশ্লিষ্ট এজেন্টকে তিনি টাকা পরিশোধ করেননি। এ নিয়ে এজেন্টের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়।

একপর্যায়ে তাকে আটকে রাখেন ব্যবসায়ীরা। তখন তিনি তার পূর্ব পরিচিত এক ব্যক্তিকে ফোন করে সহায়তা চান। তিনি আবার গুলশান থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতাকে বিষয়টি জানান। ওই নেতা তার সঙ্গে থাকা আবদুল ওয়াহেদ মিন্টুকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। বিকেল ৩টার দিকে তারা গিয়ে আরিফকে মারধরের কারণ জানতে চান। মারধরকারীকে পুলিশে সোপর্দ করা হবে বলে ভয় দেখান। সেইসঙ্গে আরিফকে তাদের হেফাজত থেকে নিয়ে আসার চেষ্টা চালান।

এ সময় ব্যবসায়ীরা বাধা দিলে দুই পক্ষে হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে মিন্টু তার সঙ্গে লাইসেন্স করা পিস্তল বের করে দুই-তিন রাউন্ড গুলি ছোড়েন। গুলি রাস্তায় লেগে গতিপথ বদলে দুই পথচারীর পায়ে বিদ্ধ হয়। তাদের একজন আমিনুল ইসলাম ঘটনাস্থলের পাশের গ্লোরিয়া জিন্স কফি শপের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন।

আরও পড়ুন

×