ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

ঈদে ২০০ কোটি টাকার জাল নোট ছাড়তে চেয়েছিল ওরা

ঈদে ২০০ কোটি টাকার জাল নোট ছাড়তে চেয়েছিল ওরা

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ২০:৫৮ | আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ২০:৫৮

ঈদুল ফিতরকে টার্গেট করে প্রায় ২০০ কোটি টাকার দেশি-বিদেশি জাল নোট বাজারে ছড়াতে চেয়েছিল একটি চক্র। সেজন্য পুরো প্রস্তুতিও ছিল। জাল নোট তৈরিও শুরু করেছিল। এর মধ্যেই বিশেষ অভিযান চালিয়ে জালিয়াত চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তেজগাঁও বিভাগ।

গ্রেপ্তাররা হলো- উজ্জ্বল দাস ওরফে সোবহান সিকদার, আব্দুর রশিদ, মমিনুল ইসলাম ও শাহ মো. তুহিন আহমেদ ওরফে জামাল। তাদের কাছে পাওয়া গেছে ১ কোটি ২০ লাখ টাকার জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প, ২৭ লাখ টাকার জাল নোট, বিদেশি মুদ্রা এবং জাল নোট ও স্ট্যাম্প তৈরির সরঞ্জাম।

গত বুধবার রাজধানীর দারুস সালাম এলাকায় এ অভিযান চালানোর কথা গতকাল শনিবার গণমাধ্যমকে জানায় ডিবি। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে গতকাল রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

এতে ডিবিপ্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, প্রথমে জালিয়াত চক্রের মূল হোতা উজ্জ্বল দাসকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যে দারুস সালামের একটি ভবনে অভিযান চালানো হয়। এ সময় বিভিন্ন দেশের জাল মুদ্রা, রেভিনিউ স্ট্যাম্প ও তৈরির সরঞ্জামসহ রশিদ, মমিনুল ও তুহিনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা মতিঝিল থেকে প্রয়োজনীয় কাগজ, নয়াবাজার ও মিটফোর্ড থেকে রং, ফয়েল ও পজেটিভ সংগ্রহ করে। সেগুলো দিয়েই তৈরি হয় জাল নোট ও রেভিনিউ স্ট্যাম্প। বর্তমানে বিশ্ববাজারে ডলার সংকট হওয়ায় তারা ভারতীয় জাল রুপি ও জাল মার্কিন ডলার বিদেশে পাচার করছে। কম মূল্যমানের নোট অর্থাৎ ১০০ ও ২০০ টাকার নোটও জাল হচ্ছে। এটা খালি চোখে ধরা প্রায় অসম্ভব। বিশেষত পিতল বা তামার তৈরি প্লেট দিয়ে তৈরি ২০০ টাকার নোটগুলো আসল টাকার মতোই নিখুঁত।

ডিবিপ্রধান বলেন, গ্রেপ্তাররা দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় অল্প সময়ের জন্য বাসা ভাড়া নিয়ে জাল নোট তৈরির কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। তাদের কাছে যে পরিমাণ উপকরণ পাওয়া গেছে, তা দিয়ে প্রায় ২০০ কোটি টাকা মূল্যমানের দেশি-বিদেশি জাল মুদ্রা ও রেভিনিউ স্ট্যাম্প তৈরি সম্ভব ছিল।

আরও পড়ুন

×