জীবাণুমুক্ত করার আগে যাত্রী তোলেন না তিনি

সাহাদাত হোসেন পরশ
প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২০ | ২১:১২ | আপডেট: ২২ মার্চ ২০২০ | ২১:১৫
দেশে অ্যাপসভিত্তিক বাইকার ও প্রাইভেটকার চালক রয়েছেন হাজার হাজার। উবার, পাঠাওসহ নানা রাইড শেয়ারিং কোম্পানির আওতায় থেকে তারা যাত্রী পরিবহন করেন। তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ঢাকায় অধিকাংশ অ্যাপসভিত্তিক চালকের মধ্যে তেমন সচেতনতা দেখা যায় না। তারা নিজেরা নোংরা, ধুলোময় হেলমেট ব্যবহার করেন এবং যাত্রীকেও সরবরাহ করেন। গাড়ির ভেতরে-বাইরে পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যাপারেও তারা উদাসীন।
তবে ব্যতিক্রমও আছে। তাদের একজন সৈয়দ ইমরান আলী। উবারের অ্যাপস ব্যবহার করে মোটরসাইকেল চালান তিনি। মোটরসাইকেলে যাত্রী তোলার আগে যাত্রীর দু'হাতে তুলে দেন হেক্সিসল। এরপর সরবরাহ করেন টিস্যু। ওই টিস্যু যাত্রীর মাথায় পেঁচিয়ে পরিয়ে দেন হেলমেট। তার আগে স্যাভলন দিয়ে হেলমেট ও বসার সিট পরিষ্কার করে দেন তিনি। জীবাণুমুক্ত করার আগে ইমরান গাড়িতে যাত্রী তোলেন না।
ইমরান জানালেন, তিনি মূলত টেকনিশিয়ান। ব্যায়ামাগারে ব্যবহৃত সামগ্রী ঠিকঠাক করেন তিনি। আর পার্টটাইম পেশা হিসেবে মোটরসাইকেল চালান। পরিবার নিয়ে বসবাস করেন মিরপুর ১১ নম্বরে। বাসায় তার মা ও ভাই রয়েছে।
ইমরান বলেন, করোনা এমন এক রোগ যা প্রতিরোধ করতে হলে সবার সহযোগিতা দরকার। নিজে ভালো থাকলেই হবে না। আশপাশের সবাইকে নিয়ে ভালো থাকতে হবে। সবাইকে সচেতন করা জরুরি। চীনে করোনার সংক্রমণ দেখা দেওয়ার পর থেকেই তিনি সব ধরনের স্যানিটাইজার সংগ্রহ করেন। যাত্রী তোলার আগে যেমন, তেমনি যাত্রী নামার পরও দ্বিতীয় দফায় সবকিছু পরিষ্কার করেন তিনি। নিজে ব্যবহার করে হ্যান্ড গ্লাভস ও মাস্ক। টিস্যু ব্যবহারের পর অপেক্ষাকৃত নিরাপদ জায়গায় তা ফেলে দেন। ইমরান সর্বোচ্চ সতর্ক থাকলেও রাজধানীর অন্য অ্যাপসভিত্তিক গাড়ি চালকদের মধ্যে পরিচ্ছন্নতা নিয়ে সচেতনতার ব্যাপক ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। অধিকাংশ চালক নিজেই মাস্ক বা গ্লাভস ব্যবহার করেন না।
করোনাভাইরাসের প্রকোপ দেখা দেওয়ার পর থেকে বিশ্বের অনেক দেশেই পরিচ্ছন্নতার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। গণপরিবহন জীবাণুমুক্ত করতে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। তবে ঢাকায় এখনও গণপরিবহনে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চোখে পড়ছে না। অবশ্য ট্রেন পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে।
- বিষয় :
- রাইড শেয়ারিং
- উবার
- পাঠাও