পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরে চিকিৎসকের ঝুলন্ত মরদেহ

প্রতীকী ছবি
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫ এপ্রিল ২০২৩ | ১৪:৪২ | আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০২৩ | ১৬:২৮
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর থেকে মনোয়ারুল হক (৫৯) নামে এক চিকিৎসকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি নরসিংদীর রায়পুরায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
গত মঙ্গলবার দুপুরে তিনি দাপ্তরিক প্রয়োজনে অধিদপ্তরে আসেন। পরে অডিট কর্মকর্তার কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তাঁর মরদেহ পাওয়া যায়।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রায় দুই কোটি টাকার অডিট আপত্তি থাকায় মনোয়ারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছিল। হতাশা থেকে তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করতে পারেন। তবে স্বজনের অভিযোগ, তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।
তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপূর্ব হাসান সমকালকে বলেন, এ ঘটনায় একটি ইউডি (অস্বাভাবিক মৃত্যু) মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে হত্যার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।
পুলিশ ও স্বজনের সূত্রে জানা যায়, ঢাকার নারিন্দায় থাকতেন মনোয়ার। তাঁর গ্রামের বাড়ি বগুড়া সদরে। মঙ্গলবার দুপুরে তিনি অধিদপ্তরে আসেন এবং ১২ তলায় অডিট কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদের কক্ষে যান। তখন ওই কর্মকর্তা নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন। ফিরে এসে তিনি মনোয়ারের ঝুলন্ত নিথর দেহ দেখতে পান। ঘটনার সময় সেখানে আর কেউ ছিলেন না। তবে আশপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
পুলিশ জানায়, মনোয়ারের বিরুদ্ধে এক কোটি ৯০ লাখ টাকার অডিট আপত্তি ওঠে। ওই টাকার হিসাব না মেলায় তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়। মামলার বিষয়ে খোঁজ নিতেই তিনি অধিদপ্তরে এসেছিলেন। মামলাটি তদন্তাধীন থাকায় তিনি ইচ্ছা থাকার পরও অবসরে যেতে পারছিলেন না। এসব কারণে সৃষ্ট হতাশা থেকে তিনি আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন।
তবে মনোয়ারের ভাই সাবেক সেনা কর্মকর্তা মনিরুল হক সাংবাদিকদের বলেন, তাঁর অডিট আপত্তির বিষয়টির সমাধান হয়েছিল। এর পরও বিষয়টি আবারও উত্থাপন করা হয়েছে। এটি রহস্যজনক। তাঁকে হত্যা করা হতে পারে। ঘটনার দিন সকালেও মনোয়ারের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাঁকে স্বাভাবিক মনে হয়েছে।