স্ত্রীর নির্যাতনের জিডি করতে গিয়ে ধরা পড়ল স্বামী, বাসায় মিলল লাশ

প্রতীকী ছবি
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৭ জুন ২০২৩ | ১৬:৪৯ | আপডেট: ১৭ জুন ২০২৩ | ১৬:৪৯
স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামী ফারুক হোসেন স্ত্রীর নির্যাতনের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে থানায় গিয়েছিলেন। তিনি থানায় থাকা অবস্থায় প্রতিবেশীদের ফোন পেয়ে পুলিশ স্ত্রী হত্যার দায়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার বাসা থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার রাজধানীর শ্যামপুরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহতের নাম সাথী আক্তার (২১)।
পুলিশ জানিয়েছে, ফারুক সপরিবারে শ্যামপুরের ১৪ নম্বর ডিআইটি প্লটে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। শুক্রবার বিকেলে ওই বাসা থেকে সাথী আক্তারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। গতকাল শনিবার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মর্গে লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে।
পুলিশ বলছে, নানা কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হতো। শুক্রবারও তাদের ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে স্ত্রী সাথীকে কিলঘুসি মারেন ফারুক। পরে গলা টিপে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। নিহতের নাক, কান, গলা ও থুতনিসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
নিহত সাথীর চাচা কামাল হোসেন জানান, তিন বছর আগে ফারুকের সঙ্গে সাথীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে ব্যবসা করার কথা বলে দুই লাখ টাকা দাবি করেন ফারুক। মাস দুয়েক আগে দাবিকৃত টাকা তাকে দেওয়া হয়েছে। কয়েক দিন ধরে আরও কিছু টাকার জন্য চাপ দিতে থাকেন। ওই টাকা না দেওয়ায় সাথীকে হত্যা করা হয়েছে। তাদের সংসারে দেড় বছর বয়সী এক কন্যাসন্তান রয়েছে। সাথী বরিশালের কাউলিয়া এলাকার মানিকের মেয়ে।
শ্যামপুর থানার এসআই হাফিজুল্লাহ বলেন, স্ত্রীকে হত্যার পর ফারুক বিকেলে থানায় গিয়েছিলেন স্ত্রীর বিরুদ্ধে জিডি করতে। তার অভিযোগ, স্ত্রী সাথী তাকে মানসিকভাবে নির্যাতন করেন। তিনি থানায় থাকা অবস্থায়ই তার প্রতিবেশীরা খুনের খবর জানান। পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। শপিং করার জন্য সাথী তার কাছে প্রায়ই টাকাপয়সা চাইতেন বলে দাবি ফারুকের। এ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।