স্বাধীনতার মাহাত্ম প্রচারে শুক্রবার হাতিরঝিলে ‘ম্যারাথন’ প্রতিযোগিতা

দেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতার মাহাত্ম্য প্রচারের উদ্দেশ্যে ম্যারাথন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। আগামী ২১ জুলাই শুক্রবার সকাল ৫টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ঢাকায় হাতিরঝিলে এই হাফ ম্যারাথন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিযোগিতা থেকে প্রাপ্ত আয় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের তহবিলে জমা হবে।

সোমবার মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে ইন্সপায়ারিং বাংলাদেশ’ আয়োজিত ‘ইন্সপায়ারিং বাংলাদেশ ইন্ডিপেন্ডেন্স রান ২০২৩’ এর সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। আয়োজনের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত আছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয়, মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ও বাংলাদেশ টুরিজম বোর্ড এবং আরটিভি।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ১৮-১৯ জুলাই রেস এক্সপো আয়োজিত হবে। হাতিরঝিলের এম্ফিথিয়েটার থেকে শুরু হয়ে রামপুরা ব্রিজ-ওয়েস্ট ব্রিজ (এফডিসি)- কনকর্ড পুলিশ প্লাজায় শেষ হবে। সংবাদ সম্মেলন শেষে আয়োজকরা প্রতিযোগিতার জার্সি ও মেডেল উন্মোচন করেন। আয়োজকরা জানান, তিন ক্যাটাগরিতে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।

ম্যারাথনে অংশগ্রহণের জন্য ইতোমধ্যে ১ হাজার ৫০০ তরুণ রেজিস্ট্রেশন করেছে। প্রথম ক্যাটাগরিতে থাকছে ১৫ কিলোমিটার দৌড় প্রতিযোগিতা। যেকোনো বয়সের এই ক্যাটাগরিতে অংশগ্রহণ করছেন ৬৫০ জন। দ্বিতীয় ক্যাটাগরিতে তরুণদের জন্য থাকছে সাড়ে ৭ কিলোমিটার দৌড় প্রতিযোগিতা, অংশগ্রহণ করছেন ৭৫০ জন। তৃতীয় ক্যাটাগরিতে শিশুদের জন্য ৫০ মিটার দৌড় প্রতিযোগিতা, এতে অংশগ্রহণ করছে ২০০ শিশু। প্রথম দুই ক্যাটাগরি থেকে তিনজন নারী ও তিনজন পুরুষ এবং শিশুদের মধ্যে তিনজন, মোট ১৫ জন বিজেতার জন্য রয়েছে মেডেল ও প্রাইজ মানি।

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের সদস্য সচিব সারা যাকের বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের প্রয়োজন তহবিল। সরকার থেকে আমরা যা পাই, তা দিয়ে সব কাজ করা সম্ভব হয় না। আমাদের ছোট আকারে এই তহবিল থাকলেও তা যথেষ্ট না, এটা আরও বড় করতে হবে। এ ধরনের জাদুঘর জনগণের জন্য প্রয়োজন।’

জেডএসআরএম চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এই ইভেন্টে যুক্ত হওয়ার মূল উদ্দেশ্য- এখানে অধিকাংশ অংশগ্রহণকারীরা তরুণ প্রজন্মের। যারা হবেন আগামী দিনের কান্ডারী। এজন্য তাদের প্রয়োজন ফিজিক্যাল ফিটনেট। শারীরিকভাবে ফিট থাকতে হলে ম্যারাথনের প্রয়োজনীয়তা অনেক।’

ইন্সপায়ারিং বাংলাদেশের ফাউন্ডার ইমরান ফাহাদ মনে করেন, তরুণ প্রজন্মের কাছে মহান মুক্তিযুদ্ধের গল্প তুলে ধরা ও তাদের অনুপ্রাণিত করার লক্ষেই এই উদ্যোগ। তিনি বলেন, ‘এর ফলে আমরা মাদকমুক্ত ও সুস্থ সমাজ গঠন করতে পারবো এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে কার্যকরী ভূমিকা নিতে পারব।’

এই প্রতিযোগিতা আয়োজনে সহযোগী হিসেবে আরও যুক্ত রয়েছে জেড এস আর এম, ব্রিটিশ বাংলা ট্রাভেলস, টুরাগ এক্টিভ, গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স, পোলার আইসক্রিম, ড্যান কেক, নগদ, ইউনিলিভার, ফিটনেশন প্রো, লেস, ব্রুভানা, মি. নুডলস, নিউট্রিশন ডিপোর্ট, এস্টার ফার্মেসি, প্রাভা হেলথ, ইয়োগা চন্দ্রিমা, স্কলারশিপ ফর বাংলাদেশ, বিগ ভেঙ্কার ও ফারমাসি।