মতিঝিলে ভবনের ৬ তলায় ঝুলছিল কেয়ারটেকারের লাশ

সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১ আগস্ট ২০২৩ | ০৩:২১ | আপডেট: ২১ আগস্ট ২০২৩ | ০৩:২১
রাজধানীর মতিঝিল গোপীবাগ ফার্স্ট লেন এলাকার আবাসিক ভবন থেকে মো. হাসান নামে এক কেয়ারটেকারের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গতকাল রোববার সন্ধ্যায় মরদেহটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। ঢামেক মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মতিঝিল থানার এসআই সুদীপ্ত শাহীন জানান, সকালে খবর পেয়ে ভবনের ছয়তলার ছাদে গিয়ে একটি ছোট কক্ষে হাসানের ঝুলন্ত লাশ পান। পরে তাঁর স্ত্রীকে কল করা হলে তিনি না আসা পর্যন্ত পুলিশকে মরদেহ নামাতে নিষেধ করেন। পরে তিনি গিয়ে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ নিয়ে যেতে চান। এ জন্য মরদেহ হাসপাতালে নিতে দেরি হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। এ ঘটনায় মতিঝিল থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। মৃতের স্ত্রীকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, হাসানের বাড়ি ময়মনসিংহ সদরের বররচর এলাকায়। তাঁর স্ত্রী এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে থাকতেন। তবে কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন, তা জানা যায়নি।
হাসানের স্ত্রী নূরুন নাহার বলেন, শনিবার রাতে তাদের শেষ কথা হয়। ওই সময় হাসান তাঁর মায়ের সঙ্গে কথা বলতে চান। কিন্তু মা ঘুমিয়ে পড়ায় কথা বলতে পারেননি। আত্মহত্যা করার মতো তাদের মধ্যে কিছু হয়েছে কিনা জানতে চাইলে বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না।
মিরপুরে তরুণীর লাশ উদ্ধার
রাজধানীর মিরপুর ডিওএইচএস এলাকা থেকে গতকাল আফরোজা আক্তার মিমি (২১) নামে এক তরুণীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারের দাবি, তিনি ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছেন। মেহেদী হাসান নামে এক যুবক তাঁর মৃত্যুর জন্য দায়ী।
মিরপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের কম্পিউটার সায়েন্সের প্রথম বর্ষের ছাত্রী মিমি পরিবারের সঙ্গে মিরপুর ডিওএইচএস ৩ নম্বর সড়কের একটি বাসায় থাকতেন।
তাঁর বাবা আফসার উদ্দিনের অভিযোগ, মেহেদী হাসানের জন্য মিমি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। তাদের সম্পর্ক ছিল। মিমিকে নায়িকা বানাবে বলে কয়েক লাখ টাকা নেন মেহেদী। একপর্যায় তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠলে এফিডেভিট করেন, কিন্তু কাবিন করেননি। এর মধ্যে মিমি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। পরে তাঁর পেটের সন্তান নষ্ট করে ফেলেন মেহেদী। এ ব্যাপারে পল্লবী থানায় মেহেদীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। পরে তিনি জেল খেটে জামিনে বের হন। এসব কারণে মিমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। তাঁকে একটি মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়।