ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

সাদ্দামকে ফুল দিতে এসে ঢাবি ছাত্রলীগ নেতাদের হেনস্তার শিকার

সাদ্দামকে ফুল দিতে এসে ঢাবি ছাত্রলীগ নেতাদের হেনস্তার শিকার

ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সঙ্গে শহীদ মিনার এলাকায় দেখা হলে দাঁড়িয়ে ফুল দেন সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নেতাকর্মীরা। ছবি-সমকাল

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ০৮:৫৯ | আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ০৮:৫৯

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেনকে ফুল দিতে এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়নের অনুসারীদের হাতে হেনস্থার শিকার হওয়ার অভিযোগ করেছেন স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় তাদের হাতে থাকা ফুল ছিঁড়ে ফেলে দেওয়া হয় বলে জানান তারা।

শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্তরা হলেন, সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহরিয়ার নিরব ও বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগের সহসভাপতি মেহেদী হাসান নিবির। তারা শয়নের অনুসারী হিসেবে পরিচিত এবং আসন্ন হল কমিটিতে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মেহেদী হাসান নিবির ও শাহরিয়ার নিরবের নেতৃত্বে শয়নের একদল অনুসারী রোকেয়া হলের সামনে দাড়িয়ে থাকা মেডিকেল নেতাদের দেখে পরিচয় জিজ্ঞেস করেন। এ সময় ফুলের তোড়া সাদ্দামকে দেওয়ার কথা শুনে তারা ছিঁড়ে বলেন, ফুল দিতে হলে পার্টি অফিসে অথবা বাসায় যান।

উল্লেখ্য, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় শীর্ষ দুই নেতা ও ঢাবি শীর্ষ দুই নেতার সঙ্গে শীতল সম্পর্ক চলছে। গত ১ সেপ্টেম্বর ছাত্রসমাবেশে প্রধানমন্ত্রীর সামনে বক্তব্য দিতে না দেওয়ায়, কেন্দ্রীয় কমিটিতে ঢাবির নেতৃদ্বয়ের অনুসারীদের কম পদায়ন ও সাত কলেজের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তাদের মধ্যকার দ্বন্দ্ব এখন প্রকাশ্য। এর জের ছড়িয়েছে কর্মীদের মধ্যেও। এটি তার বহিঃপ্রকাশ বলে মনে করছেন অনেকে।

ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি দুর্জয় পাল বলেন, গত ৩১ জুলাই আমাদের নতুন কমিটি হয়। আগস্ট মাসে শুভেচ্ছা জানাতে পারিনি। তাই আমরা অভিনন্দন জানাতে তিনটি ফুলের তোড়া নিয়ে গিয়েছিলাম। তখন অভিযুক্তরা ঢাবি শিক্ষার্থী পরিচয় দিয়ে আমাদের সঙ্গে কথা বলে। এক পর্যায়ে তারা আমাদের হাতে থাকা ফুল ফেলে দিয়ে দ্রুত চলে যেতে বলে। পরে শহীদ মিনার এলাকায় ভাইকে (সাদ্দাম) দেখতে পেল নতুনভাবে ফুল কিনে শুভেচ্ছা বিনিময় করি। ভাই বিষয়টি দেখবেন বলেও জানিয়েছেন।

অভিযোগের বিষয়ে মেহেদী হাসান নিবির বলেন, আমি অসুস্থ। মেডিকেলে যাচ্ছিলাম রিকশা করে, তখন তাদের সঙ্গে কথা হয়, পরিচয় জেনেছিলাম। পরবর্তীতে আমি মেডিকেল থেকে ফিরে এসে দেখি ছেঁড়া ফুল পড়ে আছে। আমি ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট না।

আরেক অভিযুক্ত শাহরিয়ার নিরব বলেন, আমি দু'দিন ধরে ক্যাম্পাসে নেই। সে জায়গায় ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রশ্নই আসে না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাজহারুল কবির শয়ন জানান, 'ঘটনা জানি না। খোঁজ খবর নিচ্ছি।'  

অন্যদিকে ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেনকে ফোন করা হলে তিনি কেটে দেন।

আরও পড়ুন

×