সেই রাতে হাসপাতালে কী ঘটেছিল, জানালেন বারডেমের নিরাপত্তা কর্মকর্তা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ০১:০৯ | আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ০১:১৭
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ২ নেতাকে রাজধানীর শাহবাগ থানায় নিয়ে মারধরের আগে বারডেম হাসপাতালে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছিল। সেই ঘটনা তুলে ধরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছিলেন সেখানকার এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা।
চিঠিতে বলা হয়, বারডেমের ইটিটি রুমের সামনে সেদিন মারামারি হচ্ছিল। এ সময় হাসপাতালের নিরাপত্তা কর্মকর্তা ওয়ারেছ আলী দুই পক্ষকে অনুরোধ করে মারামারি থামান। পরে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে পুলিশ এসে দুই পক্ষকে থানায় নিয়ে যায়।
ঘটনার পরদিন রোববার ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ঘটনা সম্পর্কে অবগত করে চিঠি দেন সিকিউরিটি সুপারভাইজার ওয়ারেছ আলী।
তিনি চিঠিতে লিখেছেন, শনিবার রাত ৮টার দিকে হাসপাতালে আসা একদল দর্শনার্থী ইটিটি (একধরনের শারীরিক পরীক্ষা) কক্ষের সামনে মারামারি করেন। হাসপাতালের বিভিন্ন ইউনিট পরিদর্শন করে এসে তিনি এই মারামারি দেখতে পান। দুই পক্ষকে অনুরোধ করে তিনি মারামারি থামাতে সমর্থ হন।
চিঠিতে ওয়ারেছ আলী বলেন, মারামারিতে লিপ্ত ব্যক্তিদের পরিচয় জানতে চাইলে, প্রথমে তারা পরিচয় জানাতে অস্বীকৃতি জানান। অনুরোধ করলে তারা পরিচয় দেন। এতে জানা যায়, একজন রাষ্ট্রপতির এপিএস (একান্ত সহকারী সচিব আজিজুল হক) এবং অন্যজন হচ্ছেন পুলিশ কর্মকর্তা (বরখাস্ত হওয়া রমনা অঞ্চলের এডিসি হারুন অর রশিদ)।
তিনি আরও বলেন, বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে তিনি ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে রমনা ও শাহবাগ থানার পুলিশ এসে তাদের নিয়ে যায়।
প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আজিজুল হকের সঙ্গে পুলিশের রমনা বিভাগের বরখাস্ত এডিসি হারুন অর রশিদের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে গত শনিবার ছাত্রলীগের ২ নেতাকে থানায় এনে মারধর করা হয়।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, শাহবাগ থানায় ওসির (তদন্ত) কক্ষে এই মারধরে নেতৃত্ব দেন এডিসি হারুন। তবে ঘটনার সূত্রপাত হয় বারডেম হাসপাতালে। সেখানে প্রথমে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে ছাত্রলীগ নেতাদের মারধর করা হয়।