ঢাকায় পর্যটন মেলা শুরু, মিলছে মুখরোচক খাবার

ছবি: সমকাল
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১২:৩৪ | আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৫:০২
বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে বুধবার রাজধানীতে শুরু হয়েছে চারদিনব্যাপী পর্যটন মেলা। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
মেলায় ১৬০টির বেশি দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা স্টলে মিলছে মুখরোচক সব খাবার।
অনুষ্ঠানে স্পিকার বলেন, ‘দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখছে পর্যটন শিল্প। এ শিল্পের প্রসার গ্রামগঞ্জে বাড়াতে হবে। দেশের পর্যটন নগরী কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে প্লাস্টিক ও আবর্জনামুক্ত করে পর্যটকদের জন্য তা আকর্ষণীয় স্থান হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। দেশে পর্যটন শিল্পের চাহিদা বাড়ছে, কিন্ত পরিকল্পনাভিত্তিক ব্যবস্থা নেই। রাজধানীতে কয়েকটি পর্যটক বাস চালু করা হলে সহজেই ঢাকা ইউনিভর্সিটি, পুরান ঢাকার দর্শনীয় স্থানসহ ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন খাবারের প্রতি পর্যটকদের আগ্রহ বাড়বে।’
বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড আয়োজিত রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে চার দিনের পর্যটন মেলায় অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ২০টি হোটেল রিসোর্ট, ৭০টি অঞ্চলভিত্তিক খাবার স্টল, ডিস্ট্রিক ব্র্যান্ডিংয়ের আওতায় ২৯টি জেলা, ক্রাফট স্যুভেনিয়র ২৬টি, দুটি এয়ারলাইন্সসহ বিনোদন পার্ক, ট্রাভেল এজেন্ট, ট্যুর অপারেটর, ট্যুর গাইড, বিদেশি দূতাবাসসহ ১৬০টির বেশি প্রতিষ্ঠান। মেলার স্পন্সর মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক। ঐতিহ্যবাহী খাবারের মধ্যে রয়েছে পর্যটন করপোরেশনের স্টলে মুক্তাগাছার মন্ডা, বগুড়ার বিখ্যাত দই, নাটোরের কাঁচা গোল্লা, কুমিল্লার রসমালাইসহ বিভিন্ন জেলার মুখরোচক খাবার।
প্রতিবছর পর্যটন মেলায় মুখরোচক খাবার নিয়ে আসা শামীমসহ কয়েক দোকান কর্মী জানান, বুধবার প্রথমদিন সকালের পর্যটন মেলায় লোকজন কম হলেও দুপুরের পর তা বাড়তে থাকে। এসময় মুখরোচক খাবারের বেচাকেনা বাড়তে থাকে মেলার বিভিন্ন স্টলে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন মিউচুয়াল ট্রাষ্ট ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি এবং মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মো. রাহাত আনোয়ার।