ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

কেনাকাটার বিলে স্বাক্ষর না করায় শোকজের অভিযোগ

কেনাকাটার বিলে স্বাক্ষর না করায় শোকজের অভিযোগ

লতিফুল ইসলাম

প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০২৩ | ০০:০০ | আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০২৩ | ০০:০০

চারটি প্রকল্পে অবহেলা, অসদাচরণ ও অদক্ষতার অভিযোগ তুলে অতিরিক্ত প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আরিফুর রহমানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।

গতকাল মঙ্গলবার করপোরেশনের সচিব (যুগ্ম সচিব) মোহাম্মদ মাছুম আল সিদ্দিক স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এ কর্মকর্তাকে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

তবে ডিএনসিসির কর্মকর্তাদের দাবি, বিধিমালা না মেনে সরাসরি কেনাকেটার বিলে স্বাক্ষর না করায় আরিফুরের বিরুদ্ধে অন্য অভিযোগ আনা হয়েছে। কর্মকর্তা অদক্ষ হলে তাঁকে পরপর চারটি প্রকল্পের পরিচালক করা হতো না। তাঁকে এতদিন পরে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

ডিএনসিসি সূত্রে জানা যায়, গত এপ্রিলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় যানজট নিরসনে আধুনিক প্রযুক্তির ট্রাফিক সিগন্যাল চালুর নির্দেশনা দেয়। নির্দেশনা বাস্তবায়নে জননিরাপত্তা সচিব ও ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে সভায় আধুনিক ট্রাফিক সিগন্যাল কার্যকরে বিআইটি টেকনোলজির প্রস্তাব পরীক্ষামূলক আকারে গুলশান-২ ইন্টারসেকশনে বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত হয়।

মেয়র আতিকুল দ্রুততম সময়ের মধ্যে এআই ট্রাফিক কন্ট্রোল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালুকরণে দরপত্র ছাড়াই সরাসরি ক্রয় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়োজিত করতে ডিএনসিসির প্রকৌশল দপ্তরকে নির্দেশ দেন। তবে করপোরেশনের বিধি অনুযায়ী মেয়র দরপত্র ছাড়া একসঙ্গে ১০ লাখ টাকার বেশি কিছু কিনতে পারবেন না। কিন্তু ডিএনসিসি এ বিধিমালা উপেক্ষা করে বিআইটি টেকনোলজি থেকে সরাসরি ৪৯ লাখ ৮৬ হাজার টাকার কেনাকেটা করে।

গত ২ মে করপোরেশনের তৎকালীন অতিরিক্ত তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আরিফুর রহমানের কাছে এই বিল পাঠালে তিনি স্বাক্ষরে অস্বীকৃতি জানান। পরবর্তী সময়ে আরিফুরকে তাঁর দায়িত্ব থেকে অপসারণ করা হয়।

শোকজের বিষয়ে আরিফুর রহমান সমকালকে বলেন, ‘আমাকে চারটি প্রকল্পের দায়িত্ব পালনে অদক্ষতা, অবহেলা ও উদ্ধত আচরণের জন্য কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমি বর্তমানে একটি প্রকল্পের পরিচালক। এ প্রকল্পও শেষের দিকে। এ ছাড়া উদ্ধত আচরণ কার সঙ্গে করেছি, সেটি আমার জানা নেই।’

এ বিষয়ে ডিএনসিসির সচিব (যুগ্ম সচিব) মোহাম্মদ মাছুম আল সিদ্দিক ও মেয়র আতিকের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা সাড়া দেননি।

আরও পড়ুন

×