পুলিশ চাইলে ফুটপাতে কেউ বসতে পারবে না: মেয়র আতিক 

পুলিশ চাইলে ফুটওভার ব্রিজ কিংবা ফুটপাতে কেউ বসতে পারবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। 

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে ডিএমপি'র ৪৯তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে সুধী সমাবেশ ও আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান।

মেয়র আতিক বলেন, ঢাকা মহানগর পুলিশ ও ডিএনসিসি মিলে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা পুলিশকে ডাকা মাত্রই পেয়ে যাই। ডিএমপি ও ডিএনসিসি যদি আরও নিবিড়ভাবে এক সঙ্গে কাজ করতে পারে তাহলে ঢাকাকে একটি সুন্দর মডেল শহর হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব। 

তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনারকে নিয়ে আমরা ফার্মগেটে একটি ফুটওভার ব্রিজ উদ্বোধন করেছিলাম। সেই ফুটওভার ব্রিজে কোনো হকার বসতে পারেননি। পুলিশ ইচ্ছা করলে এবং আমরা এক সঙ্গে কাজ করলে এই শহরে সব কিছু সম্ভব, যার প্রমাণ সেই ফুটওভার ব্রিজ। 

মেয়র বলেন, আমরা পুলিশের সঙ্গে ল অ্যান্ড অর্ডার কোঅর্ডিনেশন কমিটি (এলওসিসি) নিয়ে কাজ করছি। যেটি ইতোমধ্যে প্রশংসা কুড়িয়েছে। যেটি পুলিশ বাহিনী মনিটরিং করে।  

মেয়র আতিক বলেন, আপনারা জানলে খুশি হবেন আমরা একটি নতুন পদক্ষেপ শুরু করতে যাচ্ছি। সেটি হলো অন স্টপ পার্কিং সুবিধা। এই ডিজিটাল সেবা দিতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এবং ডিএমপি এক সঙ্গে কাজ করছে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সির মাধ্যমে কি ভাবে ঢাকায় ট্রাফিক লাইটগুলোকে আমরা কন্ট্রোল করতে পারি সেই পরিকল্পনাও শুরু হয়েছে।

মাঠ পর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে মেয়র বলেন, আপনারা রোদ নাই বৃষ্টি নাই, দিন নাই, রাত নাই মানুষের পাশে দাঁড়ান। করোনার সময় দেখেছি কি ভাবে আপনারা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। সন্তানরা ফেলে গেলেও পুলিশ তাকে উদ্ধার করেছে। আমি বলতে চাই ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে যে পুলিশ বক্সগুলো করছেন আমি অনুরোধ করবো, আপনাদের নিয়ে আমরা যৌথভাবে পুলিশ বক্স করে দেব। প্রত্যেকটি পুলিশ বক্সে টয়লেট, পানি ও বসার জন্য ব্যবস্থা করা হবে। পুলিশ করার জন্য ১০ কোটি টাকা বাজেট করা হয়েছে। আমরা প্রত্যেকটি পুলিশ বক্স আধুনিক করে দেব। 

নতুন গাড়ি রেজিস্ট্রেশনের বিষয়ে মেয়র বলেন, নতুন গাড়ি রেজিস্ট্রেশন করতে হলে পুরান গাড়ি জমা দিতে হবে। এছাড়া নতুন করে কোনো রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হবে না৷ এই ধরনের আইন করা ছাড়া উপায় নেই। কেননা এতো গাড়ির কোথায় জায়গা দেব। ঢাকায় শুধু গাড়ি আর গাড়িতে ভরে যাচ্ছে।